বাংলাদেশে প্রশ্ন ফাঁস এবং ভর্তি জালিয়াতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের এই উন্নয়ন বিশ্বের বুকে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। প্রশ্ন ফাঁস এবং ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের অভিনন্দন! ভবিষ্যতে আরও কী কী প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেন তাঁরা? ভেবেছে রস+আলো।
চুল-অ্যানটেনা
ভর্তি পরীক্ষার্থীর চুলে থাকবে চুল-অ্যানটেনা। চুল দেখতে হবে খাড়া, দেখে যেন মনে হয়, চুলে জেল দেওয়া হয়েছে। আসলে এই বিশেষ চুল-অ্যানটেনা শরীরের সব ডিভাইসের যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। অনেকটা বাড়ির ছাদে ডিশের অ্যানটেনার মতো।
চশমা-ডিসপ্লে
বাস্তবেও গুগল এ ধরনের চশমা এনেছে বাজারে। সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় বিশেষ ডিসপ্লেযুক্ত চশমার ব্যবহার করা হয় হরহামেশাই। সেগুলোর মতোই চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আয়রনম্যান যেমন হেলমেটের ভেতরে ডিসপ্লে ব্যবহার করে, তেমনি এই চশমাতেও থাকবে সুপার ডিসপ্লে। যা শুধু একদিক থেকে দেখা যাবে। পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানলে চোখের ইশারায় গুগল করে সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে পারবে।
কলার-পাওয়ার ব্যাংক
জরুরি কাজের সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর চার্জ শেষ হওয়ার সামান্য বদভ্যাস আছে। তাই চার্জের রিস্ক নিয়ে লাভ নেই। শার্টের কলারে লাগানো থাকবে বিশেষ ব্লুটুথ পাওয়ার ব্যাংক। এই পাওয়ার ব্যাংক ব্লুটুথ সিস্টেমে সব ডিভাইসকে চার্জ সাপ্লাই দেবে।
বোতাম-ক্যামেরা
পরীক্ষার্থী যে শার্ট পরবে, সেই শার্টের বোতামের জায়গায় থাকবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বোতাম। বোতামের সামনে প্রশ্নপত্র ধরলেই প্রশ্নের ছবি তুলে ফেলবে সেই বোতাম-ক্যামেরা। বাইরে জালিয়াত গ্রুপের কাছে প্রশ্নের ইমেজ চলে যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
আঁচিল-ইয়ারফোন
চোখে-মুখে কিংবা শরীরে আঁচিল বা তিল অনেকেরই আছে। তবে এখানে যে আঁচিল নিয়ে বলা হচ্ছে, সেটা হবে ইলেকট্রিক আঁচিল। এই আঁচিল ম্যাক্রো ইয়ারফোন হিসেবে কাজ করবে। কানের লতিতে কিংবা আশপাশে এই আঁচিল লাগানো থাকবে। পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নের উত্তর জানবে না, বোতাম-ক্যামেরার মাধ্যমে সেই প্রশ্নের ছবি তুলবে। অপর প্রান্তে থাকা কেউ সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানাবে আঁচিল-ইয়ারফোনের মাধ্যমে।
রিস্টব্যান্ড-অ্যালার্ম
এক্সক্লুসিভ রিস্টব্যান্ডে থাকবে অ্যালার্ম সিস্টেম। এতে থাকবে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা। পরীক্ষার হলে আশপাশ দিয়ে ডিউটি টিচার হাঁটাহাঁটি করলেই রিস্টব্যান্ড অ্যালার্ম ভাইব্রেশনের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সতর্ক করে দেবে।
কলম-ফোন
মাইক্রোফোনের যুগ শেষ। এখন মাইক্রোপেনের যুগ। এই পেনে থাকবে স্পিকিং ডিভাইস। লেখার পাশাপাশি এর মাধ্যমে কথা বলা যাবে। স্টিল ইমেজে প্রশ্নের ছবি ক্লিয়ার না এলে ব্যবহৃত হবে এই পেন বা কলম। মুখের সামনে কলম ধরে ফিসফিস করে অপর প্রান্তে প্রশ্ন জানিয়ে দেবে। প্রশ্ন শুনে তারা আঁচিল ইয়ারফোনে উত্তর পাঠাবে।