জেলা পরিষদের জমি বেদখলে!

রোববার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৮১ সালে ভোমরা স্থলবন্দরের পাশে জেলা পরিষদের ১৬৫ শতক জমি শহরের কাটিয়ার এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন মহকুমা প্রশাসকের কাছ থেকে কৃষিজমি হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নেন। এরপর তিনি ওই জমির ১৬০ শতক সাবেক তহশিলদার গোলাম মোস্তফা ও জিন্নাত আলীর কাছে বিক্রি করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে তাঁদের কাছ থেকে ওই জমি কেনেন ভোমরা গ্রামের ইউপির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। একই জমি আবার জেলা পরিষদ ১৫ জনকে বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু জমির মালিকানা দাবি করে ওই বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রফিকুলসহ কয়েকজন ২০১৬ সালে আদালতে মামলা করেন, যা এখনো বিচারাধীন। এখন এঁরাই এই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।

 জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী, বন্দোবস্তের জমি হস্তান্তর করার কোনো বিধান না থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা ঘটেছে। কিন্তু কারও যেন কিছু করার নেই। জেলা পরিষদ কৃষিজমি বন্দোবস্ত দিয়েই খালাস। সেখানে আদৌ কৃষিকাজ হচ্ছে কি না, তা দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। যখন জমি বিক্রির বিষয়টি টের পেয়েছে, তখন একটি মামলা ঠুকে দিয়ে যেন দায় সেরেছে। ভবন নির্মাণ বন্ধেও কোনো উদ্যোগ নেই জেলা পরিষদের।

এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়টি জরুরি। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সঙ্গে সরকারি জমি বন্দোবস্ত করার বর্তমান নিয়মে সংস্কার আনতে হবে। কৃষিজমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রভাবশালী ও দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।