ফোয়ারা

ফোয়ারা এখন সৌন্দর্যবর্ধক উপসর্গ হলেও একসময় তা ছিল সুপেয় পানির কৃত্রিম আধার। সেটা তৈরি করা হতো প্রাকৃতিক ঝরনার প্রবাহকে ব্যবহার করে। ফোয়ারাগুলোর চারপাশে তৈরি করা হতো চৌবাচ্চার আকারের পাত্র, যেখানে সুপেয় পানি জমা হতো। যেখান থেকে নগরের বাসিন্দাদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করা হতো। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এমন ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছিল। সে ফোয়ারা দেখতেও এখনকার মতো দৃষ্টিনন্দন ছিল না।

প্রায় একই ধরনের ফোয়ারা খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার বছর আগে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা এবং ক্রিটে দেখা গিয়েছিল বলে গবেষকদের ধারণা। দ্য অরিজিনস অব এভরিথিং বইয়ের লেখক গর্ডন গ্রিমলির মতে, আধুনিক কালে আমরা যে কৃত্রিম ফোয়ারা দেখি, এগুলোর ধারণা এসেছিল পঞ্চদশ শতকের ইতালিতে। ধীরে ধীরে এসব কৃত্রিম ফোয়ারা ফ্রান্সেও ছড়িয়ে পড়ে।

যুক্তরাজ্যে প্রথম ফোয়ারা তৈরি করা হয় ১৮৫৯ সালে। সে যুগে টেমস নদীর দূষিত পানি থেকে কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর যুক্তরাজ্যের উচ্চবিত্তদের সহায়তায় লন্ডন নগরীতে প্রথম সুপেয় পানির ফোয়ারা তৈরি করা হয়। প্রায় একই সময় যুক্তরাষ্ট্রেও ফোয়ারা তৈরির কথা জানা যায়। এরপরই ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কৃত্রিম ফোয়ারা তৈরি হতে থাকে।

দ্য গার্ডিয়ান ও হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে

আকিব মো. সাতিল