অরক্ষিত চাঁদপুরের শিশু পরিবার

প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই শিশু পরিবার আগে শিশুসদন নামে পরিচিত ছিল। ২০০৫ সালে এটির নাম শিশু পরিবার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এর সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা রয়েছে। যদিও তাদের জন্য বিকল্প রাস্তা রয়েছে। কিন্তু শর্টকাটে যাওয়া যায় বলে তারা এর ভেতরের রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। এ সুযোগে এখানে প্রায়ই বখাটে যুবকেরা ঘোরাঘুরি করে এবং আড্ডা বসায়। শিশু পরিবারের কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করার বেশ কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণে এখানকার শিশুরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে কী করে এমনটা ঘটছে? শিশু পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওপর। তারা কী করছে? চাঁদপুর জেলা প্রশাসনই-বা কী করছে? সরকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুরক্ষিত এলাকা। তার ভেতর দিয়ে কী করে লোকজনের চলাচলের রাস্তা তৈরি হয়?  বিকল্প রাস্তা থাকার পরও এভাবে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সীমানাপ্রাচীরের ভেতর দিয়ে চলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের কি মনে হয় না যে এভাবে নিজেদের সুবিধার জন্য তারা শিশুদের জীবনকে অরক্ষিত করে ফেলছে?

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা এ সমস্যার কথা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের এ উদাসীনতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা উদ্যোগ নিলে নিশ্চয়ই এত দিনে এর একটা সমাধান হতো। কবে তাদের টনক নড়বে?

সমাজসেবা অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। স্থানীয় পৌর মেয়র, জেলা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে পারে। শিশু পরিবারের সীমানাপ্রাচীরের ভেতর দিয়ে যাতে কেউ চলাচল করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।