কোচিং সেন্টার বন্ধ

আইন করে সারা দেশে কোচিং সেন্টার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। আশা করি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন। কিন্তু দেশে দুই ধরনের কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর পদ্ধতি রয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা যেসব কোচিং সেন্টারে পড়ান, সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হয়। শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
অন্যদিকে দেশের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালান। অনেক শিক্ষিত বেকার বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রাইভেট পড়িয়ে অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি কিছু রোজগারও করে থাকেন। ফলে তাঁদের কথাও চিন্তা করতে হবে। মোদ্দা কথা, কেউ নিজে থেকে চাইলে প্রাইভেট পড়তেই পারে, কিন্তু জোর করে কাউকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা যাবে না।
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পদ্ধতি নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সরকারি বা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিশেষ ভাতা দিয়ে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিং করানো থেকে বিরত রাখতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গরিব ছাত্রছাত্রী, শিক্ষিত বেকার, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৎ পথে উপার্জনের পথ বন্ধ করা যাবে না।
বিপ্লব, ফরিদপুর।