'দাঁড়াও, পথিক-বর...! তিষ্ঠ ক্ষণকাল!'

এ কে এন আহমেদ: ১৯২৪—২০১৬
এ কে এন আহমেদ: ১৯২৪—২০১৬

একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন যে ২৫ বছরের নিচে যেসব নাগরিক রাজনীতি করেন, তাঁরা যদি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস না করেন তাহলে ধরে নিতে হবে তাঁদের হৃদয় নেই। আর ২৫ বছরের বেশি বয়স্ক নাগরিক যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা যদি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে যে তাঁদের কোনো মগজ নেই। এ কে এন আহমেদ (আবুল খায়ের নাজিরুদ্দীন আহমেদ) কৈশোরে সমাজতন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিণত বয়সে তিনি পুঁজিবাদী সংস্কারের জন্য কাজ করেছেন। তবু বিশ্লেষকের এই প্রক্ষেপণ তাঁর ক্ষেত্রে পুরোপুরি খাটে না। সমাজতন্ত্রের পথ তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু এ পথ থেকে সরে আসার বেদনাবোধ তাঁকে সারা জীবনই পীড়িত করেছে। তিনি লিখেছেন, এই পরিবর্তন তাঁর জীবনে, এবং মননে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করে, যা সহজে পূরণ করা যায়নি।
৮৩ বছর বয়সে তাঁর বই Random Thoughts-এ তিনি লিখেছেন, ‘Nevertheless, I still feel that justice and equality embedded in the concept of socialism are right as ideas, and what should be really discredited is the inability of the socialist regimes to live up to them.’ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে পর্বতপ্রমাণ ব্যর্থতা থাকলেও জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক আদর্শে তাঁর বিশ্বাস ছিল অটুট। পুঁজিপতিদের তিনি ঘৃণা করতেন। এক লেখায় তিনি পুঁজিপতিদের দক্ষিণ বোর্নিও দ্বীপের লোভী বানরদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বানর শিকারিরা খোঁজ পেয়ে যায় যে বোর্নিওর বানরেরা মিষ্টি খুবই পছন্দ করে। তারা নারকেলের খোলের মধ্যে এমন গর্ত করে রাখে, যাতে বানর সহজে খোলা হাত ঢোকাতে ও বের করতে পারে। কিন্তু মুষ্টিবদ্ধ হাত বের করতে পারে না। বানর ধরার জন্য নারকেলের খোলে চিনি রেখে দেওয়া হতো। লোভী বানরেরা নারকেলের খোলের ভেতর থেকে মুঠি ভরে চিনি বের করতে চায়, কিন্তু হাত বের করতে পারে না। চিনি ফেলে খোলা হাত সহজেই বের করতে পারে, কিন্তু লোভী বানর চিনি ছাড়া খোলা হাত বের করতে রাজি নয়। তাই নারকেলের খোলের মধ্যে আটক হাত নিয়ে বানর শিকারিদের কাছে ধরা পড়ে। অনুরূপভাবে পুঁজিপতিরা কোথাও লাভের গন্ধ পেলে হাতের মুঠ খুলতে রাজি হয় না। তাই তাদের পতন অনিবার্য।
নাজিরের জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে তাঁর মাতুলালয় খাঁ বাড়িতে। তিনি ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে ২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে মুসলমান কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর বাবা রেজাই রব্বানী ছিলেন পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা। অত্যন্ত সৎ, কর্মনিষ্ঠ কিন্তু চাঁছাছোলা ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ উচ্ছ্বাসহীন জীবন তিনি অতিবাহিত করেছেন। তবু চার ছেলে ও চার মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি। তাঁর মা মুসিয়া খাতুন ছিলেন ভিন্ন মেজাজের। সচ্ছল ঘরের সন্তান, তিনি ছিলেন প্রাণোচ্ছল, অতিথিবৎসল, গান শুনতে ও বই পড়তে ভালোবাসতেন। এসব আবদার মেটাতে সংসারে টানাটানি হতো। নাজিরকে তাঁর মা-বাবা দুজনই প্রভাবিত করেন। বাবার কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন অসাধারণ শৃঙ্খলাবোধ, এবং বাস্তবতাবোধ। মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন মানুষের জন্য দরদ।
তাঁর লেখাপড়ার শুরু কলকাতায়। কলকাতা থেকেই তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করে ১৯৪২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছরের অনার্স) বিএ পাস করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে যাওয়ার আগেই সমাজতন্ত্রের তত্ত্বের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তবে দীক্ষা সম্পূর্ণ হয় প্রেসিডেন্সি কলেজে। তিনি ছাত্র ফেডারেশনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন, এই সূত্রে তাঁর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে শহীদুল্লা কায়সারের। ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসে ভর্তি হন এবং ছাত্র ফেডারেশনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন। সে সময়টা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম লীগের জমানা। প্রগতিশীল ছাত্রনেতারা তাই বারবার মুসলিম ছাত্রনেতাদের হাতে নিগৃহীত হন। এ সময়ে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। তিনি চাকরির জন্য দরখাস্ত করেন এবং চাকরিটা পেয়ে যান। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরও শহীদুল্লা কায়সার, শওকত ওসমান ও নাজিমউদ্দিন হাসিমের মতো বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা আজীবন অব্যাহত থাকে।
স্টেট ব্যাংকের প্রশিক্ষণে খুবই ভালো ফল করায় তাঁকে বিশ্বব্যাংকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রশিক্ষণেও তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন এবং পঞ্চাশের দশকে বিশ্বব্যাংক তাঁকে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান সম্মত না হওয়ায় তিনি বিশ্বব্যাংকে যোগ দিতে পারেননি। অল্পকালের মধ্যেই তিনি স্টেট ব্যাংকে একজন সুদক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁকে স্টেট ব্যাংকে সচিব পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে ‘বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার’ দায়িত্বও তাঁর কাছে অর্পিত হয়। ষাটের দশকে তাঁকে পাকিস্তান শিল্প ব্যাংকে প্রেষণে প্রেরণ করা হয় এবং পরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প ব্যাংকের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি এ সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্যোক্তাদের দ্রুত শিল্পঋণ মঞ্জুরিতে সহায়তা করেন। পাকিস্তান আমলে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান থাকাকালীন তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পূর্ব পাকিস্তান ওয়ের হাউজিং করপোরেশন এবং ইকুইটি পার্টিসিপেশন ফান্ড স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচির স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ১৯৭০ সালে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তাঁকে ঢাকা স্টেট ব্যাংকের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন নির্দেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁকে করাচিতে ফেরত নেওয়া হয়। একপর্যায়ে লায়ালপুর জেলে নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু তিনি সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানে আটকা পড়েন। ১৯৭৩ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন। দেশে ফিরে আসার পর তাঁকে প্রথমে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতি সঞ্চার করার জন্য ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত করেন এবং বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদেও মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যদিও গভর্নর পদে বহাল ছিলেন কিন্তু¯ ‘তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের’ পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারেননি। এর ফলে ১৯৭৬ সালে তিনি গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন।
যে স্বল্পকালীন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, সে সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। কালোটাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ করার জন্য তিনি প্রচলিত ১০০ টাকার নোট বাতিল করে নতুন ১০০ টাকার নোটের প্রচলন করেন। তিনি প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএফআইসি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। পরে এ প্রতিষ্ঠানটি একটি বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেন এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন।
গভর্নর পদ ছাড়ার পর তিনি গাম্বিয়াতে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীকালে বিসিসিআই ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিসিসিআই ব্যাংকে থাকাকালীন তিনি ঢাকায় বিসিসিআই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং বেসিক ব্যাংক স্থাপন করেন। পরে বিসিসিআই ব্যাংকের অবলুপ্তি ঘটে। তবে Random Thought শীর্ষক বইয়ে জনাব আহমেদ লিখেছেন যে তিনি বিসিসিআইএ থাকাকালীন বিবেকের বিরুদ্ধে কিছু করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি।
আশির দশকে তিনি কূটনৈতিক জগতে প্রবেশ করেন। তাঁকে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দৃঢ়তর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১১টি বই লিখেছেন এবং অর্থনীতি ও সমসাময়িক বিষয়ে তাঁর অনেক নিবন্ধ বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। দুটি বই লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে। একটি বইয়ের নাম হলো Japan-Centerpiece of the World (1985), আরেকটি বইয়ের নাম হলো USA Today and Tomorrow (2000)। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্কে তিনি দুটি বই লেখেন, যার একটির নাম Of Deregulation and Central Bank Autonomy (1997) এবং অপরটি On Central Banking Central Bank and Central Banker (2012)। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা প্রশ্নে এ দুটি বইয়ে যে বক্তব্য লিপিবদ্ধ হয়েছে, তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। অর্থনীতির ওপর তিনি তিনটি বই প্রকাশ করেছেন। প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম হলো Economic Essays (1982), দ্বিতীয় বই Washington Consensus এবং তৃতীয় বইটির নাম Globalisation and Related Issues (2002)। সাহিত্য ও আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন চারটি। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতার বই Tormented soul (1985) ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় আত্মজীবনীমূলক রচনাবলি Random Thoughts। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় স্মৃতিচারণামূলক বই Against the Current। তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ হলো Lonely Thoughts (2011)।
এই বহুমুখী প্রতিভার মানুষটির চূড়ান্ত মূল্যায়ন কীভাবে করব? অনেক লেখক তাঁদের প্রত্যাশার কথা সমাধিলিপিতে লিখে যান। যেমন মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছিলেন, ‘দাঁড়াও, পথিক-বর, জন্ম যদি তব বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল!’ শীর্ষক বিখ্যাত সমাধিলিপি। জনাব আহমেদ কোনো সমাধিলিপি লেখেননি, কিন্তু¯এ সম্পর্কে তাঁর প্রত্যাশা ১৯৮৭ সালের ১৪ জুন তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখে গেছেন, ‘When I die I need not be idealized or enlarged in death beyond what I was in life. Indeed I would like to be remembered simply as a good and decent man who saw wrong and tried to right it, saw suffering and tried to heal it, saw injustices and tried to rectify it and above all one who used his limited position and influence for public good and not private gains.’ অবশ্যই যাঁরা এ কে এন আহমেদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত হবেন এবং একজন ভদ্র ও মার্জিত রুচির এবং অবশ্যই উপকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনেকেই তাঁকে দীর্ঘদিন স্মরণ করবেন।
ড. আকবর আলি খান: অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সরকার।