প্রেমিকার ভাষাজ্ঞান যদি প্রখর হয়

প্রেমিক: আজকে আমার সাথে দেখা করার কথা ছিল, আর তুমি তা
না করে ফ্রেন্ডসদের সাথে ঘুরতে চলে গেলা? খুব ভালো। তুমি
তোমার সব বন্ধুদের নিয়েই থাকো। আমি তো কেউ না তোমার!

প্রেমিকা: এই যে ভুল লিখলা। ‘ফ্রেন্ডস’ শব্দটা বহুবচন। এর সাথে ‘দের’ যোগ করলে ব্যাকরণগত ভুল হবে, যেটা তুমি করেছ। তেমনিভাবে ‘সব’ লিখলে আর ‘বন্ধুদের’ লিখতে হবে না, সঠিক বাক্য হবে সব বন্ধুকে। বুঝেছ?

প্রেমিক: উফ্! যা হোক। আমার কাছে এটা স্পষ্ট যে তোমার লাইফে তোমার বন্ধুরাই বেশি ইমপরটেন্ট। তোমার কাছে ওদের গুরুত্ব শতকরা নাইন্টি পার্সেন্ট, আর আমার
গুরুত্ব দশ পার্সেন্টও না। গত ভ্যালেন্টাইনস ডের দিনের কথা মনে আছে? আমাকে টাইম না দিয়ে কোন ফ্রেন্ডের বার্থডে পার্টিতে চলে গেলা! বলো, ঠিক বলিনি? উত্তর দাও।

প্রেমিকা: এবারও ভুল লিখলে। শতকরা মানেই পার্সেন্ট। অতএব ‘শতকরা নাইন্টি পার্সেন্ট’ কথাটা ভুল। বলতে হবে ‘তোমার কাছে ওদের গুরুত্ব নাইন্টি পার্সেন্ট’। আর হ্যাঁ, ‘ডে’ মানে দিন; সুতরাং ‘ভ্যালেন্টাইনস ডের দিন’ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই। এটাও ভুল। লিখতে হবে, ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’।

প্রেমিক: দেখো, আমি বুঝতে পারছি, তুমি কথা ঘুরানোর ট্রাই করতেছ। কারন, তোমার কাছে এসবের কোনো উত্তর নাই।

প্রেমিকা: ‘ঘুরানোর’ না, শুদ্ধ হলো ঘোরানোর। আর ‘কারণ’ বানানে মূর্ধন্য-ণ আছে।

প্রেমিক: নিজেরে কী ভাবো, হ্যাঁ? আমেরিকার রাষ্ট্রপতি?

প্রেমিকা: ইয়ে...আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হয় না। ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট’ হলো শুদ্ধ।

প্রেমিক: আমি আর এসব নিতে পারছি না। যথেষ্ট করে ফেলছ। অসজ্য! আর একবার এমন করলে আমি ছিরিয়াছলি কিছু একটা করে ফেলব! আমি চায় না, তুমি আমার সাথে এ রকম আচরন করো।

প্রেমিকা: ইশ্, কত্তগুলা বানান ভুল! ‘অসহ্য’, ‘সিরিয়াসলি’ হলো শুদ্ধ। আর ‘আমি চাই’ হলো ঠিক, আমি চাই, সে চায়—এভাবে লিখতে হয়। ‘আচরণ’ বানানটাও দেখে নিয়ো।

প্রেমিক: তুমি সব লিমিট ক্রস করে ফেলছ। আমি ফাইনাল ডিসিশন
নিতে বাধ্য হচ্ছি। তার আগে লাস্ট এই প্রশ্নটার উত্তর দাও, তুমি
আমার সাথে রিলেশন রাখতে চাও কী না? যাস্ট ইয়েস অর নো বলবা।

প্রেমিকা: শোনো, তোমাকে আমারও লাস্ট একটা কথা বলার আছে।
যেসব প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে দেওয়া যায়, সেসব প্রশ্নে
‘কি’ বসবে, ‘কী’ না। যেমন ‘তুমি রিলেশন রাখতে চাও কি না?’

প্রেমিক: ষ্টুপিড! জীবনে আমার সাথে যোগাযোগ করার ট্রাই করবা না। ব্রেকাপ।
প্রেমিকা: ইয়ে...বিদেশি শব্দে কখনোই ‘ষ’ হয় না। সো ওটা ‘স্টুপিড’
হবে, ‘ষ্টুপিড’ ভুল। আর ‘ব্রেকআপ’ বানান এটা হবে, ‘ব্রেকাপ’ না।

প্রেমিক: You can’t reply to this conversation!

প্রেমিকা: ওয়াও, এই তো! এই বাক্যটা একদম
ঠিক আছে। এবার বলো, কী বলতেছিলা...!