পায়ের গন্ধের জানান দেবে রোবট কুকুর

পায়ের দুর্গন্ধ সবার জন্যই অস্বস্তিকর। কারও কারও ক্ষেত্রে তো জুতা খোলার পর টিকে থাকাই দায় হয়। অথচ একটু সচেতনতা আর পরিচর্যা এই অস্বস্তিকর গন্ধ থেকে মুক্তি দিতে পারে। জাপানে একটি রোবট কুকুর মূর্ছা যাওয়ার ভান করে ঠিক এই পরামর্শটাই দিতে শুরু করেছে।

জাপানের সমাজে জুতা খুলে ঘরে প্রবেশের নিয়ম। প্রতিটি ঘরেই এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। কাজেই কারও পায়ে দুর্গন্ধ হলে তা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় নেই। মুখের ওপর বলেও দেওয়া যায় না, গন্ধটা কতখানি প্রকট।

রোবট কুকুরটি উদ্ভাবন করেছে নেক্সট টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্যের এই ছোট্ট কুকুর পা শুঁকে গন্ধ আছে কি না, তা বলে দিতে পারে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কুকুরটির নাকে গন্ধ শনাক্তকারী সেন্সর সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গন্ধ দূর করতে এয়ার ফ্রেশনারও স্প্রে করতে পারে এটি।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, পায়ে গন্ধ শনাক্ত করতে পারলে কুকুরটি ঘেউ ঘেউ শুরু করে। আর গন্ধটা যদি অসহ্য রকম হয়, তাহলে চার পা ছড়িয়ে মূর্ছা যাওয়ার ভান করে এটি।

নেক্সট টেকনোলজির কর্মী কিমিকা সুজি বলেন, এক ব্যক্তির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা রোবট কুকুরটি তৈরি করেছেন। ওই ব্যক্তির মেয়ে বলেছিল, তার বাবার পায়ে গন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই নিজের পায়ের দুর্গন্ধ কতটা প্রকট, তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি।

জাপানে পায়ের দুর্গন্ধ দিনে দিনে বড় একটি ইস্যু হয়ে উঠছে। আশপাশের লোকজনের জন্য সামান্য পীড়াদায়ক কিছু করাও দেশটিতে হয়রানির পর্যায়ে ধরা হয়।

এর আগে গত জুলাই মাসে কোনিকা মিনোলতা নামে জাপানের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি পকেটে রাখা যায় এমন আকারের ডিভাইস অগ্রিম বিক্রির ঘোষণা দেয়। এই যন্ত্রটি দিয়ে মানুষ নিজের শরীরে তিন ধরনের গন্ধ পরীক্ষা করতে পারে।

নেক্সট টেকনোলজি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তাদের রোবট কুকুরটি বাজারজাতের পরিকল্পনা করেছে। তবে আকারে ছোট হলেও দামের দিক থেকে মোটেও ছোট নয় এটি। আগ্রহী ব্যক্তিদের এই কুকুর পেতে গুনতে হবে ৯ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলার।