মেলবোর্নে এক টুকরো এনএসইউ

পুনর্মিলনী সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
পুনর্মিলনী সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

গুগল বলছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের কলিংউড টাউনহল আর ঢাকার বনানীর শের টাওয়ারের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার। অথচ কী আশ্চর্য, গত ২৪ মার্চ এই দুটো জায়গা মিলেমিশে এক হয়ে গেল! একসময় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ক্যাম্পাসের একটা অংশ ছিল শের টাওয়ারে। তখন ব্যাগ কাঁধে যাঁরা ক্লাসে ছুটতেন, আজ তাঁরাই পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন। ২৪ মার্চ একটি পুনর্মিলনী সন্ধ্যার আয়োজন করেছিলেন মেলবোর্নে বসবাসরত এনএসইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সাবেক ছাত্রছাত্রীরা।

পুরো আয়োজন এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন সবাই মিলে একসঙ্গে ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’য় হারিয়ে যেতে পারেন। একসময় শের টাওয়ারের পাশের রাস্তায় যেভাবে ঝালমুড়িওয়ালা কাগজের ঠোঙা আর ঝালমুড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতেন, সেই একই চিত্র দেখা গেল এখানেও। পাশেই পেয়ারা ভর্তা খাওয়ার জন্য লাইন ধরল একটা দল। দুটো ক্লাসের ফাঁকে যে জায়গাটা আড্ডায় উত্তাল হয়ে উঠত, সেই টং দোকানটাও চোখে পড়ল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর মতোই সেই টংয়ে ঝুলছে রুটি, কলা, কেক, বিস্কুট। বহুদিন পর, চায়ের ধোঁয়ায় আবারও চলল কথার ফুলঝুড়ি। সে সময় যেই ভুনা খিচুড়ি খেয়ে দুপুরে পেট ভরত, এত বছর পর সেই একই রকম খিচুড়ি খেয়ে মন ভরালেন এনএসইউয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থীরা।

সেই টংয়ের দোকানের আবহ!
সেই টংয়ের দোকানের আবহ!

ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর মতো করেই উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতিয়েছেন একসময়ের ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ মোশাররফ খান ইয়াফি। স্মৃতির গাড়িটা আরও বেগ পেয়েছে এলিটা করিম আর তপুর গানে। এই দুজনও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।

একসময় অনুষ্ঠান শেষ হলো ঠিকই। কিন্তু সাবেক এই শিক্ষার্থীদের মনে ততক্ষণে নিশ্চয়ই হাজারো স্মৃতি ভিড় করেছে। ভিনদেশে নানা কাজের ভিড়েও নিশ্চয়ই এর রেশ থাকবে আরও কিছুদিন।