ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্পর্ক হবে সহযোগিতামূলক। কোনো ব্যবসায়ী আইন ভঙ্গ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তঁার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আইনের দোহাই দিয়ে রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক আটকানোর চেষ্টা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অথচ মহাসড়কগুলোতে এ ধরনের ঘটনা অহরহই ঘটতে দেখি। অনেক সময় ব্যবসায়ীরাও দ্রুত পণ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে ‘আপসরফা’ করতে বাধ্য হন, চূড়ান্ত বিচারে যার খেসারত দিতে হয় ক্রেতাদেরই।

একই কথা প্রযোজ্য রাজস্ব বিভাগের জন্য। তারা আইন অনুযায়ী কর আদায় করবে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বা আর্থিক সহযোগিতার বিনিময়ে কাউকে ছাড় দেবে কিংবা ‘আপসরফা’ করবে, আবার সেই একই কারণে কাউকে হয়রানি করবে, তা হতে পারে না। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরও দায় আছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ইচ্ছা করেই আইন ভঙ্গ করেন কিংবা কর ফঁাকি দেন, যাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আপসরফা করতে সচেষ্ট থাকেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে কারও নাম বলে অভিযোগ না আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ও অভিযোগ যদি খোলাখুলি বলাই না যায়, তাহলে প্রতিকার পাওয়া যাবে কীভাবে? প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ নেওয়া যেতে পারে। এক ব্যবসায়ী নেতা রাসায়নিক আমদানির বর্তমান নীতিমালা ব্যবসাবান্ধব নয় বলে অভিযোগ করেছেন। ব্যবসায়ীদের এ ধরনের অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়া দরকার, তবে এসব দ্রব্যের অপব্যবহারের বিষয়টিও অস্বীকার করা যাবে না। পারলারের উদ্যোক্তা ও সেবাগ্রহীতা নারী হওয়া সত্ত্বেও সেখানে পুরুষ কর্মকর্তা পাঠানোর বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে এনবিআরকে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হলে ছোট-বড় সব শ্রেণির ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার প্রতি যেমন সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে, তেমনি বন্ধ করতে হবে হয়রানি। এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে তঁারা আস্থাশীল ও অধিক বিনিয়োগে আগ্রহী হন।