সাবেক সিভিল সার্জনকে কারাদণ্ড

গত সোমবার লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাবেক সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরিফ। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। একসময় তা থেমেও যায়। এরপরই মুর্শিদুল ইসলাম পুলিশকে নির্দেশ দেন সালাহ উদ্দিনকে ধরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যেতে। সেখানে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন এবং কারাগারে পাঠান। পরে অবশ্য সালাহ উদ্দিনের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ বাতিল করে সালাহ উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেন।

এটা স্পষ্ট যে এডিসি ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এটা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য। তিনি লাঞ্ছনা করার অভিযোগ এনে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে পারতেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত যখন সালাহ উদ্দিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিচ্ছিলেন, তখন সেখানে স্বয়ং জেলা প্রশাসকও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর উচিত ছিল এ ব্যাপারে বাধা দেওয়া। তা না করে তিনি অন্যায়কেই প্রশ্রয় দিলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এ ঘটনার পর এডিসি মুর্শিদুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু ওএসডি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নয়। যেসব সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে তাঁদের হাতে ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করার প্রবণতা কাজ করে, তাঁদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।