৪৭ বছর পর মিলল মধুচন্দ্রিমায় হারানো আংটি

মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্ত্রীর দেওয়া প্রথম উপহার আংটিটাই যদি হারিয়ে যায়, তা যে কারও জন্যই খুব খারাপ লাগার অভিজ্ঞতা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক এফ ও’হ্যাগেনেরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ওই আংটিটাই যেন ৪৭ বছর পর বিয়ের প্রথম সময়কার স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে আনল তাঁর জীবনে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেপ কাড উপদ্বীপের সৈকতের একটি এলাকায় গত জুলাই মাসের শেষ দিকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ধাতব বস্তু খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন জিম উইর্থ নামের এক ব্যক্তি। হঠাৎ তিনি একটি সোনার আংটি পেয়ে যান। পরিষ্কার করার পর জানা গেল, আংটিটা ম্যানহাটন কলেজের প্যাট্রিক এফ ও’হ্যাগেন নামের কোনো এক শিক্ষার্থীর ১৯৬৯ সালের ক্লাস রিং।

স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের স্মৃতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ক্লাস রিং পরার চল রয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি একাডেমিতে (ইউএসএমএ) ১৮৩৫ সালে প্রথম ক্লাস রিং পরার এই সংস্কৃতির সূচনা ঘটে।

জিম উইর্থ বলেন, ‘বালু আর কাঁকরের মধ্য থেকে আংটিটা পাই আমি। তখন কালচে ছিল এটা। এর ওপর সবুজাভ কঠিন আস্তর পড়ে
গিয়েছিল।’ এরপর আংটির মালিকের সন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিলেন জিম। সার্চইঞ্জিন গুগলে অনুসন্ধান চালালেন। সামনে চলে এল দ্য বুক অব কেলস নামের একটি স্মৃতিগ্রন্থ। লিখেছেন প্যাট্রিকের স্ত্রী ক্রিস্টিন কেলস ও’হ্যাগেন। বইটা পড়তে পড়তে একটা অধ্যায়ে এল আংটির প্রসঙ্গ। ম্যানহাটন কলেজে প্যাট্রিকের প্রেমে পড়ার কাহিনিটা এখানেই লিখেছেন ক্রিস্টিন। এই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানালেন জিম।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিকে প্যাট্রিক বলেন, তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না প্রথমে। ১৯৭০ সালে কেপ কাডে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে সৈকতে আংটিটা তাঁর আঙুল থেকে খসে পড়ে। সাগরের ঢেউয়ে তা হারিয়ে যায়। প্যাট্রিক বলেন, ‘আমি সব সময়ই আংটিটা ফিরে পেতে চেয়েছি। এটা আমাদের প্রথম জীবনের সময়গুলোর একটা টুকরোর মতো।’

প্যাট্রিক-ক্রিস্টিন দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগের কয়েক দিনের মধ্যেই আংটিটা দিয়ে আসেন জিম। এর আগে অবশ্য পরিষ্কার করে তা প্রায় নতুনের মতো চকচকে করে তোলেন তিনি।