বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ ফেসবুকারদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশি ফেসবুক বিশেষজ্ঞদের বিশেষ গবেষণামূলক কাণ্ড-কারখানা দেখে নোবেল কমিটি চালু করতে যাচ্ছে আরও কয়েকটি নতুন বিভাগ। খুশির খবর হলো, নোবেল কমিটি ইতিমধ্যে কয়েকজন গবেষককে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক মনোনয়নও চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিচে এ বছর বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ীদের গবেষণালব্ধ তত্ত্বগুলো তুলে দেওয়া হলো (সংগত কারণে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ করা হলো না)। নোবেল কমিটির গোপন নথি ঘেঁটে এই তথ্য ফাঁস করলেন সঞ্জয় সরকার

সেরা লেখক পরামর্শক

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: একজন বাতাস খাচ্ছিল, তার বিরুদ্ধে লিখলেন। আরেকজন হাওয়া খাচ্ছিল, কই তার বিরুদ্ধে তো কিছু লিখলেন না!

সেরা সম্পর্ক বিশারদ

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: আপনি একজন সেলিব্রিটি। হুট করে যাকে-তাকে বিয়ে করবেন? ফ্যানদের চয়েসের কোনো মূল্য নাই? আরে ভাই, ওই মেয়েটাকে বিয়ে করবেন কি না, তার জন্য তো ফেসবুকে একটা পাবলিক পোল খুলতে পারতেন, নাকি?

সেরা ক্রিকেট বিশ্লেষক

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: সিরিয়াসলি ম্যান! আজকালকার যুগে কেউ এলবিডব্লিউ আউট হয়? বলটা পা দিয়ে পেছনে ঠেলে দিলেই তো ফোর হয়। পায়ে কি শক্তিটক্তি নাই? বিজ্ঞাপন করে যে এত এত টাকা পান, যায় কই?

সেরা শিক্ষাবিদ

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: সায়েন্সের একজন স্টুডেন্ট বাংলা পড়বে কেন? এসব ছাতামাতার গল্প-কবিতা পড়ে কী হবে? বিদেশের সায়েন্সের স্টুডেন্টদের তো বাংলা পড়তে হয় না। তাহলে আমরা পড়ব কেন? কারা যে এসব গাঁজাখুরি শিক্ষাপদ্ধতি বানায় রাখছে!

সেরা সমাজবিষয়ক চিন্তাবিদ

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: আপনারা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এত চিল্লাপাল্লা করেন কেন? ছেলেগুলো না হয় ছোট্ট একটা মিসটেক করে ফেলেছে। সিম্পল ব্যাপার। শুধু ছেলেটার দোষ দেখবেন? মেয়েটা কিছু করেনি? নিশ্চয়ই পোশাক-আশাকে সমস্যা ছিল। মূল দোষ মেয়েটারই। অহেতুক আবেগ দেখাবেন না, প্লিজ।

সেরা চলচ্চিত্রবোদ্ধা

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: সীমাহীন সীমান্ত যে সিনেমাটা বানালেন, আপনারা দেখে আবেগে বুক ভাসালেন, সেটা আসলেই কি কিছু হয়েছে? আমি তো বলব, সেটা হয়েছে একটা অশ্বডিম্ব। না আছে সিনেমার কাহিনি, না আছে তেমন কোনো দৃশ্য। ক্যামেরার কাজ ছিল একেবারেই শিশুতোষ। আর অভিনয়? হা হা, স্কুলে থাকতে যে অভিনয় করেছি, তার ১ শতাংশও যদি ওরা শিখে আসত, তাহলে দেশের সিনেমাকে আজ মুখ থুবড়ে পড়তে হতো না। 

সেরা সাহিত্যবিশারদ

গবেষণালব্ধ তত্ত্ব: ভাই, উপন্যাস লেখার আগে এই স্ট্যাটাসটা পড়েন। সাহিত্য কাকে বলে, সেটা আগে জানেন। চাইলে আমিও তো বছরে ১২টা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারি। কিন্তু এই তথাকথিত মাথা মোটা সাহিত্যিকদের ভিড়ে আমি কেন গা ভাসাব?