জেরুজালেম নিয়ে ট্রাম্পের উন্মাদ খেলার পরিণাম

অধিকৃত জেরুজালেমের বায়তুল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সেনাদের পাহারা
অধিকৃত জেরুজালেমের বায়তুল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সেনাদের পাহারা

দুনিয়ার বাদশাহ বলে দিয়েছেন, জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী, অতএব বাদশাহের দূতাবাস এখন থেকে সেখানেই থাকবে। তিনি বললেন ‘হও’ আর হয়ে গেল! আব্রাহামীয় তিন ধর্মের পবিত্রস্থান, ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী, তিন–তিনটি ক্রুসেডের লক্ষ্যবস্তু জেরুজালেমকে এক কথায় ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া যতটাই ঔদ্ধত্য, ততটাই আহাম্মকি। ডোনাল্ড ট্রাম্প একদা টিভিতে মার্কিনদের হাসাতেন, এখন হাসাচ্ছেন আমেরিকার শত্রুদের। সবচেয়ে বেশি হাসবেন রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন আর ইরানের খোমেনি। বিন লাদেন জীবিত থাকলে তিনিও হাসতেন। শত্রুর ভুল চালের চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে?

জেরুজালেম আরব ও মুসলমানদের চোখের মনি। কয়েক হাজার বছর ধরে এই পবিত্র শহর নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে; ১৯৪৮ সালে প্রথমে অর্ধেকটা, ১৯৬৭ সালে বাকি অর্ধেকটার দখল ইসরায়েল নিয়েছিল যুদ্ধ করেই। ১৯৮০ সালে অধীকৃত পশ্চিম জেরুজালেমকে মৌলবাদী রাষ্ট্রটি তার অংশ করে নেওয়ার আইন করলে জাতিসংঘ সেই আইন বাতিল করে। পৃথিবীর কাছে এটা ইসরায়েল অধিকৃত আরেকটি ফিলিস্তিনি শহর বলেই স্বীকৃত। কার্যত অস্ত্রের জোরে সমগ্র ফিলিস্তিনসহ জেরুজালেম ইসরায়েল দখল করে রাখলেও, এর সাড়ে চার লাখ ফিলিস্তিনি অধিবাসীকে মানবেতর জীবনে আটকে রাখলেও, ইসরায়েল একে সম্পূর্ণ নিজের করে নিতে পারেনি। এর জন্য তারা চেয়ে থেকেছে তাদের মুরব্বি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের দিকে। কিন্তু একের পর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই দাবি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সমগ্র ইসরায়েলই এক অধিকৃত ভূমি। বলা হয়, ইসরায়েলের বাইরে মার্কিন কংগ্রেস হলো তার আরেকটি ‘অধিকৃত ভূমি’। সেই কংগ্রেসে ইহুদিবাদী লবি দারুণ শক্তিশালী। তাদের চাপে ১৯৯৫ সালে কংগ্রেস জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত পাস করে। কিন্তু সেই আইনে শর্ত ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য সিদ্ধান্তটি ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। তারপর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা সিদ্ধান্তটি পিছিয়ে দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এবার ট্রাম্প এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাবা বুশ-পোলা বুশের পর বারাক ওবামা তাঁর দুই মেয়াদে যে কাগজে সই করেননি, ডোনাল্ড ট্রাম্পও গত এপ্রিলে যা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই তিনিই এবার নিজের বাড়া ভাতে নিজেই ছাই দিলেন। তাঁর জামাই কুশনারের নেত্বৃত্বে আরব শান্তিপ্রক্রিয়ার এখানেই ইতি ঘটল।

জেরুজালেমের দেওয়ালে মার্কিন–ইসরায়েলি বন্ধুত্বের পতাকা
জেরুজালেমের দেওয়ালে মার্কিন–ইসরায়েলি বন্ধুত্বের পতাকা

ইসরায়েলের ধুরন্ধর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু খুশি হয়েছেন, খুশি হয়েছেন লাস ভেগাসের জুয়া ব্যবসায়ীরা, যাঁরা ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে বিপুল টাকা দান করেছিলেন, খুশি হয়েছে তাঁর ডানপন্থী মার্কিন সমর্থক ও দুনিয়ার ইহুদিবাদীরা (জায়নিস্ট)। কিন্তু এমন এক সময় ট্রাম্প জেরুজালেমকে জুয়ার দান বানালেন, যখন দুনিয়াজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা কমজোরি হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ হিসেবে রাশিয়া ও চীন আছে, আছে তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র ব্রিটেনের অবস্থাও ভালো না। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই খুঁটি ইসরায়েল ও সৌদি আরব ঘনিষ্ঠ হলেও সৌদি রাজবংশে চলছে গৃহবিবাদ। সিরিয়া ও ইয়েমেন সৌদি-মার্কিন-ইসরায়েলি জোট ধরা খেয়েছে। তুরস্ক-কাতার-ইরান আরও কাছাকাছি। এ অবস্থায় আরব অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে এতটা ঘৃণিত করে কী ফায়দা ট্রাম্পের?

আরবসহ বিশ্বের মুসলমানরা যখন দেখছে, সৌদিদের মুরব্বি যুক্তরাষ্ট্র ও বন্ধু ইসরায়েল তাদের তৃতীয় পবিত্রতম ধর্মস্থানের ওপর দখল সম্পূর্ণ করছে, তখন ওই আরব শাসকেরা কীভাবে মুখ দেখাবেন স্বদেশে এবং বিদেশে? স্পষ্টতই, ফিলিস্তিনে তৃতীয় ইন্তিফাদা ফেনিয়ে উঠবে, তা ছড়িয়ে পড়বে আরব, পারস্য, তুরস্কসহ মুসলিম রাজধানীগুলোয়। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষও প্রতিবাদী হবে। সশস্ত্র বিদ্রোহ দমন করা সহজ, কিন্তু লাখো মানুষের নিরস্ত্র বিদ্রোহ দমন করতে হলে ইসরায়েলকে গণহত্যা চালাতে হবে। সেদিক থেকে দৃষ্টি সরাতে তারা যুদ্ধ বাধাবে লেবাননে-গাজায়। মধ্যপ্রাচ্যের টাইমবোমার সুইচ টিপেছেন ট্রাম্প—এর পরে যা যা ঘটবে, সেসবের দায়িত্বও তাঁদেরই নিতে হবে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে জন্ম দিয়েছিল ইসরায়েল, আরবভূমির সেই অবৈধ সন্তান তার কোনো দিন জাতিসংঘকে মানেনি, এবারেও তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা। পৃথিবী নিয়ে পাগলের এ খেলা বন্ধ করতে হলে জাগতে হবে বিবেকবান মানুষকেই। সেই পরীক্ষার সামনেই আবার পৃথিবী।

দুই.
তার আগে ইসরায়েলর দাবিটা খতিয়ে দেখা যাক। জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলের দাবির ভিত্তিটা নাকি ঐতিহাসিক। পশ্চিমাদের অনেকেও মনে করে থাকেন, মিসরীয় দাসত্ব থেকে পালিয়ে হজরত মুসার নেতৃত্বে ইহুদিরা তৎকালীন কানান দখল করে বসত করে। ইহুদিদের ঈশ্বর এই ভূখণ্ড তাদের উপহার দিয়েছেন। এখানেই তাদের সোলোমন ও ডেভিড (আরবি ভাষায় সোলায়মান ও দাউদ) শক্তিশালী সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। কিন্তু ৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমানরা তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করলে তারা দুই হাজার বছরের জন্য উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। যে অল্পসংখ্যক ইহুদি সেখানে থেকে গিয়েছিল, সপ্তম শতাব্দীতে মুসলমান বিজেতারা তাদের বহিষ্কার করে। এই দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনে ইহুদি রক্ত আর কারও সঙ্গে মেশেনি, তারা রয়ে গেছে দুই হাজার বছর আগের মতোই খাঁটি বিশুদ্ধ এবং ইহুদিরা চিরকালের জন্য এক ও অখণ্ড ‘জাতি’। চূড়ান্তভাবে ইউরোপে ইহুদি গণহত্যার পর ‘ইহুদিরা দেশহীন মানুষ হিসেবে মানুষহীন দেশ ফিলিস্তিনে ফিরেছে।’ তাদের প্রতিশ্রুত ইসরায়েল লোহিত সাগর থেকে শুরু করে জর্ডান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে একদিন। অর্থাৎ জর্ডান-সিরিয়ার বিরাট অঞ্চলসহ সমগ্র ফিলিস্তিনই হলো তাদের স্বপ্নের ইসরায়েল। এটাই তাদের সংবিধানে বলা আছে। আর এই মহান ইসরায়েল রাষ্ট্রের চিরকালীন অজেয় রাজধানী হলো জেরুজালেম।

স্লোমো স্যান্ডের বেস্ট সেলার বই: দি ইনভেনশন অব দি জুয়িশ পিপল এবং দি ইনভেনশন অব দি ল্যান্ড অব ইসরায়েল
স্লোমো স্যান্ডের বেস্ট সেলার বই: দি ইনভেনশন অব দি জুয়িশ পিপল এবং দি ইনভেনশন অব দি ল্যান্ড অব ইসরায়েল

বারবার পশ্চিমা গণমাধ্যম, ইতিহাস, বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সাহিত্যে এবং অবশ্যই হলিউডি চলচ্চেত্রে এই গল্প অকাট্য ইতিহাস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইহুদিদের ওপর শত শত বছর ধরে অত্যাচার ও গণহত্যা চালানো পাশ্চাত্য তার অপরাধবোধ থেকে বাঁচতে সর্বদাই ইসরায়েলের অন্যায্য দাবির ব্যাপারে রাজি অবস্থায় থাকে। তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ ও ভূমির কবজায় রাখতে ইসরায়েলের মতো ধারালো অস্ত্র তো তাদের লাগবেই।

যা হোক, এই গল্পে বাদ সেধেছেন ইতিহাসবিদেরা। তাঁদের প্রধানতম হলেন তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শ্লোমো স্যান্ড। তাঁর ‘দ্য ইনভেনশন অব জুয়িশ পিপল’ এবং ‘দ্য ইনভেনশন অব দ্য ল্যান্ড অব ইসরায়েল’ বা ‘ইহুদি জাতি আবিষ্কার এবং ইসরায়েল আবিষ্কার’ বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আগে ইহুদিবাদী তাত্ত্বিকেরা বাইবেলের ‘ইরেৎজ ইসরায়েল’ ধারণাটাকে দখল করে একে ইতিহাস ও ভূরাজনৈতিক ধারণা বানিয়েছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক, ভাষাতাত্ত্বিক এবং ডিএনএ বিশ্লেষণ করে স্যান্ড দেখান, আদতে মিসর থেকে দাসদের বড় আকারের এক্সোডাস বা দেশান্তরের কোনো প্রমাণই নেই। আর মিসর থেকে পালিয়ে আজকের ফিলিস্তিন (তৎকালীন কানান) এলাকায় আসারও প্রশ্ন ওঠে না। কেননা, সেটাও তখন ছিল মিসরীয় শাসনে। সেমেটীয় ধর্মের ইতিহাসবিদ কারেন আর্মস্ট্রংও তাঁর ‘গ্রেট ট্রান্সফর্মেশন’ বইয়ে ইহুদিদের দেশান্তরের ধারণা বাতিল করে দিয়েছেন। বরং আদি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বার্ষিক জর্ডান নদী অতিক্রমের প্রথা চালু থাকার কথা তিনি আমাদের জানান।

স্যান্ড দেখিয়েছেন, বনি ইসরায়েল বলে যাদের কথা বাইবেলে বলা হয়েছে, আজকের ফিলিস্তিনি আরবেরাই (মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান মিলিয়ে) তাদের বংশধর। ভাষাতাত্ত্বিক ও ডিএনএ মিলের প্রমাণ তিনি হাজির করেছেন। হজরত ইব্রাহিমের বংশধরেরাই দিনে দিনে বংশবৃদ্ধি করে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়িয়েছে, এমন ধারণাও ঠিক নয়। স্যান্ডের দাবি, দুই হাজার বছর ধরে ইহুদিরা এক জাতিভুক্ত ছিল না। বরং আরব ইহুদিরা আরবদের মতো, ইউরোপীয়রা ইউরোপীয় বংশধর এবং ইথিওপীয় কিংবা ভারতীয় ইহুদিরা যার যার জাতিরই বংশধর। আজকের ইহুদিদের রক্তে বহু জাতির রক্ত প্রবাহিত, জাতিগত বিশুদ্ধতার ধারণা তাই বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল।

এমনকি ইহুদি ধর্মগ্রন্থেও পবিত্র নগরীতে বসবাসে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছিল। কেননা, পবিত্র মাটিতে বসতি হলে পাপ ঘটার আশঙ্কা থাকে। ১৯ শতক পর্যন্তও ইহুদিদের কল্পনাতেও জেরুজালেমে ফিরার আকাঙ্ক্ষা দেখা যায় না। কেবল বৃদ্ধরা মৃত্যুর আগে জেরুজালেমে আসত, পবিত্র মাটিতে কবর পাওয়ার আশায়। মুসলমানরা যেভাবে মক্কায় কবর পাওয়ার পুণ্যের আশা করে, সেভাবেই।

তৃতীয়ত, যে বাইবেলের মিথ ও উপকথাকে ইহুদি জাতির ইতিহাস বলে বর্ণনা করা হচ্ছে সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও আবিষ্কার তাকে সমর্থন করে না। জেরুজালেমে কোনো ইহুদী গণহত্যা, কিংবা রাজা সলোমনের আলীশান প্রাসাদেরও কোনো হদিস মেলেনি। সুতরাং ইসরায়েল সকল ইহুদীদের আদি বাসভূমি ছিল না, কেবল আরব ইহুদীরাই সেখানকার লোক। স্লোমো স্যান্ড দেখিয়েছেন, একটি ইহুদী রাজ্য সত্যিই উচ্ছেদ হয়েছিল তবে সেটা কোনো আরবভূমি থেকে নয়। বরং পূর্ব ইউরোপের ককেশাস অঞ্চলের তুর্কি বংশোদ্ভূত খাজাররা একসময় দলে দলে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করেছিল, সেখানে তাদের রাজত্বও ছিল। এদের বংশধরদেরই ইউরোপ ভূরাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে আরবের বুকে শূলের মতো বিঁধিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

সুতরাং সেকুলার ইহুদীবাদীরা ধর্মীয় উপকথাকে ইতিহাসে পরিণত করেছে, আর ধ্বংস করছে আদি ইহুদীদের বংশধরদের যারা নাকি আজকের ফিলিস্তিনি, যারা নাকি একসময় ইসলাম গ্রহণ করেছিল। স্যান্ডসহ বহুজনের গবেষণায় দেখা যায়, ইহুদীরা সকলেই জন্মসূত্রেই ইহুদী নয়, তারাও ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মতো ধর্মান্তরিত হয়েছিল। এই ধর্মান্তরিত ও বিতাড়িত ইহুদীদের বিশ্বাস করানো হয় যে, ফিলিস্তিন তাদের আদিভূমি।

যুক্তির খাতিরেও যদি ধরে নেই, ইতিহাসের কোনো একসময় ইহুদীরা ফিলিস্তিনের বাসিন্দা ছিল, তারপর তারা ইউরোপে বসবাস করেছে শতশত বছর। সেই ইউরোপ তাদের রাখতে চাইবে না বলে ফিলিস্তিনীদের সর্বহারা হতে হবে? খোদ যিশুও একজন ফিলিস্তিনী ছিলেন। ফিলিস্তিনীদের যন্ত্রণা যিশুর যন্ত্রণার মতোই। ইহুদী ঘরের সন্তান যিশুকে হত্যা করেছিল কতিপয় ইহুদী ধর্মোন্মাদ, আর আজকের জায়নবাদী উন্মাদেরা হত্যা করছে যিশুর বংশধরধের, বনি ইসরায়েলের উত্তরসূরী ফিলিস্তিনীদের।

আমরা শান্তি চাই। তার জন্য ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তে ফিরে যেতে হবে ইসরায়েলকে। আমেরিকাকেও দুই রাষ্ট্র সমাধান মেনে জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা মানতে হবে। ইসরায়েল থাকবে ইসরায়েলের মতো, ১৯৪৮ সালের সীমান্ত মেনে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনী ভূমির বাইরের অঞ্চলে। কোনো রাষ্ট্রের সীমান্ত এরকম উগ্রভাবে চলমান থাকলে তা গণহত্যা ও যুদ্ধকেও চলমান রাখবে। পৃথিবী আর আরবহত্যা দেখতে রাজি নয়।