১১ বিচারক থাকলে সহজে দুটি বেঞ্চ হতো: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ফাইল ছবি

আড়াই মাস ধরে প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য। নতুন প্রধান বিচারপতি কে হচ্ছেন, কবে নিয়োগ পাচ্ছেন-এ নিয়ে গত সোমবার ফোনে প্রথম আলোর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: আপিল বিভাগে একটি বেঞ্চ থাকার কারণে মামলার দ্রুত শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কি প্রধান বিচারপতি না থাকায় দুটি বেঞ্চ হচ্ছে না?
অ্যাটর্নি জেনারেল: তা নয়, এর সঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা জড়িত। ১১ জন বিচারক থাকলে সহজে দুটি বেঞ্চ হতো। কিন্তু সংখ্যা দিয়ে হবে না, গুণ দিয়ে বিচার করতে হবে।

প্রথম আলো: এখন দুটি বেঞ্চ সম্ভব নয়?
অ্যাটর্নি জেনারেল: রিটের যে মামলা হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ শুনেছেন, তা আপিলে সাধারণত তিনজনে শুনে থাকেন। অবশ্য ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে দুজনের বেঞ্চ আছে। তবে বিভক্ত রায় বিবেচনায় বিজোড় সংখ্যা রাখা হয়।

প্রথম আলো: প্রধান বিচার পতির পদ শূন্য রেখে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো যাবে কি?
অ্যাটর্নি জেনারেল: প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, দুটি আলাদা বিষয়। একটির সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক নেই। আবারও বলছি, সংখ্যা নয়, গুণ দিয়ে বিচার করতে হবে।

প্রথম আলো: হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ কবে?
অ্যাটর্নি জেনারেল: এই প্রশ্ন তো এখনো আসেনি।

প্রথম আলো: ৩১ জানুয়ারিতে কি কোনো প্রজ্ঞাপন আসবে?
অ্যাটর্নি জেনারেল: এটা আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।

প্রথম আলো: রিটকারী ড. ইউনূস আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেছেন, দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তাঁর কোনো নিয়োগ নেই। ৯৭ অনুচ্ছেদের আওতায় কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তাই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনকেও অসাংবিধানিক ঘোষণা করার আরজি জানিয়েছেন। আপনার মন্তব্য?
অ্যাটর্নি জেনারেল: আমি এখনো রিট পিটিশন দেখিনি। তাই কীভাবে মন্তব্য করব?

প্রথম আলো: আপনি নিজে আদালতে গিয়ে সাত দিন সময় নেওয়া কী তাৎপর্যপূর্ণ?
অ্যাটর্নি জেনারেল: সাংবাদিকদের অনেকেই এটা অনুমান করেছেন, এর কোনো ভিত্তি নেই।