বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মহাসড়কের পাশে ফুটপাত এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ফলাফল হচ্ছে নিয়মিত দুর্ঘটনা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। দখলদারেরা সম্ভবত এতটাই শক্তিশালী যে তাদের কারণে মানুষের জীবন গেলেও তাদের স্পর্শ করার সুযোগ নেই।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়া শহরের বনানী মোড় থেকে শাজাহানপুর উপজেলা সদর হয়ে নয়মাইল বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে ফুটপাত এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের খালি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাট ও গ্যারেজ গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে পথচারীদের ফুটপাতের বদলে মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ কারণে গাড়িচাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গত তিন বছরে মহাসড়কের এ অংশে দুর্ঘটনায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দোকানপাট ও গ্যারেজ গড়ে ওঠায় এখানে যানজট লেগেই থাকে। রেস্তোরাঁর কারণে দিনরাত বাস থামিয়ে যাত্রাবিরতি দেওয়া হচ্ছে। যানবাহন পার্কিং করা হচ্ছে যত্রতত্র। গড়ে উঠছে অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড।
যেভাবে ফুটপাত ও সওজের জায়গা দখল করে স্থাপনা করা হচ্ছে, তাতে মনে হয় না এখানে প্রশাসন বলে কিছু আছে। সওজ কর্তৃপক্ষের কি কিছুই করার নেই? দখলদারদের সঙ্গে যোগসাজশ বা ভাগ-বাঁটোয়ারার সম্পর্ক না থাকলে তো এমন হওয়ার কথা নয়। শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য হচ্ছে, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভা করে এ ব্যাপারে সওজকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সওজ আজও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের এ উদাসীনতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সওজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। একই সঙ্গে আমরা অবিলম্বে মহাসড়কের পাশের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দেখতে চাই।