অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেই পরিস্থিতি পাল্টাবে না

>
ড. রওনক জাহান
ড. রওনক জাহান

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. রওনক জাহান প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে।

প্রথম আলো : একটি নতুন বছরের শুরু হলো, বর্তমান সরকারও আরও একটি নতুন বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। নতুন বছরে আমাদের সবারই কিছু না কিছু প্রত্যাশা থাকে, দেশের রাজনীতি নিয়ে আপনার চাওয়া কী?

রওনক জাহান : সবাই আশাবাদী হতে চায়, আমিও চাই। তবে নতুন বছরে বা সরকারের নতুন বছর শুরুর সময় কিছু আশা করতে গেলে আগের বছর বা বছরগুলোর বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নিতে হয়। বিদায়ী বছর বা গত বছরগুলোতে আমরা যা দেখলাম, তাতে ভালো কিছু আশা করার ব্যাপারে সন্দিহান হওয়াই স্বাভাবিক। তবে আমাদের রাজনীতিতে এটা নির্বাচনের বছর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের সবারই প্রত্যাশা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনটি যেন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়।

প্রথম আলো : গত বছর বা এর আগের বছরগুলোর কোন কোন বিশেষ ঘটনা দেশের রাজনীতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সন্দিহান করে তোলে?

রওনক জাহান : দেখুন, গত বছর বা এর আগের আরও কিছু বছর বিবেচনায় নিলে দেখব যে দেশের গণতন্ত্র একধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভার সঙ্গে বিচার বিভাগের একটি পাল্টাপাল্টি অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, যা খুবই হতাশার। প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য রয়েছে। ষোড়শ সংশোধনীর ব্যাপারে উচ্চ আদালত সর্বসম্মতভাবে যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার রিভিউ দাখিল করেছে। আমরা জেনে আসছি যে হাকিম নড়লেও হুকুম নড়ে না, কিন্তু এখন যদি হাকিমের সঙ্গে হুকুমও নড়ে যায়, তবে তো তা খুবই বিপদের কথা। দেখা যাচ্ছে, নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে চাপে ফেলতে পেরেছে। অথচ একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টি খুবই জরুরি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের মতো ঘটনাগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেভাবে ঘটে চলেছে, তা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য বিপজ্জনক। ২০১৭ সালে গুম এক ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি করেছে। অনেকে একেবারেই গুম হয়ে গেছেন, কিন্তু যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের মুখ থেকে আমরা কিছুই জানতে পারছি না। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ওপর চাপ বেড়েই চলেছে। তাদের একটি বড় অংশ রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বা হতে বাধ্য হয়েছে। যারা স্বাধীনভাবে কিছু করার চেষ্টা করছে, তাদের বিতর্কিত করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো কোনো দেশের রাজনীতি বা গণতন্ত্র নিয়ে আশাবাদী হতে দেয় না।

প্রথম আলো : দেশের গত এক দশকের রাজনীতির অভিজ্ঞতাকে যদি আমরা বিবেচনায় নিই, তাহলে আমরা কি এই আস্থা রাখতে পারি যে শুধু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য যথেষ্ট?

রওনক জাহান : নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। আর সেই নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণও জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে যাঁরা নির্বাচিত হচ্ছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এসে অগণতান্ত্রিক কাজ করছেন। ক্ষমতার বাইরে থাকলে নিপীড়নের শিকার হতে হবে আর ক্ষমতায় এলে তার প্রতিশোধ নেবে—এটাই যেন দলগুলোর নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, আপনি যদি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে সমালোচনা করেন, তবে তারা বলবে, দুই দলকে একভাবে দেখা ঠিক হবে না। তারা বলবে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দলের প্রধানসহ নেতাদের হত্যার চেষ্টা হয়েছে। আমরা তো তেমন কিছু করছি না। আওয়ামী লীগ তেমন কিছু না করলেও দেখা যাচ্ছে যে বিরোধী দলের লোকজনকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অনেকে এলাকায় থাকতে পারছেন না। এটা শুধু এ কারণে নয় যে তাঁদের সবার বিরুদ্ধে অপরাধের যৌক্তিক অভিযোগ আছে। মূল ব্যাপারটি হচ্ছে তাঁরা বিরোধী রাজনীতি করেন। গণতান্ত্রিক সমাজে নির্বাচনে কেউ হারবে কেউ জিতবে। কিন্তু আমাদের সমাজে যিনি জিতছেন, তিনি সব নিয়ে যাচ্ছেন আর যিনি হারছেন, তিনি সব হারাচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে যাঁরাই হারবেন, তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হবে। এসব কারণেই কেউ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। ফলে অবাধ, সুষ্ঠু বা সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হলেই যে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে, এমনটি নয়।

প্রথম আলো : আপনি আমাদের দেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরলেন, তা আসলে রাজনীতিকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে?

রওনক জাহান : নির্বাচনে জিতলে সব নিয়ে নেওয়া আর হারলে সব হারানো বা দলের নেতা-কর্মীদের পালিয়ে বেড়ানোর যে পরিস্থিতি দেশে চলছে, তার বিপদ হচ্ছে এই অবস্থা ভালো মানুষদের রাজনীতিবিমুখ করে তুলছে। যাঁরা রাজনীতিতে আসছেন বা রাজনীতি করছেন, তাঁরা অনেক ঝুঁকি নিচ্ছেন। তাঁরা জানেন যে ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছুই পাবেন আর ক্ষমতা হারালে তাঁরা বিপদে পড়বেন। ফলে সচেতন বা যাঁরা দেশের কল্যাণে কাজ করতে চান অথচ এই মাত্রার ঝুঁকি নিতে বিমুখ, এমন লোকজনের রাজনীতিতে আসার পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু বিশেষ ধরনের লোকজনই আগ্রহী হবেন, যাঁরা লাভের আশায় ঝুঁকি নেবেন।

প্রথম আলো : নব্বই সালের পর দেশে গণতন্ত্রের যে নতুন একটি যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাতে এমন একটা আশা আমরা করতে শুরু করেছিলাম যে যারাই ক্ষমতায় বা বিরোধী দলে থাকুক, তাদের মধ্যে অন্তত একটি কাজের সম্পর্ক বজায় থাকবে। শুরুতে তেমন লক্ষণও যে ছিল না, তা নয়। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি শোচনীয় অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। এতটা খারাপ হলো কেন?

রওনক জাহান : ২০০৪ সালে সে সময়ে বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা পরিস্থিতি পাল্টাতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে হয়। রাজনীতিতে যে বিরোধিতা বা বাদ-বিবাদ থাকে, এ ঘটনাটি এর সীমানাকে ছাড়িয়ে গেছে। এতে বিএনপির প্রতি আওয়ামী লীগের ন্যূনতম আস্থার দিকটিও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারপ্রক্রিয়াকে কার্যত বন্ধ করে রেখেছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাও খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ যা যা করেছে, তা অনেকটাই এসবের প্রতিক্রিয়া বলে মনে হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ হয়তো মনে করে যে ক্ষমতার বাইরে থাকাটা দল এবং তার নেতৃত্বের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার।

প্রথম আলো : গণতন্ত্রের বিবেচনায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে কীভাবে দেখছেন?

রওনক জাহান : আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। দলের শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্তই সব। আবার আমাদের দেশে তৃতীয় এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তিও নেই, যারা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ধরনের কিছু থাকলে দুই দলকে কিছুটা হলেও চাপ দিতে পারত। তৃতীয় শক্তি হিসেবে ধর্মীয় গোষ্ঠীর কথা অনেকে বলতে পারেন, কিন্তু তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে তরুণ প্রগ্রেসিভদের দল থাকে; যেমন গ্রিন পার্টি, তারা ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দেশে জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ শতাংশ এখন তরুণ ও যুব বয়সী। এদের কথা বলা বা তাদের কোনো মুখপাত্র আমরা দেখি না। রাজনীতিতে তৃতীয় একটি শক্তি না থাকাটা আমাদের দেশের রাজনীতির একটি বড় সমস্যার দিক।

প্রথম আলো : বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আর বিএনপি চায় ক্ষমতা ফিরে পেতে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ আওয়ামী লীগের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করবে। কিন্তু ক্ষমতাপ্রত্যাশী দল বিএনপি কি তাদের আগের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন বা ক্ষমতায় গেলে তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো করবে, এমন কোনো বার্তা কি তারা জনগণকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে দিতে পেরেছে?

রওনক জাহান : আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে অর্থনীতির সাফল্যের দিকগুলোর কথা বলবে, উন্নয়নের কথা বলবে। কিন্তু দলটিকে এটা মনে রাখতে হবে, জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন হলেও শেষ পর্যন্ত সব নির্বাচনই স্থানীয়। মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ-কোন্দল রয়েছে। বর্তমানে যাঁরা নির্বাচিত বা যাঁরা মনোনয়ন পাবেন, তাঁদের ভাবমূর্তির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেকে আছেন, যাঁদের অত্যাচারে স্থানীয় পর্যায়ের লোকজন অতিষ্ঠ। নির্বাচন জনগণকে এর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। কেন্দ্রের আওয়ামী লীগ, তার নীতি বা কর্মসূচি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে যে ফারাকটি রয়েছে, তা নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে বিএনপি সেই পুরোনো নেতৃত্বের মধ্যেই আছে। কোনো নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে না। তাদের ওপর হয়তো অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, হয়তো তারা কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। কিন্তু এর বাইরেও করার এমন অনেক কিছু রয়েছে, যাতে তারা তাদের অবস্থান ও নীতি পরিষ্কার করতে পারে, কিন্তু তেমন কিছু দেখা যায়নি।

প্রথম আলো : নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে কিছু না কিছু নিয়ে হাজির হতে হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বা ক্ষমতা ফিরে পেতে আগ্রহী বিএনপি আগামী নির্বাচনে কী নিয়ে হাজির হবে বলে মনে করেন?

রওনক জাহান : আওয়ামী লীগ সম্ভবত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়টিতেই জোর দেবে। তারা হয়তো বলবে, যেসব উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি তারা নিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের ক্ষমতায় রাখা জরুরি। অন্যদিকে বিএনপি সম্ভবত সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সরকারি দলের লোকজনের অত্যাচার-নির্যাতন এসব বিষয় তুলে ধরবে। আমরা ধারণা করতে পারি যে রোহিঙ্গা সমস্যা সহজে মিটবে না, একে দলটি কোনো না কোনোভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে আসামে জাতিগত সংকটের আলামত পাওয়া যাচ্ছে, এটাকেও নিশ্চয়ই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম ও ভারতবিরোধিতার কার্ড ব্যবহার থেকে বিরত রয়েছে। নির্বাচনের সময় তা করবে না, তা এখন নিশ্চিত করা কঠিন। রাজনীতি এমন এক বিষয়, যেখানে স্বার্থ ও সুবিধা অনুযায়ী দলগুলো যেকোনো কিছু করতেই পিছপা হয় না। তবে ধর্ম বা ভারতবিরোধিতার কার্ড ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা আমাদের দেশ বা রাজনীতির জন্য ভালো কোনো ফল দেবে না।

প্রথম আলো : বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান দুটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু এমন একটা সময় আসবে, যখন দুই দলেই কাছাকাছি সময়ে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন পড়বে। তখন কী দেখছেন?

রওনক জাহান : আগেই বলেছি, আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। আবার দলগুলোর নেতৃত্ব গণতান্ত্রিকভাবেও নির্বাচিত নয়। পারিবারিক বিবেচনাতেই দলগুলোর নেতৃত্ব বাছাই হচ্ছে। বিএনপির ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার পর তারেক রহমান নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন—দলটির তরফে সাধারণভাবে এমন বার্তাই দেওয়া আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বিষয়টি এখনো খুব পরিষ্কার নয়। তবে ধরে নেওয়া যায় যে পারিবারিক উত্তরাধিকারের সূত্রেই কেউ নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন। সেই নেতৃত্ব দুর্বলও হতে পারে আবার ভালোও হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে এখন আমরা দেখছি শুধু কেন্দ্রীয় পর্যায়েই নয়, স্থানীয় পর্যায়েও পরিবার ও পারিবারিক উত্তরাধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও তাঁদের পরিবারের লোকজনকেই বিভিন্ন পদে বসাচ্ছেন। ফলে দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিচ থেকে নেতা নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি দিনে দিনে কমে আসতে পারে। আমরা দেখছি যে একটি সংগঠন বা রাজনৈতিক দল হিসেবে যেসব নিয়মনীতি মেনে চলার কথা, তা থেকে দলগুলো দিনে দিনে সরে যাচ্ছে।

প্রথম আলো : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

রওনক জাহান  আপনাকেও ধন্যবাদ।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া