বনসাই

শৌখিন মানুষের কাছে এখন বনসাই বেশ জনপ্রিয়। তবে গৃহসজ্জায় এই বামুন আকৃতির গাছের ব্যবহার বহু পুরোনো। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, বনসাইয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রচলন হয়েছিল চীনের হান ও কিন সাম্রাজ্যে। বছরের হিসাবে তা খ্রিষ্টপূর্ব ২২১ থেকে ২২০ সালের কোনো এক সময়ে। চীনে বনসাই তৈরির সে শিল্পকে বলা হতো পেনজিং। কিন সাম্রাজ্যের একটি চিত্রকর্ম উদ্ধারের পর বনসাই প্রচলনের ইতিহাস সম্পর্কে জুতসই প্রমাণ মেলে। কারণ, সে চিত্রকর্মে দেখা গিয়েছিল বনসাইয়ের ব্যবহার।
চীনে প্রচলনের কথা বলা হলেও বনসাই শব্দটি অবশ্য জাপানি ভাষার একটি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে ‘টবে রোপিত গাছ’। যদিও জাপানের অধিবাসীদের সঙ্গে বনসাইয়ের প্রথম পরিচয় হয় ছয় শতকে। সে সময় জৈন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের একটি দল চীন ভ্রমণ শেষে জাপানে ফিরে আসে। তাদের থেকেই জাপানে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বনসাই।
সারা দুনিয়ায় বনসাই ছড়িয়েছে আরও পরে। ১৯০৯ সালে পশ্চিমা জনসাধারণের জন্য প্রথম বনসাইয়ের প্রদর্শনী হয় লন্ডনে। যুক্তরাষ্ট্রের বনসাইয়ের আগমন ১৯৫০ সালের দিকে। জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার পর, দেশটার অনেক সামরিক ও বেসামরিক লোকের জাপানে যাতায়াত বেড়ে যায়। তাঁদের হাত ধরে বনসাই জায়গা করে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতিতে। এরপর অনেকটা দ্রুতই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই শিল্প।
সিএনএন ও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অবলম্বনে আকিব মো. সাতিল