পর্দায় লিখি বাংলা সাবটাইটেল

>

তাঁদের মতো অনেক তরুণ এখন বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের সাবটাইটেল বাংলায় তৈরি করেন। ছবি: খালেদ সরকার
তাঁদের মতো অনেক তরুণ এখন বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের সাবটাইটেল বাংলায় তৈরি করেন। ছবি: খালেদ সরকার

সাধারণ দর্শক যেন ভিনদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ উপভোগ করতে পারেন, এ জন্য বাংলায় সাবটাইটেল তৈরি করেন একদল তরুণ। কাজটি তাঁরা করেন শখের বশে, মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসায়। যে কাজে তাঁদের ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নেই, নেই কোনো স্বীকৃতি। প্রচ্ছদ আয়োজনে রইল ব্যতিক্রমী এই তরুণদের কথা।

তাঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া, কেউবা সদ্য স্নাতক। ফেসবুকে তাঁদের পরিচয় সাবটাইটেল অনুবাদক হিসেবে। ভিনদেশি সিনেমা ও সিরিজের সাবটাইটেল (সংলাপের মুদ্রিত রূপ) তাঁরা বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে।

তাঁদের সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই ততক্ষণে জানা হয়েছে। কিন্তু জানা হয়নি কীভাবে তাঁরা সাবটাইটেল অনুবাদ শুরু করলেন। কথা উঠতেই সবাই তাকালেন মশিউর শুভর দিকে। স্বল্পভাষী শুভ সবার নজরে পড়ে আরও যেন আড়ষ্ট হলেন। শুভর পাশেই বসে ছিলেন সারাহ্ ইকবাল। তিনিই বললেন, ‘আমাদের সবার গল্প প্রায় একই, প্রত্যেকেই আমরা সিনেমাপাগল। ফেসবুকে সিনেমা নিয়েই আড্ডা-আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক করি। অনুবাদের কাজে জড়ানো অনেকটা শখের বশে।’

তাঁর কথা শেষ হতেই রাকিব মাহমুদ যোগ করেন, ‘এ ছাড়া সবার একটা উদ্দেশ্য আছে, ভাষার কারণে দেশের অনেক মানুষই বিদেশি সিনেমা দেখে পুরোপুরি বোঝেন না। তখন নিজের মতো গল্প সাজান। কিন্তু অনেক সিনেমায় দারুণ দারুণ সংলাপ থাকে, জানার মতো বিষয় থাকে, যা বুঝলে সিনেমা আরও বেশি উপভোগ্য হয়। মানুষ যেন মাতৃভাষায় বিশ্বের সেরা চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারে, অনুবাদে আসার ক্ষেত্রে আমাদের এমন বোধও কাজ করেছে।’ আবারও সবার দৃষ্টি শুভর দিকে। সারাহ্ বললেন, ‘ওর গল্পটা একটু অন্য রকম।’ মৃদু হেসে শুভ বলতে থাকেন সেই অন্য রকম গল্প।

২০১৫ সালের কথা। কলেজপড়ুয়া শুভ ফেসবুকে বাংলা সাবটাইটেল নামের গ্রুপটিতে যুক্ত হন। কিন্তু নিজে কখনো সাবটাইটেল অনুবাদ তো করেনইনি, বাংলা সাবটাইটেল নামিয়ে সিনেমাও কখনো দেখেননি। একদিন সেই গ্রুপ থেকে শুভকে উদ্দেশ করে স্ট্যাটাস দেওয়া হলো। স্ট্যাটাসটির ভাষা ছিল কঠিন। কারণ, মশিউর শুভ নামের একজন ভুলভাল সাবটাইটেল অনুবাদ করেছেন। এমন বাজে মানের অনুবাদ মেনে নেওয়া যায় না! স্ট্যাটাসটা দেখে শুভর চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। তিনি বলে যান, ‘বাংলা সাবটাইটেল। অনুবাদ। ভুলভাল। আমি! কিছুই মেলাতে পারছিলাম না।’ তারপর তোপের মুখে শুভ সেই পোস্টে নিজের কথাগুলো গুছিয়ে লিখলেন, ‘আপনারা যে মশিউর শুভকে তুলাধোনা করছেন, নাম এক হলেও, আমি সেই মানুষটি নই!’

অত সহজে কি চিড়া ভেজে! শুভর কথায় অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলেন, অনেকে বিশ্বাসও করলেন। তর্কে তর্কে একসময় মিটমাট হলো সেই ঘটনা। কিন্তু যে ঘটনার জন্য এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি শুভ, একদিন সেটাতেই ডুব দিলেন তিনি। নাটকীয় সেই অভিষেকের পর দিনে দিনে বাংলায় অনুবাদ করলেন বিদেশি প্রায় ৫০টি চলচ্চিত্রের সাবটাইটেল।

টাইটানিক ছবির একটি মুহূর্তে বাংলা সাবটাইটেল
টাইটানিক ছবির একটি মুহূর্তে বাংলা সাবটাইটেল

শুভর কথার রেশ ধরেই মোহাম্মদ ইউসুফ বলে গেলেন, ‘অনুবাদের মানের ব্যাপারে কমিউনিটির সবাই সচেতন। আমরা বাংলা একাডেমির ভাষারীতি অনুসরণ করি। আটকে গেলে সিনিয়রদের সহায়তা নিই। সেখানে সবাই খুব হেল্পফুল।’

১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওয়াহিদ সাদিক, মোহাম্মদ ইউসুফ, মাসুদ হুসাইন, রাকিব মাহমুদ, ফুয়াদ আনাস আহমেদ, সারাহ্ ইকবাল ও মশিউর শুভ—এই সাতজন অনুবাদক দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন প্রথম আলোর কার্যালয়ে। প্রতিনিধি বলছি কারণ, এই অনুবাদকের দলটা নেহাতই ছোট নয়। সারা দেশ থেকে এই তরুণদের মতো আরও অনেকে যুক্ত আছেন অনুবাদের কাজে। যাঁদের মধ্যে আছেন শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংকারসহ নানা পেশার মানুষ। তাঁদের অনেককেই পাওয়া যায় ‘অনুবাদকের আড্ডা’, ‘বাংলা সাবটাইটেল’, ‘সাবটাইটেল হাট’, ‘সাবটাইটেল মেকারস’-এর মতো অনুবাদকদের গ্রুপসহ সিনেমাভক্তদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে। আবার অনেকে আছেন নিভৃতে কাজ করে যান। তাঁদের কাজ পাওয়া যায় সাবটাইটেল প্রকাশের ওয়েবসাইট সাবসিনে (subscene)।

সেদিন সন্ধ্যায় সাত তরুণ আরও অনেক গল্প করলেন। এমনিতে তাঁরা একে-অপরের খুঁটিনাটি জানেন, গ্রুপে খুনসুটি-আলাপ-তর্ক করেন। কিন্তু সামনাসামনি অনেকের এটাই প্রথম দেখা। তাই সবার কথায় উচ্ছ্বাস মিশে ছিল আলাপের পুরোটা জুড়ে।

আড্ডায়-আলাপে অনুবাদ

একক ও দলগতভাবেও অনুবাদের কাজ করেন অনেকে। নানা নামে তাঁদের ফেসবুক গ্রুপ আছে। এর মধ্যে ‘বাংলা সাবটাইটেল’ অনুবাদকদের সবচেয়ে বড় গ্রুপ। সদস্যসংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার। সিনেমা-সিরিজ-সাবটাইটেল এসব নিয়েই যত আলোচনা সেখানে। হলিউড, বলিউড, ইরানি, কোরীয়সহ বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র ও সিরিজের অনুবাদ করেন সদস্যরা। বাংলা অনুবাদকদের প্রায় সবাই এই গ্রুপে যুক্ত আছেন।

তবে দলগত কাজের জন্য আছে আলাদা আলাদা দল। বিভিন্ন নামের গ্রুপে ভাগ হয়ে তাঁরা কাজ করেন। এমন একটি গ্রুপ ‘অনুবাদকের আড্ডা’। এর প্রতিষ্ঠাতা ফরহাদ হোসেন নিজেদের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘অন্য ভাষার জ্ঞান ও বিনোদনমূলক কাজ নিজের ভাষায় রূপান্তর করা এবং নিজের ভাষায় তৈরি নান্দনিক কাজগুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা—এই দুই উদ্দেশ্য নিয়ে অনুবাদকদের আড্ডার সূত্রপাত।’

এই গ্রুপটি ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাদের সাবসিন (http://subscene.com/u/775196) প্রোফাইলে প্রায় ৫২টি বিদেশি চলচ্চিত্র ও সিরিজের সাবটাইটেল বাংলায় অনুবাদ করে তুলে দিয়েছে। তারা সিনেমা ও সিরিজের সাবটাইটেল অনুবাদ ছাড়াও বিদেশি লেখকের বই, সাময়িকী, বক্তৃতা, নিবন্ধ অনুবাদ করে। এগুলো প্রকাশ করে নিজেদের ওয়েবসাইটে (http://onubadokderadda.com/)।

আরেকটি গ্রুপের নাম ‘সাবটাইটেল হাট’। প্রায় ১৯ হাজার সদস্যের গ্রুপটা চালু করেন হাসিবুজ্জামান, নাভিদ জুনায়েদ চৌধুরী, বায়েজীদ আলী, জয়ন্ত মণ্ডল ও তাহমিদ শাহরিয়াররা। মডারেটর হিসেবে আছেন আরও কয়েকজন। এই দলে কাজ করেন ওয়াহিদ সাদিকও। তিনি বললেন, ‘দলগতভাবে কাজ করলে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন কোনো সিনেমায় বারো শ সংলাপ আছে। একা অনুবাদ করলে বেশ সময়ের প্রয়োজন, কিন্তু ছয়জন ভাগ করে অনুবাদ করলে দ্রুত শেষ হয়।’ দলগত কাজের আরও কিছু সুবিধার কথা জানালেন তাঁরা। একটি চলচ্চিত্রের অনুবাদ শেষে তা সম্পাদনা দলকে দেওয়া হয়। তারা আবার সেটা সম্পাদনা করে। এতে অনুবাদের মান ভালো হয়।

ফেসবুকে সাবটাইটেল অনুবাদকদের কয়েকটি গ্রুপ
ফেসবুকে সাবটাইটেল অনুবাদকদের কয়েকটি গ্রুপ

তাঁরা ‘সিরিয়াল কিলার’

ভয় পাবেন না, বিদেশি সিরিজ অনুবাদ করেন এমন অনুবাদকেরা নিজেদের দলের নাম দিয়েছেন ‘সিরিয়াল কিলার’। ফুয়াদ আনাস আহমেদ বললেন, ‘আমি এই “সিরিয়াল কিলার”দের প্রধান নির্বাহী! শুধু সিরিজগুলো অনুবাদ করি বলেই এমন নাম।’ চলচ্চিত্রের সাবটাইটেল অনুবাদের পাশাপাশি এখন জনপ্রিয় সিরিজের পর্বগুলোর সাবটাইটেল অনুবাদকদের অনেক দল তৈরি হয়েছে। তাঁরা দলগতভাবে ইংরেজি সংলাপ বাংলায় অনুবাদ করেন।

প্রাপ্তি তাঁদের প্রশংসা

অনুবাদের কাজ করে তাঁরা কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হন না। অনেকে প্রশংসা করেন, প্রাপ্তি এটুকুই। সরব হলেন মোহাম্মদ ইউসুফ, ‘না না, টাকাপয়সাও পাওয়া যায়। দক্ষিণ ভারতের মালায়লাম সিনেমার অনুবাদ করেছিলাম একটা। সেটা দেখে আমার দুলাভাই খুশি হয়ে ৫০০ টাকা পকেটে গুঁজে দিয়েছিলেন!’ ইউসুফের রসিকতায় বাকিরা হো হো করে হেসে উঠলেন।

নাম তাঁর সায়মন অ্যালেক্স

ফেসবুকে তিনি এই নামেই পরিচিত। তবে অনেকের ধারণা, এটা তাঁর সত্যিকারের নাম নয়। সায়মন অ্যালেক্সকে এখনকার বাংলা অনুবাদকদের পথপ্রদর্শক বলা যায়। সাবসিনে (http://subscene. com/u/772726) তাঁর প্রোফাইলে অনুবাদ করা চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৭৪। এটাই বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদকদের মধ্যে একক সর্বোচ্চ।

২০১৩ সালে তাঁর হাতেই অনুবাদকদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা সাবটাইটেল’ গ্রুপের জন্ম। সায়মন অ্যালেক্সের সঙ্গে কথা হয়েছিল ফেসবুক মেসেঞ্জারে। তিনি বললেন, ‘অর্জন বলতে মানুষের ভালোবাসা। প্রতিদিনই মানুষ মেসেজ পাঠায়। প্রশংসা করে। নতুন সাবটাইটেল চায়।’

বাংলা সাবটাইটেলের ক্ষুদ্র ইতিহাস

অনুবাদকদের গ্রুপ বাংলা সাবটাইটেলে মিলল চলচ্চিত্র ও সিরিজ অনুবাদকদের পথচলার ক্ষুদ্র ইতিহাস নিয়ে একটি লেখা। লিখেছেন গ্রুপটির প্রশাসকদের একজন এবং নরসিংদীর একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক তৌফিক কুশল। বাংলা সাবটাইটেল নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই অনেক কাজ হচ্ছে। তবে জোয়ার শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের দিকে। তিনি বললেন, ‘তবে আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে জেনেছি, ২০০৯ সাল থেকেই অনেকে এ কাজে যুক্ত আছেন।’

কতগুলো অনুবাদ হয়েছে

চলচ্চিত্র রেটিংয়ের ওয়েবসাইট আইএমডিবিতে (ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেইস) যেসব চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের বাংলা সাবটাইটেল তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোর একটি তালিকা (http://bit.ly/BanglaSubList) পাওয়া যায়। ক্যাপ্টেন ফাহিম নামের একজন এই তালিকা তৈরি করেছেন। সে তালিকায় ১ হাজার ৪৩২টি বাংলা অনুবাদ লিংক রয়েছে। তালিকায় এখন পর্যন্ত আইএমডিবির সেরা ২৫০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রায় ১৮৫টি চলচ্চিত্রের বাংলা সাবটাইটেল করা হয়েছে বলে ফাহিম তাঁর ভূমিকায় লিখেছেন, ‘তালিকা করার ক্ষেত্রে যেসব সাবটাইটেলে সমস্যা আছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। দুই বা ততোধিক অনুবাদকের কাজও প্রতিটি চলচ্চিত্রের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।’

তরুণদের কাজ সম্পর্কে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ বলেন, ‘সাবটাইটেল অনুবাদের কাজটি খুবই ধৈর্যের ব্যাপার। তরুণেরা কাজটি যেহেতু স্বেচ্ছায় করেন, তাঁরা এ জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তবে যেনতেন বাংলায় অনুবাদ করলেই হবে না, মানের দিকেও নজর দিতে হবে। যেমন নজর দিতে হবে চলচ্চিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে।’

অনেকে মুঠোফোনেও অনুবাদের কাজ করেন
অনেকে মুঠোফোনেও অনুবাদের কাজ করেন

সাবটাইটেল মিলবে সাবসিনে

সাবসিনে (https://subscene.com) নানান ভাষায় অনুবাদকেরা সাবটাইটেল প্রকাশ করেন। কাঙ্ক্ষিত সিনেমার সাবটাইটেল পেতে সাবসিন ওয়েবসাইটের সার্চ অপশনে সঠিক ইংরেজি শব্দে সিনেমা বা সিরিজের নাম লিখুন। ছবির নামের সঙ্গে যতগুলো ভাষায় অনুবাদ হয়েছে তার সবগুলো সাবটাইটেল আপনাকে দেখাবে। তারপর প্রয়োজনীয় সাবটাইটেলটি ডাউনলোড করে নিন।

নতুন অনুবাদকদের জন্য

ভাষাজ্ঞান থাকলে অনুবাদ করা খুব জটিল কাজ নয়। অনুবাদকদের গ্রুপগুলোতে ঢুঁ মারলে নানা রকম নির্দেশনামূলক লেখা পাওয়া যাবে। চলচ্চিত্র বা সিরিজের ইংরেজি (যে ভাষায় আপনি পারদর্শী) সাবটাইটেল সাবসিন থেকে নামিয়ে নিন। বিভিন্ন ভাষায় সাবটাইটেল এখানে পাওয়া যায়। জিপ ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করে নিতে হবে। তারপর সেটা কম্পিউটারের নোটপ্যাডে খুলে নিন। তারপর সময় ঠিক রেখে ইংরেজি সংলাপের বাংলা অনুবাদ করুন। নোটপ্যাড ছাড়াও কম্পিউটারে অনুবাদের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার পাওয়া যায়। দক্ষতা অর্জন করলে সেসব সংগ্রহ করুন।

শুধু কম্পিউটারে নয়, মুঠোফোনেও অনুবাদ করা যায়। অনুবাদক নাভিদ জুনাইদ চৌধুরী বললেন, ‘এ জন্য প্রথমেই ইএস ফাইল এক্সপ্লোরার নামিয়ে ইনস্টল করতে হবে। যে চলচ্চিত্রের সাবটাইটেল করবেন, তা সংগ্রহ করতে হবে সাবসিন থেকে। সাবটাইটেল ফাইলটি . srt থেকে . txt-তে রূপান্তর করে নিতে হবে। এবার ফাইল খুলে সময় ঠিক রেখে ইংরেজি সংলাপের অনুবাদ করতে থাকুন। কাজ শেষে সেভ করতে ভুলবেন না।