সেতু মেরামত হয়নি ১০ বছরেও

২০০০ সালে আমিত্তী গ্রামের কাটাখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ২০০৭ সালে বন্যায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরের বছরের বন্যায় নদীতে দেবে যায়। তারপর ১০ বছর চলে গেল। এতগুলো গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের দিকে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সেতুটি মেরামত না হওয়ায় গ্রামবাসী চাঁদা তুলে ফসলি জমি ইজারা নিয়ে বালু ফেলে বিকল্প রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু বালুর রাস্তায় মোটরসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ি, বাইসাইকেল ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। উপরন্তু এই রাস্তা বর্ষার সময় ডুবে যায়, তখন আর নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় থাকে না। কৃষকদের ফসল বাজারে নিতে সমস্যা হয়। কোনো জায়গায় যেতে প্রচুর সময় ব্যয় হয়।

এভাবে বছরের পর বছর একটি সেতু ভেঙে পড়ে আছে। কিন্তু তা সংস্কারে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, স্থানীয় প্রশাসন বলে আদৌ কিছু কি আছে এখানে? এলাকার সাংসদই–বা কী করছেন? বছরের পর বছর জনগণের দুর্ভোগ চোখের সামনে দেখেও কী করে তাঁরা নির্বিকার থাকছেন? তাঁদের তো উচিত ছিল এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা এবং তাগাদা দেওয়া।

সেতু মেরামত বা নির্মাণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। একটি সেতু ভেঙে পড়ে আছে, অথচ তারা যেন জানেই না। একটি সরকারি সংস্থার এ ধরনের গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে এ ধরনের গাফিলতির জন্য যথাযথ জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা উচিত। সে রকম কিছুর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

কাটাখালী নদীর ওপর খুব দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।