সৌরজগতের কাছেই বাসযোগ্য গ্রহ?

শিল্পীর তুলিতে সৌরজগৎ। ছবি: রয়টার্স
শিল্পীর তুলিতে সৌরজগৎ। ছবি: রয়টার্স

পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য আরেকটি গ্রহ খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভিনগ্রহবাসীর আসলেই কোনো অস্তিত্ব আছে কি না, থাকলে তাদের ঠিকানা কোন গ্রহ—বহুদিন ধরে তারও জবাব খুঁজছেন গবেষকেরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সৌরজগতের খুব কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টোরিরও হয়তো সূর্যের মতো পরিবার থাকতে পারে। সেই পরিবারে লুকিয়ে থাকতে পারে পৃথিবীর মতো এক বা একাধিক গ্রহ।

প্রক্সিমা সেন্টোরি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁরা সম্প্রতি লাল বামন এই নক্ষত্রের চারপাশে বলয় আবিষ্কার করেছেন। এর আগে গত বছর প্রক্সিমাতে পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহটির নাম দেওয়া হয় প্রক্সিমা বি, যাকে বাসযোগ্য বলেই
মনে করা হচ্ছিল। এর অন্যতম কারণ, গ্রহটির আকৃতি পৃথিবীর প্রায় সমান।

প্রক্সিমা সেন্টোরির চারপাশের বলয় শনাক্তকারী বিজ্ঞানী দলের একজন চিলির এনরিক ম্যাক। তিনি তাঁর দেশের অ্যাটাক্যামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে (আলমা) টেলিস্কোপ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রক্সিমাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, প্রক্সিমার সৌর ব্যবস্থা গড়ে ওঠার সময়কার ধ্বংসাবশেষগুলোই ওই বলয় তৈরি করেছে। আর এই ধারণাই বিজ্ঞানীদের মনে সেখানে আরও গ্রহ খুঁজে পাওয়ার প্রেরণা জোগাচ্ছে। প্রক্সিমার বলয়ে তিনটি ধুলোময় অঞ্চল শনাক্ত করেছেন এনরিক ও তাঁর দল।

তবে সমস্যা হলো, প্রক্সিমার চারপাশের বলয়টি খুবই ঠান্ডা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই বলয়ের তাপমাত্রা মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।

প্রক্সিমা সেন্টোরিকে সূর্যের নিকটতম প্রতিবেশী বলা হলেও দুই নক্ষত্রের মধ্যে দূরত্ব কিন্তু কম নয়। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪ দশমিক ২৫ আলোকবর্ষ দূরে এটি। আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এভাবে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রান্ত হয়, তা-ই এক আলোকবর্ষ।