ম্যান ভার্সাস মোবাইল অপারেটর

প্রথম প্রজন্ম

দাদা
অন্য প্রজন্মের তুলনায় অনেক কাজের। নিজ হাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আজ সেই প্রতিষ্ঠান মহিরুহের আকার ধারণ করেছে। নিঃসন্দেহে অনেক বেশি বাস্তবজ্ঞান রাখেন। সবার শ্রদ্ধার পাত্র। তবে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছুই বোধগম্য নয় তাঁর কাছে।
নেটওয়ার্কের জেনারেশন
বর্তমানে অচল হলেও তারবিহীন যোগাযোগব্যবস্থার সূচনা এর হাত ধরেই। মানুষের মধ্যে সহজ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার পেছনে একক কৃতিত্ব। ফলে এর প্রতি শ্রদ্ধা জাগে, মানুষ প্রশংসাও করে।
মন্তব্য
যার যার ক্ষেত্রে সফল এবং অন্য প্রজন্মের তুলনায় কিংবদন্তিতুল্য।

দ্বিতীয় প্রজন্ম
বাবা
সব প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বুদ্ধিমান এবং কঠোর পরিশ্রমী। বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছেন। একই সঙ্গে পুত্র ও বাবার ভূমিকা পালন করতে হয় বলে দুই প্রজন্মের সেতুবন্ধও বলা যায় তাঁকে।
নেটওয়ার্কের জেনারেশন
ফার্স্ট জেনারেশন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এর জন্ম। অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী। মানুষের কথা বলা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সুনাম সর্বজনবিদিত। এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃতিত্বের ছাপ রেখে চলেছে।
মন্তব্য
নিজ নিজ কার্যকারিতা বিবেচনায় এই প্রজন্মও বেশ সফল এবং শ্রদ্ধার পাত্র।

তৃতীয় প্রজন্ম
ছেলে
সব দিক থেকেই অন্য দুই প্রজন্মের চেয়ে একদম আলাদা। সব সময়ই স্মার্ট থাকার আপ্রাণ চেষ্টা লক্ষণীয়। অন্য দুই প্রজন্ম ‘ব্যাকডেটেট এবং কিছুই বোঝে না’-টাইপ ধারণা পোষণ করে। তবে আগের দুই প্রজন্মের নাম ভাঙিয়েই খাচ্ছে আসলে। নিজে কিছু করে না।
নেটওয়ার্কের জেনারেশন
নামে আছে, আসলে এর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে সবাই জানে। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেকে বেশ স্মার্ট প্রমাণের চেষ্টা করে। আসলে
বাপ-দাদার তরঙ্গ দিয়েই চলছে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে পকেট কেটে নেওয়ায় ওস্তাদ।
মন্তব্য
এই প্রজন্ম বাহ্যিক দিক দিয়ে দারুণ স্মার্ট। প্রজন্মের বেশির ভাগই কম-বেশি অ্যাটেনশন সিকার। নামেধামে থ্রি–জি বললেও আদতে অনেক সময় এদের দেড়–জি মনে হয়! অন্য দুই প্রজন্মের চেয়ে ব্যাকডেটেটও মনে হয় অধিকাংশ সময়।

চতুর্থ প্রজন্ম
নাতি
অন্য সব প্রজন্মের কাছে এদের একটাই পরিচিতি-ইঁচড়েপাকা। কাজের কাজ বা পড়াশোনার ধারেকাছে নেই। একাবারে অন্তঃসারশূন্য। বাপ-দাদার ব্যবসার কিছুই বোঝে না। পড়াশোনাও করেনি। ফলে পরিবার বা সমাজে কোনো অবদান রাখার হিম্মত নেই।
নেটওয়ার্কের জেনারেশন
থ্রি–জির সঙ্গে এর জেনারেশন গ্যাপ খুব একটা বেশি না। আদতে এটাকে থ্রি–জির ছায়া বলা যায়। কারণ, যেখানে থ্রি–জি-ই কাজ করে না, সেখানে ফোর–জি কাজ করবে কীভাবে? মিথ্যা আর ধোঁকাবাজির চূড়ান্ত উদাহরণ। এর কারণে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা যাবে বানের মতো। তবে যাদের পকেট ভারী হওয়ার কথা, তাদেরটা ঠিকই হচ্ছে এবং হবে।
মন্তব্য
একেবারে অকালকুষ্মাণ্ড প্রজন্ম। সবাই হতাশ এদের ব্যাপারে।