অদ্ভুত বর্ষবরণ

আতশবাজি তাদের কাছে ছেলেখেলা। শুধু শুভেচ্ছাবিনিময়েও তারা বিশ্বাসী না। তাই অদ্ভুত রীতিতে বর্ষবরণ করে বিশ্বের অনেক জনগোষ্ঠী। নতুন একটা বছর শুরুর আগে বিশ্বজুড়ে এমন অদ্ভুত কিছু বর্ষবরণের কথাই থাকছে এখানে।

গরুর সঙ্গে কথোপকথন

রোমানিয়ার কৃষকেরা বছরের প্রথম দিনে তাঁদের গৃহপালিত গরুর সঙ্গে কথোপকথনের চেষ্টা করেন। সফল হলে তা সৌভাগ্যের লক্ষণ বলে গণ্য হয়। বেলজিয়ামে তো গরুর কানে কানে গিয়ে বলে আসা হয়, ‘শুভ নববর্ষ!’

ধাতব মুদ্রায় সৌভাগ্য

বলিভিয়ায় মিষ্টান্ন তৈরির সময় উপকরণের ভেতরে ধাতব মুদ্রা বা কয়েন রেখে দেওয়া হয়। খাওয়ার সময় যে সেই কয়েনটি পাবে, বছরটি তার জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করা হয়।

উত্তপ্ত নববর্ষ

ফিনল্যান্ডে নববর্ষ একটু ‘উত্তপ্ত’। দিনটি তারা উদ্‌যাপন করে এক বালতি পানিতে গলিত টিন ঢেলে। শীতল পানির সংস্পর্শে টিন জমাট বেঁধে যে আকার তৈরি হয়, তা বিশ্লেষণ করে ঠিক করে তাদের নতুন বছরটা কেমন যাবে।

আঙুরেই সৌভাগ্য

স্পেনে নতুন বছরে আঙুরেই তাদের সৌভাগ্য বলে বিশ্বাস করে। কেউ যদি নববর্ষের শুরু অর্থাৎ মধ্যরাতে মুখে ১২টি আঙুর পুরতে পারে, তবে ধরে নেওয়া হয় বছরটি তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে।

উদরপূর্তি নববর্ষ

এস্তোনিয়ায় বর্ষবরণ মানেই উদরপূর্তি। এদিন দুবেলা-তিনবেলা না, সাতবার খেয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপন করে এস্তোনিয়ার অধিবাসীরা। কেন? তাদের ধারণা, এতে বছরজুড়ে থাকবে খাদ্যের প্রাচুর্য।

তারা নববর্ষে ‘পদার্পণ’ করে

ডেনমার্কের অধিবাসীরা নববর্ষ পালনে প্রথমে চেয়ারের ওপর উঠে বসে, এরপর ঝাঁপ দেয় নতুন বছরে (পড়ুন মেঝেতে)। আরেকটি রীতি আছে তাদের। বছরজুড়ে যত বাতিল তৈজসপত্র জমা হয় সেগুলো আত্মীয়-বন্ধুদের দরজায় ছুড়ে মারে নববর্ষের দিনে।

দেয়ালে পাউরুটি

আয়ারল্যান্ডে দেয়ালে পাউরুটি ছুড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। তাতে দেয়ালের কিছু না হোক, অভিশপ্ত আত্মা দূর হয় বলে তাদের ধারণা।

মেঝেতে আইসক্রিম

সুইজারল্যান্ডে নববর্ষ পালন করা হয় মেঝেতে আইসক্রিম ফেলে। কে জানে তাতে কত সুস্বাদু আইসক্রিম নষ্ট হয়!

গ্রন্থনা: মেহেদী হাসান