৩২ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পেলেন গাড়ি

গাড়ি উপহার পেয়ে আবেগপ্রবণ ওয়াল্টার কার
গাড়ি উপহার পেয়ে আবেগপ্রবণ ওয়াল্টার কার

চাকরিতে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন তরুণ ওয়াল্টার কার। কিন্তু মাঝপথে গাড়িটা বিকল হয়ে পড়ল। অগত্যা হাঁটতে শুরু করলেন তিনি। সারা রাত হেঁটে পাড়ি দিলেন ৩২ কিলোমিটার। কর্মীর এই কাহিনি শুনে শীর্ষ কর্তাব্যক্তির মন এতটাই গলল যে ওয়াল্টারকে নিজের গাড়িটাই উপহার দিলেন।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের পেলহাম শহরে গত শুক্রবার। আলাবামায় বেলহোপস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াল্টার এই লড়াইটা করেছেন। বাসা-বাড়ি, অফিস স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অ্যাপভিত্তিক সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহরে তাদের কার্যক্রম চলে।

ওয়াল্টারের ঘটনাটি জানাজানি হয় জেনি ল্যামি নামের পেলহামের এক বাসিন্দার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। তিনি বেলহোপসের একজন গ্রাহক। তিনি বলেন, শুক্রবার তিনি ও তাঁর স্বামী সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলেন। বাসা পরিবর্তনে বেলহোপসের কর্মীরা সকাল ৮টায় তাঁদের ওখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৬টায় বাসার কলবেল বেজে ওঠে। দরজা খুলতেই ওয়াল্টারকে দেখতে পেলেন তিনি। সঙ্গে পেলহাম পুলিশের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানান, ভোরে তিনি ওয়াল্টারকে হাঁটতে দেখে থামান। তাঁর ঘটনা শুনে মন গলে যায় তাঁর। সকালের নাশতা করানোর পর ওয়াল্টারকে গ্রাহকের ঠিকানা অনুযায়ী জেনির বাড়ি নিয়ে যান ওই কর্মকর্তা।

ফেসবুকে জেনি লেখেন, ‘হোমউড শহর থেকে সারা রাত হেঁটে সে (ওয়াল্টার) পেলহাম এসেছে। দূরত্বটা ২০ মাইলের (৩২ কিলোমিটার) বেশি। কারণ, চাকরিটা তাঁর প্রয়োজন ছিল। মাঝরাতে নিঃসঙ্গ এই পদযাত্রায় না জানি সে কতবার ফিরে যেতে চেয়েছে। কতবার না জানি সে বিকল্প কিছু করার উপায় ভেবেছে। কিন্তু তারপরও ঠিকানা মোতাবেক পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত সে হেঁটেই গেছে।’

ওয়াল্টারের এই ঘটনা শোনার পর বেলহোপসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিউক মার্কলিন তাঁর নতুন কর্মীকে দেখতে টেনেসি থেকে ছুটে যান। নিজের ২০১৪ সালের ফোর্ড এসকেপ মডেলের গাড়ির চাবিটা ওয়াল্টারের হাতে তুলে দেন। মার্কলিনের ভাষ্য, ‘ওয়াল্টারের ঘটনা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম।’