পাঠকের ওপর ছেড়ে দিন

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

কমবেশি ১০ হাজার অনলাইন পত্রিকা! সংখ্যাটা শুনলেই চমকে উঠতে হয়। উপজেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত এসব পত্রিকার ছড়াছড়ি। সংখ্যাটি ১০ হাজার তা কেউ গুনে বলেছেন, এমনটি নয়। এ নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছেও কোনো হিসাব নেই। তবে এটি একটি ধারণা, যা অনেকেই বিশ্বাস করেন, কেউবা করেন না। সরকারের দৃষ্টিতে এসব পত্রিকার অধিকাংশতেই অপসাংবাদিকতা হচ্ছে। তাই নিয়মনীতির আওতায় আনতে এবং এগুলোকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে নিবন্ধন করতে হবে।
এগুলোর পাশাপাশি সরকার ছাপা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণেরও নিবন্ধন চায়। এ নিয়ে এক নতুন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন পত্রিকার প্রকাশকেরা। তাঁরা সরকারের সব ধরনের নিয়ম মেনেই পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি পেয়েছেন। এসব পত্রিকা নিয়মকানুনের মধ্যে চলছে কি না, তথ্য মন্ত্রণালয় মাঝেমধ্যে তা দেখভাল করে।
এখন সরকারের যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন করতে হবে, সেহেতু ছাপা পত্রিকাগুলোকেও তাদের অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধন নিতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বোঝার চেষ্টা করেছি। তাঁদের অনেকেই মনে করেন, এর আদৌ প্রয়োজন নেই। তবে যেহেতু ‘ওপরের’ নির্দেশ, তাই অপ্রয়োজন মনে করলেও তাঁরা এটা বাস্তবায়ন করতে চান।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছাপা পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা, টিভি ও রেডিওর জন্য অভিন্ন সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে। পাকিস্তানে ছাপা পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকার জন্য একটি এবং রেডিও-টিভির জন্য আরেকটি নীতিমালা রয়েছে। আর আমাদের দেশে রেডিও, টিভি ও পত্রিকার জন্য যতগুলো আইন ও নীতি আছে, সেগুলো একত্র করলে এক ডজনের বেশি হবে। অনেক আওয়াজ দিয়ে একটি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি এবং তার আলোকে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চললেও বিতর্কের মুখে পড়ে এটি এখন কচ্ছপের গতিতে হাঁটছে।
অনলাইন নীতিমালা করার উদ্যোগটি ২০১১ সালের। ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা (খসড়া) নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। এরপর ফেসবুক, বিভিন্ন ব্লগ ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে এর কঠোর সমালোচনা হয়। পাশাপাশি শুরু হয় গোলটেবিল বৈঠক, মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরের মতো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন। প্রাথমিক সেই খসড়া ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বাতিল করে ১৩ সদস্যের একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অনলাইন নীতিমালার খসড়া ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেই খসড়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময় শেষে নীতিমালাটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তথ্য অধিদপ্তর গত ৯ নভেম্বর অনেকটা আকস্মিকভাবে সংবাদমাধ্যমে তথ্যবিবরণী পাঠিয়ে অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর ঘোষণাকে স্ববিরোধী ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছে সংবাদপত্রের প্রকাশক ও মালিকদের সংগঠন নোয়াব। প্রস্তাবিত নীতিমালায় কমিশন গঠন করলেও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওপরই ওই কমিশনকে নির্ভর করতে হতো। কারণ, ওই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষমতা না থাকায় ওটা এমনিতেই দুর্বল থাকত। এখন সেই কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া থেকেও মন্ত্রণালয় সরে গেল।
এর ফলে কী হতে পারে, সেই আভাস দিয়ে নোয়াব জানিয়েছে, সরকার অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন বা পরিচালনার বিষয়গুলো নিজ এখতিয়ারে রাখলে এ ধরনের সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কঠোর হবে, যা মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়া এই নিবন্ধনকে কেন্দ্র করে দলীয় পরিচয় দেখা, হয়রানি বা আর্থিক লেনদেনের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ ওঠাও দেশে আর্থসামাজিক বাস্তবতায় অসম্ভব ব্যাপার নয় বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ দেশেও ছাপা পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে দেশের পাঠকই শুধু নয়, প্রবাসী বাংলাভাষীরাও দেশের তাৎক্ষণিক খবরাখবর জানতে পারছেন। প্রচলিত সব নিয়মকানুন মেনে যাঁরা ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করছেন, তাঁদের অনলাইন সংস্করণের জন্য আলাদা নিবন্ধন কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোরও অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। বিবিসি বাংলাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোরও অনলাইন সংস্করণ আছে। কয়েকটি ইন্টারনেট টেলিভিশন চালু হয়েছে, যেগুলোর সংখ্যা তথ্য মন্ত্রণালয়ও জানে না। এমনকি বিভিন্ন জেলা ও থানা সমিতির ওয়েবসাইট আছে, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ওয়েবসাইটে খবরাখবর প্রকাশ করে। প্রশ্ন উঠেছে, এসব অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন করতে হবে কি না।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, কেউ দেশের বাইরে ওয়েবসাইট খুলে সেখানে নিউজ আপলোড করলে তা সরকার ঠেকাতে পারবে কি না। এমন অনেক ওয়েবসাইটও আছে, যেগুলো বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়।
অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের হলফনামায় কমপক্ষে ১০ ধরনের তথ্য দিতে হবে, যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যেমন চাওয়া হয়েছে; তেমনি চাওয়া হয়েছে চারিত্রিক সনদ, পেশাসম্পর্কিত সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, আর্থিক সচ্ছলতার সনদ, টিআইএন সনদ ইত্যাদি। ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক হিসাবসহ টুকিটাকি আরও অনেক বিষয় থাকবে নিবন্ধন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে। নতুন নিবন্ধন যাঁরা নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এগুলো প্রযোজ্য ধরা হলেও যাঁরা পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি নিয়েছেন, তাঁরা এগুলো ছাড়াও গোয়েন্দা ছাড়পত্র পেয়েছেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিও তাঁদের নিতে হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইনে (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) ৪১টি ধারা ও কয়েক শ উপধারায় পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা সত্ত্বেও নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ৪২ বছর ধরে এই শিল্প চলছে। কেবল ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়, যার ফলে সরকার যখন-তখন পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল করতে পারে না।
ছাপা পত্রিকার সঙ্গে একই প্রকাশক ও মালিক অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করছেন বিধায় তাঁকে আবার নিবন্ধন করতে বলা রীতিমতো হয়রানি। ছাপা পত্রিকার জন্য কঠিন যেসব নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়, তারপর অনলাইনের জন্য আবারও নতুন শর্ত আরোপ করা কার্যত একধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা ছাড়া অন্যকিছু নয়। এমনকি, ছাপা পত্রিকাগুলোর অনলাইন চালুর বিষয়টি যদি কেবল অবগতির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর কথা বলা হয়, সেটিও পত্রিকাগুলোর ওপর বাড়তি ঝামেলা চাপিয়ে দেবে। এটা না জানালে যে সরকারের ক্ষতি হয়ে যাবে, বিষয়টি এমনও নয়।
গত কয়েক মাসে অনলাইন পত্রিকা বিষয়ে সরকারের প্রথম সমালোচনার বিষয় ছিল এগুলোর সংখ্যা নিয়ে, দ্বিতীয় সমালোচনা এ ধরনের পত্রিকার অপসাংবাদিকতা নিয়ে। কিন্তু সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখি না। ২৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে দৈনিক, সাপ্তাহিকসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংখ্যা ২ হাজার ৮১০টি। এ ছাড়া দেশে টেলিভিশন, বেতার, এফএম রেডিও ও কমিউনিটি রেডিওর সংখ্যা প্রায় ১৫০। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এবং যে দেশের অর্ধেক মানুষ শিক্ষিত, সেখানে এতো গণমাধ্যমের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক উঠেছে জোরেশোরে। ফকিরাপুলে একই ঠিকানায় একাধিক পত্রিকার কার্যালয় যেমন আছে, তেমনি একই ছাপাখানায় অনেকগুলো পত্রিকাও ছাপা হচ্ছে। দেয়ালপত্রিকা নামে পরিচিত এসব ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ পত্রিকা যদি টিকে থাকতে ও সরকারের সুবিধা পেতে পারে, তাহলে অনলাইন পত্রিকাগুলোর সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ দেখি না।
সরকার নিবন্ধন করার যুক্তি হিসেবে যেচে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটিও রক্ষার সক্ষমতা ও বাস্তবতা কতটা রয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ সুযোগ-সুবিধার সুষম বণ্টন যেমন নেই, তেমনি সরকারি বিজ্ঞাপনের বাজারও ছোট। এর মধ্যে কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকাকে নিবন্ধন দিয়ে তাদের কী ধরনের সুবিধা এবং কতটুকু দেওয়া যাবে, সেটি সহজেই আন্দাজ করা যায়।
আবার অনলাইন পত্রিকায় অপসাংবাদিকতা যে হচ্ছে না, এমনটি নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের নিবন্ধিত বা অনুমতি পাওয়া গণমাধ্যমগুলো কি হলুদ সাংবাদিকতা করছে না? তবে কেউ এটা করলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান প্রচলিত আইনে রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন অনলাইন পত্রিকাগুলোর জন্য একধরনের হুমকি বলেও সমালোচনা রয়েছে।
২৭ নভেম্বর সংসদে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অনলাইন পত্রিকা অপসাংবাদিকতা করলে অথবা সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। মন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকেও স্পষ্ট যে অপসাংবাদিকতা রোধ করার শক্ত আইন আছে।
নোয়াব ২৩ নভেম্বরের বিবৃতিতে বলেছে, অনলাইন পত্রিকা প্রকাশ করলেও কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করে থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সব রকম সুযোগ রয়েছে।
পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক যা-ই থাকুক না কেন, অনলাইন পত্রিকাগুলো গণমাধ্যমের কুটির শিল্প হিসেবে কাজ করছে। এ ধরনের পত্রিকাগুলো যে স্বাধীন মত প্রকাশে কাজ করে যাচ্ছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর দেশে অসংখ্য অনলাইন পত্রিকা থাকায় রাষ্ট্র, সরকার বা জনগণের ক্ষতি হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
ছাপা পত্রিকার জগৎ দুনিয়াজুড়ে একদিকে ছোট হয়ে আসছে, অন্যদিকে এ ধরনের পত্রিকায় প্রতি কপিতে আয়ের চেয়ে ব্যয় হয় কয়েক গুণ। সে ক্ষেত্রে পত্রিকাগুলোর টিকে থাকার অন্যতম উপায় বেসরকারি বিজ্ঞাপন। আর বেসরকারি বিজ্ঞাপনদাতা ওই প্রতিষ্ঠানকেই বিজ্ঞাপন দেবে, যার পাঠকপ্রিয়তা আছে। তাই চূড়ান্ত বিচারে পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর যেকোনো পত্রিকার অস্তিত্ব নির্ভর করবে এবং সেই বিচারের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন পত্রিকার বিষয়গুলো এতটাই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে, যাতে মনে হয়, এটা বড় কোনো জাতীয় সমস্যা। যে প্রশ্ন চেপে রাখতে পারি না, তা হলো মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তিনটি সংবাদমাধ্যমের অবস্থার কোনো গুণগত পরিবর্তন কি এসেছে? বরং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এগুলোর আয় কমছে, মানও পড়ছে। এটা প্রমাণের জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ওই সব প্রতিষ্ঠানের মান ও আয় যেখানে ধরে রাখা যাচ্ছে না, সেখানে ব্যক্তি উদ্যোগের খুদে এসব অনলাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর অহেতুক নজরদারির প্রয়োজন আছে কি?
শেষে একটি কথাই বলব, আইন মেনে যার যা ইচ্ছা করার সুযোগ দেওয়া হোক। নিবন্ধন, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ—কোনো কিছুরই প্রয়োজন নেই। পাঠকই বিচার করবে কোনটি টিকে থাকবে বা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
শরিফুজ্জামান: সাংবাদিক।
[email protected]