পূর্ব জুরাইনবাসীর দৃষ্টান্ত স্থাপন

প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক বছর ধরে পূর্ব জুরাইন এলাকার হাজি খোরশেদ আলী সরদার সড়কের মিষ্টির দোকান এলাকা থেকে সোনালী মেটাল পর্যন্ত অংশে ছিল স্থায়ী জলাবদ্ধতা। একটু বৃষ্টি হলেই পানির পরিমাণ হাঁটু ছাড়িয়ে যেত। এলাকাবাসী এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ওয়াসা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার ১০ জন তরুণ নিজেরাই নালা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। পরে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন আরও অনেকে। সবাই মিলে নালা পরিষ্কার করে ওই এলাকাকে জলাবদ্ধতামুক্ত করেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাদের এ কাজটি করার কথা, সেই ওয়াসা কী করেছে? এক বছর ধরে একটি সড়কের বড় অংশ জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে, মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ তারা নির্বিকার। আর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরও বা কীভাবে তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে গেলেন? তাঁরই তো উচিত ছিল এ সমস্যার সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। এখন যখন সড়ক জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে, তখন কিনা তিনি দাবি করছেন, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে তাঁর পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে! কী অদ্ভুত সুবিধাবাদী মানসিকতা।

মূল সমস্যাটি হচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহির অভাব। একটি সড়ক বছরখানেক ধরে জলাবদ্ধ থাকার জন্য যদি ঢাকা ওয়াসার কাউকে জবাবদিহি করতে হতো বা কারও চাকরি যেত তাহলে কোনো কর্তৃপক্ষের পক্ষে জনদুর্ভোগে এতটা নির্বিকার থাকা সম্ভব হতো না। প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে।