বুলবুলির ছানা

গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকের কথা। এক ভোরে ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচিরে। বারান্দায় গিয়ে দেখি সামনের মেহগনিগাছে বাসা বেঁধেছে এক জোড়া বুলবুলি। বুলবুলি জোড়ার মতো আমিও অপেক্ষায়, নীড়ে আসবে নতুন অতিথি। পাঁচ-ছয় দিন পর নীড় আলো করে এল তিনটি ডিম! ডিমের সাদা গায় ছোপ ছোপ খয়েরি দাগ। আনন্দে মন নেচে উঠল। আবার দিন গুনতে লাগলাম—কবে ডিমের খোসা ভেঙে বেরিয়ে আসবে ছোট্ট ছানাগুলো। প্রতিদিন উঁকি মারি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মা পাখি ডিমে তা দিয়ে যাচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ। এক এক করে তিনটি ডিম ফুটল অবশেষে। মা পাখির অবসরের সময় নেই। বাড়তি খাবারের খোঁজে ব্যস্ত পাখিটি। ঠোঁটে করে আনা খাবার তুলে দেয় ছানাগুলোর মুখে। ঝড়-বৃষ্টির সময় মা পাখি তার ডানার নিচে আগলে রাখে তাদের। দিন যেতে থাকে, সময়ের সঙ্গে বড় হতে থাকে ছানাগুলো। ছবিগুলো মোহাম্মদপুরের মাদরাসা রোড থেকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে।

গাছের মগডালের পাখির বাসায় ডিম। ডিমের সাদা গায় ছোপ ছোপ খয়েরি দাগ।
গাছের মগডালের পাখির বাসায় ডিম। ডিমের সাদা গায় ছোপ ছোপ খয়েরি দাগ।
ডিম থেকে বেরিয়ে এসেছে বুলবুলি ছানা। তবে চোখ ফোটেনি এখনো।
ডিম থেকে বেরিয়ে এসেছে বুলবুলি ছানা। তবে চোখ ফোটেনি এখনো।
ছোট্ট একটু পেটে যেন ক্ষুধার রাজ্য! খাওয়ার জন্য সারাক্ষণই হাঁ করে থাকে।
ছোট্ট একটু পেটে যেন ক্ষুধার রাজ্য! খাওয়ার জন্য সারাক্ষণই হাঁ করে থাকে।
খাবারের সন্ধানে মা পাখি। সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয় খাবার সংগ্রহে।
খাবারের সন্ধানে মা পাখি। সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয় খাবার সংগ্রহে।
নিজে না খেয়ে ছানাগুলোর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা পাখি।
নিজে না খেয়ে ছানাগুলোর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা পাখি।
আস্ত ব্যাঙ গিলে ফেলার চেষ্টায় একটি বুলবুলি ছানা।
আস্ত ব্যাঙ গিলে ফেলার চেষ্টায় একটি বুলবুলি ছানা।