হাই-ফাইভ কীভাবে এল?

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হরহামেশাই আমরা হাই-ফাইভ করি। কিন্তু একে অপরের হাতের তালু মিলিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি এল কী করে? সেটা জানতে ১৯৭৭ সালের একটি বেসবল ম্যাচ সম্পর্কে জানতে হবে। সে বেসবল ম্যাচে মাঠে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স ও হিউস্টন অ্যাস্ট্রস। খেলার শেষ দিকে তখন টানটান উত্তেজনা। ডজার্সের খেলোয়াড় ডাস্টি বেকার সজোরে ব্যাটটি ঘোরালেন। ব্যাটে-বলে একদম নিখুঁত শট। বল ছুটল ঊর্ধ্বপানে। ছুটলেন বেকার নিজেও। ডাস্টি বেকার তাঁর হোম রান (বেসবলে বল আকাশে থাকা অবস্থায় পুরো চক্র ঘুরে আসা) শেষ করতেই মাঠে থাকা সতীর্থ গ্লেন বার্কে উত্তেজনায় হাত আকাশে তুলে ধরলেন। কিছু না বুঝে বেকারও হাত তুলে দিলেন আকাশে। মিলল দুজনের হাতের তালু। ‘দ্য হাই-ফাইভ’ শিরোনামে ইএসপিএনের প্রতিবেদনে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ইতিহাসের প্রথম হাই-ফাইভ সম্পর্কে। সেদিন থেকেই নাকি বর্তমান সময়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি চলে আসছে।
অবশ্য ভিন্নমতও তুলে ধরা হয়েছে ওই একই প্রতিবেদনে। অন্য আরেকটি তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে, হাই-ফাইভ সংস্কৃতির প্রচলন ১৯২০ সালের দিক থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছিল। কিন্তু বেকার ও বার্কের সেই দিনের হাই-ফাইভটি ছিল রীতিমতো নিখুঁত এবং দর্শনীয়। তাই হয়তো আলাদা মাত্রা পেয়েছিল।
পাওয়ারই কথা। কারণ লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স দ্রুতই দেশব্যাপী হাই-ফাইভকে ডজার্স স্যালুট হিসেবে প্রচার করা শুরু করেছিল। বিংশ শতকের আশির দশক নাগাদ ছেলে-বুড়ো সবাই সানন্দে গ্রহণ করে হাই-ফাইভকে।

ইএসপিএন ও বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে আকিব মো. সাতিল