কৃত্রিম উল্কাবৃষ্টি

উল্কাবৃষ্টি।  ফাইল ছবি
উল্কাবৃষ্টি। ফাইল ছবি

প্রাকৃতিক যে ঘটনাগুলো মানুষকে মুগ্ধ করে, তার মধ্যে অন্যতম হলো উল্কাবৃষ্টি। আকাশে ‘তারা খসে পড়া’ নিয়ে অনেক দেশে অনেক ধরনের গল্পও প্রচলিত রয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই জাপানের একটি স্টার্ট-আপ আকাশে কৃত্রিম উপায়ে উল্কাবৃষ্টি সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে জাপানের হিরোশিমার ওপর এই উল্কাবৃষ্টি হবে।

টোকিওভিত্তিক স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান এএলই বলেছে, কৃত্রিম উল্কাবৃষ্টি সৃষ্টিতে তাদের কার্যক্রম এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুটো ছোট আকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করছে তারা। এই উপগ্রহ থেকেই পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা শত শত ছোট বল বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর আকাশে জ্বলে উঠবে। জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করবে আগামী বছরের মার্চ মাসে। আর দ্বিতীয়টি ২০১৯ সালের মাঝামাঝি কোনো সময়ে উৎক্ষেপণ করবে জাপানেরই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

এএলইর প্রধান নির্বাহী লিনা ওকাজিমা গত বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের বসন্তে কোনো এক রাতে পুরো পৃথিবীর আকাশেই উল্কাবৃষ্টি সৃষ্টির লক্ষ্য তাঁদের। প্রতিটি কৃত্রিম উপগ্রহে থাকবে ৪০০টি করে বল। বলগুলো রাসায়নিক সংমিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে। তবে এগুলো তৈরির সূত্রটি গোপন রাখা হয়েছে। প্রতিটি কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ছোড়া বলগুলো আকাশে ২০ থেকে ৩০ জায়গায় উল্কাবৃষ্টির সৃষ্টি করবে। কাজেই হিরোশিমার আকাশে বলগুলো ছাড়া হলেও তা বহু জায়গা থেকে দেখা যাবে।

হিরোশিমার সহায়ক আবহাওয়া, নৈসর্গিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পদ এই এলাকাকে পছন্দ করার কারণ বলে জানান লিনা ওকাজিমা।

এ ছাড়া মহাকাশে থাকা অব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহগুলোও ব্যবহারের উপায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এএলই কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী কো কামাচি বলেন, অব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেলে এগুলো দিয়ে কৃত্রিম উল্কাবৃষ্টি সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থানান্তর করা হবে।