হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক, একদা বোম্বে ক্রনিক্যাল–এর সম্পাদক ডি এফ কারাকার, ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ নিয়ে একটা বই লিখেছিলেন বিট্রায়াল অব ইন্ডিয়া। ১৯৪৭ সালের ১৪–১৫ আগস্টের মধ্যরাতে তিনি ছিলেন বোম্বের এক দামি হোটেলে। ১৪ আগস্টের রাত ১২টা পেরিয়ে সবে শুরু হচ্ছে ১৫ আগস্ট। ১২টা ১ মিনিট। উৎসবমুখর বোম্বে শহর। ২০০ বছর পর ভারতবর্ষ স্বাধীন হতে চলেছে। সেই হোটেলে ছিলেন বোম্বে প্রদেশের গভর্নর—সাদা চামড়ার শাসক। আরও ছিলেন কংগ্রেস নেতারা—কালো বা বাদামি রঙের গায়ের চামড়া। স্বাধীনতাসংগ্রামী ভারতীয় জননেতা তাঁরা। রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রিটেনের পতাকা নামানো হলো। উত্তোলন করা হলো তিন রঙের ভারতীয় পতাকা। বিপুল করতালি ও হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে পতাকাবদল হলো। ভারতবর্ষ স্বাধীন হলো। সাদা চামড়ার শাসক আর বাদামি-কালো চামড়ার ভারতীয় নেতারা কোলাকুলি করলেন। পরস্পর পরস্পরকে শুভেচ্ছাবার্তা জানালেন। যে ব্রিটিশ শাসকেরা কয়েক মুহূর্ত আগেও ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা কংগ্রেস নেতাদের অভিনন্দিত করলেন। ডি এফ কারাকার লিখেছেন, এত বছরের শোষণ-অত্যাচার আর সংগ্রাম—সবই কি আমরা ভুলে গেলাম?

একেবারে ভুলে না গেলেও আপসের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এলে চিত্রটি যে এ রকম হবে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। একই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা দেশ সৃষ্টি হলো আর বিদায় নিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। একই সঙ্গে বিভক্ত হয়েছিল বাংলা। এই অঞ্চলের মুসলমানরা নিশ্চয়ই সাধের পাকিস্তান পেয়ে উৎসাহিত হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে সত্যিকারের স্বাধীনতা ছিল না, পূর্ব বাংলায় বাঙালির জন্য তা বুঝতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম অল্প দিনের ব্যবধানে। তাই আরেকবার আমাদের লড়তে হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলেও আমরা একই বছর পূর্ণ বিজয় অর্জন করেছিলাম ১৬ ডিসেম্বর।

একবার তুলনা করুন তো ডি এফ কারাকার বর্ণিত ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের দিনটির সঙ্গে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় অর্জনের দিনটির। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট উৎসবমুখর বোম্বের ছবি আমরা পাচ্ছি সেই বর্ণনা থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দিন ১৬ ডিসেম্বরেও মানুষ উৎসবমুখর ছিল। কিন্তু আমরা শত্রুর সঙ্গে হাত মেলাইনি, কোলাকুলি করিনি। বরং পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগমুহূর্ত পর্যন্ত আমরা পরস্পরের দিকে বন্দুক তাক করে ছিলাম। একটা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা বলি। যুদ্ধের ৯ মাস বঙ্গবন্ধুর পরিবার ধানমন্ডির ১৮ নম্বর রোডের একটা একতলা বাড়িতে আটক ছিল। ছাদে–বাংকারে ছিল সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনারা। তারা এক দিন পর সারেন্ডার করেছিল। আমার মা-বাবা ও এক খালাতো বোন দেশ স্বাধীন হয়েছে ভেবে দেখতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবার কেমন আছে। কিন্তু ওই বাড়ির সামনে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি লক্ষ্য করে বাংকারে থাকা পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে দুবার। গুলিতে আমার বোন ও চালক নিহত হয়েছিলেন। মা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাই ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পেছনে যদিও ছিল দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের ইতিহাস। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল এক রক্তক্ষয়ী বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এই পার্থক্যটি ছোট নয়।

আবার দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যাক কারাকারের বইটির প্রতি। লেখক কারাকার লিখেছেন, বোম্বের ওই হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর স্বজনও ছিলেন। তাঁদের চেহারায় উদ্বেগের চিহ্ন নেই। লেখক প্রশ্ন করেছেন, ভারতের স্বাধীনতার প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধী কোথায়? পরদিন তিনি প্লেনে করে দিল্লি গেলেন। সেখানেও উৎসবমুখর ভাব। তবে রাজনৈতিক তৎপরতায় ব্যস্ত শহর। পণ্ডিত নেহরু শপথ নিচ্ছেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীরূপে। কিন্তু গান্ধীকে কোথাও দেখা গেল না। তিনি তখন কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঠেকাচ্ছেন। ২০০ বছর পর দেশ স্বাধীন হচ্ছে, অথচ স্বাধীনতার প্রধান নায়ক অনশন করছেন, মসজিদে মসজিদে গিয়ে অভয় দিচ্ছেন মুসলমানদের। অন্যদিকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের স্বাধীনতার প্রধান নায়ক শত্রুদেশে কারাগারে বন্দী। তা নিয়ে আমাদের উৎকণ্ঠা ছিল। স্বাধীনতার আনন্দের মধ্যেও একটা অভাববোধ ছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল অভূতপূর্ব। দুই স্বাধীনতার মধ্যে এই পার্থক্যটিও গুরুত্বপূর্ণ।

ডি এফ কারাকার তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ভোর চারটার দিকে তিনি যখন হোটেল থেকে বের হচ্ছেন, তখন দেখতে পেলেন, রাস্তার দুই ধারে ভিক্ষুকেরা লাইন ধরে বসে আছে। হোটেল থেকে যাঁরা বের হচ্ছেন, তাঁরা খুশির মেজাজে ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দিচ্ছেন। কারাকার আবার নিজেকে প্রশ্ন করলেন, ২০০ বছর পর এই স্বাধীনতার কী অর্থ আছে ওই ভিক্ষুকদের কাছে? কারাকার বলেছেন, তারা এইটুকু বুঝেছে, আজ এমন একটা দিন, যেদিন একটু বেশি ভিক্ষা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে তুলনা করুন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সঙ্গে। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের সব মানুষ—ভিক্ষুক থেকে বিত্তবান, নিরক্ষর নারী-পুরুষ থেকে শিক্ষিত, আবালবৃদ্ধবনিতা—সবাই জানতেন এই স্বাধীনতার মানে কী। অন্ততপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর বন্দিদশা থেকে মুক্তি।

শুধু কি এতটুকু? না, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু, যা ছিল সমগ্র বাঙালি জাতির উপলব্ধির মধ্যে। সেটাকেই আমরা অনেক সময় বলে থাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই চেতনাকে ব্যাখ্যা করতে হলে একটু পেছনের দিকে ফিরে যেতে হবে।

এটা ভাবতে অবাক লাগে যে একদা যাঁরা পাকিস্তানের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন, মাত্র ২৪ বছর পর তাঁদেরই সন্তানেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলেন। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছর যে রাজনৈতিক নেতারা রাজনীতির মাঠ মাতিয়ে রাখতেন, তাঁরা সবাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা বা কর্মী। ১৯৪০ সালে লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন যে ১৬ আগস্ট হবে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ পাকিস্তানের দাবিতে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন ছিলেন বাংলার মুসলিম লীগের নেতা এবং অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তিনি জিন্নাহর ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে কার্যকর করতে কলকাতায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এবং পাকিস্তানের দাবিতে বিরাট সমাবেশের আয়োজন করেন। সেদিন থেকেই কলকাতায় এবং পরে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। তখন মাওলানা ভাসানী ছিলেন আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি। সিলেট জেলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি ব্যাপক প্রচারে নেমেছিলেন। তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের ও মুসলিম লীগের প্রথম সারির কর্মী।

পরবর্তী সময়ে আমরা কী দেখলাম? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রবক্তা, যাঁর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। মাওলানা ভাসানী ১৯৫৬ সালেই কাগমারী সম্মেলনে বিচ্ছিন্নতার হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর সেই বিখ্যাত ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে। শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নিঃগৃহীত হয়েছিলেন।

শুধু নেতাদের নয়, জনগণেরও মোহভঙ্গ হয়েছিল। আমরা ধীরে ধীরে উপলব্ধিতে এসেছিলাম যে আমরা নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছি। মুসলিম জাতীয়তাবাদের মোহ ও আবেদন কোনোটাই আর ছিল না। পাকিস্তানি শাসকেরা পূর্ব পাকিস্তানকে উপনিবেশ বানিয়েছিল এবং সে জন্য বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল। কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। এভাবে জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব ও ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের তত্ত্বকে খণ্ডন করা সম্ভব হয়েছিল বলেই আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার যুক্তি ও শক্তি পেয়েছিলাম। তাই আমাদের জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যে বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তা হলো অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধই হতো না। পাকিস্তানি ভাবাদর্শের মধ্যে আছে হিন্দুবিদ্বেষ, ভারতবিদ্বেষ ও বাঙালি সংস্কৃতিবিদ্বেষ। সে জন্যই তারা সাহস পেয়েছিল বাংলা ভাষাকে অস্বীকার করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে। এখন যারা হিন্দুবিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে অন্ধ ভারতবিদ্বেষ লালন ও প্রচার করে, তারা বস্তুত পাকিস্তানি ভাবাদর্শের লোক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রুপক্ষেই তাদের অবস্থান। একইভাবে যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে মুসলিম তমদ্দুন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, বাঙালির পয়লা বৈশাখের আনন্দ–উৎসবকে হিন্দুয়ানি বা ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করে, বোমা ফাটায়, তারাও পাকিস্তানি ভাবাদর্শের লোক, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার শত্রুপক্ষেই তাদের অবস্থান। তাই সাড়ে চার দশক আগে যে বিজয় আমরা অর্জন করেছিলাম, তাকে সংহত করতে হলে এই পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে এবং সেই ভাবাদর্শ যারা লালন করে, তাদের পরাজিত করতে হবে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ, অর্থাৎ বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিজয় হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে তা স্থান পেয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে আরও পড়ে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাপ থাকতে থাকতেই স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যে যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ও মুক্তিকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এভাবেই হয়েছিল।

আজ যদি পেছন ফিরে তাকাই, তাহলে দেখব যে এই সাড়ে চার দশকে আমরা সেই চেতনার জায়গা থেকে কতখানি পিছিয়ে এসেছি। অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস তো আছেই, কিন্তু নির্বাচিত সরকার কর্তৃক অগণতান্ত্রিক আচরণও কম বিপজ্জনক নয়। মোটকথা, গণতন্ত্রের স্বাদ খুব একটা আমরা পাইনি। মনে হয়, ১৯৭১ সালের সেই বিজয় যেন হারাতে বসেছি। আর সমাজতন্ত্র তো এখন কোনো বড় রাজনৈতিক দল মুখেও উচ্চারণ করে না। এখন যা চলছে তা নিকৃষ্ট ধরনের পুঁজিবাদ অর্থাৎ লুটপাটতন্ত্র।

হ্যাঁ, আমাদের জাতীয় আয় বেড়েছে, সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছায় না। চুইয়ে চুইয়ে নিচ পর্যন্ত তা যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা যাঁরা জোর গলায় বলেন, তাঁরাও এই লুটপাট, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নৈরাজ্য, বৈষম্যকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন।

কিন্তু এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। এত রক্তপাত, এত আত্মত্যাগ ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছিলাম, যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা আমাদের অস্ত্র ধারণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল, তার এমন পরিণতি সত্যিই বেদনাদায়ক।

আবারও বলব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিকে সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমরা বলতে পারব—আমরা বিজয়ী হয়েছি।

হায়দার আকবর খান রনো: রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।