নামের কারণে বিক্রির শীর্ষে

মাইকেল উলফের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি (বাঁয়ে) ও র‍্যান্ডাল হানসেনের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি
মাইকেল উলফের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি (বাঁয়ে) ও র‍্যান্ডাল হানসেনের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি

নামও কখনো কখনো টানে। এই যেমন ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি বইয়ের কথাই ধরা যাক। ১০ বছর আগে প্রকাশিত বইটা হঠাৎ করেই এখন বিক্রির শীর্ষে।

এটুকু পড়েই হয়তো অনেক সচেতন পাঠক ভ্রু কোঁচকাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ হয়তো বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর হোয়াইট হাউস নিয়ে সাংবাদিক মাইকেল উলফের লেখা ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি বই তো এই সেদিন প্রকাশ হলো। এক সপ্তাহও হয়নি। ১০ বছর আগে এই বই কীভাবে প্রকাশিত হলো? এ রকমই এক বিভ্রান্তির কারণে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক র‍্যান্ডাল হানসেনের বই এখন বিক্রির শীর্ষে।

ঘটনা খোলাসা করা যাক। মাইকেল উলফের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস বইটি গত শুক্রবার প্রকাশের পরপরই আলোচনার শীর্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর হোয়াইট হাউসের ভেতরকার নানা তথ্য উপস্থাপন করে বোমা ফাটাচ্ছে এটি। আর র‍্যান্ডাল হানসেনের বইটার নাম ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: দ্য অ্যালাইড বম্বিং অব জার্মানি, ১৯৪২-১৯৪৫। ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয় এটি। বইটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেখা। কিন্তু অধিকাংশ পাঠক কেনার সময় বইয়ের নামের দ্বিতীয় অংশটি আর দেখছেন না। প্রথম অংশ দেখেই মাইকেল উলফের বই মনে করে কিনে নিচ্ছেন হানসেনের বই।

বিষয়টা বইটির লেখক অধ্যাপক হানসেনকেও অবাক করেছে। তিনি
বলেন, ‘বইটা প্রকাশের পর এতটা আগ্রহ আমি কখনো দেখিনি।’ ওয়াশিংটনে শুক্রবার যখন মাইকেল উলফের বইটার প্রকাশনা অনুষ্ঠান হচ্ছে, হানসেন তখন ওই শহরেই অবস্থান করছিলেন। সহকর্মীদের সঙ্গে বইয়ের নাম নিয়ে রসিকতাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনে লগইন করেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। ওয়েবসাইটটিতে সেরা বিক্রীত তিনটি বইয়ের মধ্যে একটি তাঁর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি!

হানসেন অবশ্য কিছু পরই বুঝতে পারেন, পাঠক তাঁর বইটি কিনছে নামে বিভ্রান্ত হয়ে। টুইটারে এক ব্যবহারকারীর টুইট উদ্ধৃতও করেছেন তিনি। ওই ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দুর্ঘটনাবশত বইটা কিনেছি আমি।’ এর জবাবে হানসেন লিখেছেন, ‘এটা আমার ভুল না বন্ধু।’