বাফুফের উন্নয়নের গ্রাফ

>

এভাবেও নিচে নামা যায়, বাফুফের সেকাল–একাল এবং বাফুফের উন্নয়নের গ্রাফ। প্রচ্ছদ: তুলি
এভাবেও নিচে নামা যায়, বাফুফের সেকাল–একাল এবং বাফুফের উন্নয়নের গ্রাফ। প্রচ্ছদ: তুলি

ফিফার সদস্য দেশের সংখ্যা ২১১। আর র‍্যাঙ্কিংয়ে আছে ২০৭টি দেশ। বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৯৭। এ বিষয়ে ১১ মে প্রথম আলো অনলাইনে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম ছিল ‘ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ক্রমাবনতির গ্রাফে চোখ নেই বাফুফের’। লেখাটির নিচে মো. আবদুর রহমান নামের এক পাঠক মন্তব্য করেছিলেন। সেটি প্রকাশিত হলো এখানে।

আর মাত্র তিনটি ধাপের অপেক্ষা! তিন ধাপ নিচে নামলেই র‍্যাঙ্কিংয়ে ২০০ ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ! ফুটবলে বাংলাদেশের ২০০তম স্থান লাভের দিনটির জন্য হয়তো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। সেটা উদ্‌যাপনের আয়োজন নিয়েই বরং আমাদের ভাবা উচিত। কীভাবে উদ্‌যাপন করা যায়? বাফুফের কর্মকর্তার (কর্মী নয়, শুধুই কর্মকর্তা) সংখ্যা ২০০-তে উন্নীত করা, বাফুফের ২০০ কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানো...এ রকম আরও অনেক কিছু করার কথা ভাবা যায়।

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে মানুষ এখন আর খুব একটা ভাবে না, খবরও রাখে না, অবশ্য খবর থাকলে না রাখবে! আর যারা রাখে, তারাও ভোগে আতঙ্কে। বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে যারা খারাপ খবরের আতঙ্কে ভোগে, তারা হয়তো জানে না ফুটবল নিয়ে বাফুফে খুব ভাবছে। অভিযোগ করা হয়, বাফুফের কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই, হুটহাট কাজ করে, ভাবনা-চিন্তা করে কিছু করে না। এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে বাফুফে। এর সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গত ৮-১০ বছর ভেবেছেন ফুটবল নিয়ে কী করা যায়। ‘ভিশন’ ঘোষণা করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২২ সালে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। কাতারে সে বিশ্বকাপ হবে, এটা ঘোষণা হওয়ার পরও নানা অনিশ্চয়তা উঁকি দিচ্ছে সেখানকার আয়োজন নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের ভিশন নিয়ে কোনো জটিলতা, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। এই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটারও সুযোগ নেই। স্বপ্নটাকে অনেকে দিবাস্বপ্ন বললেও সালাউদ্দিন তা মানতে রাজি নন, কেননা তিনি ফুটবলের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে ৮-১০ বছর ভেবেছেন। এবার তিনি কাজ শুরু করবেন।

বলা হয়, দেশে ফুটবলার নেই। সালাউদ্দিন দেশের ৬৪ জেলায় ফুটবল একাডেমি করবেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি একাডেমি হয়ে গেলে ফুটবলারের আর অভাব থাকবে না। বাকি থাকল দর্শকখরা। এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়েছে স্বয়ং সরকার। সরকারের পরিকল্পনা আরও ব্যাপক। একে বরং আমরা মহাপরিকল্পনাই বলি। সরকারের মহাপরিকল্পনা হচ্ছে, প্রতিটি উপজেলায় একটা করে স্টেডিয়াম বানানোর। যদি দেশে ৪৫০টি স্টেডিয়াম হয়ে যায় তাহলে নিশ্চয়ই দর্শকেরও অভাব থাকবে না। বাকি থাকল ফুটবল। ফুটবল না থাকলে খেলাটা চলবে কীভাবে? আর এত ফুটবলই-বা কোথায় পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, জাম্বিয়া থেকে দারুণ এক প্রজাতির জাম্বুরার বীজ এনেছে তারা। ফলন হয় প্রচুর, সাইজও নাকি ফুটবলের সমান। ফুটবল-ঘাটতি মেটাতে স্বল্পমূল্যে এই জাম্বুরা বাফুফেকে দিতে রাজি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।