টিউ'শনির' দশা

>

প্রায় ১২ বছরের দীর্ঘ ‘টিউশন ক্যারিয়ারে’ নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন রস+আলোর লেখক শরীফ মজুমদার। সেখান থেকেই কিছু গল্প বললেন শুনুন।

১. নার্সারিপড়ুয়া রবিনকে স্থানীয় মান শেখাচ্ছিলাম। একক, দশক, শতক, হাজার...। এভাবে শেখানোর পর একটা সংখ্যা দিয়ে ওকে বলতে বললাম। খানিকক্ষণ সংখ্যাটার দিকে তাকিয়ে আঙুল দিয়ে স্থানীয় মান বলতে শুরু করল এভাবে, ‘একক, দুইয়ক, তিনক...’

২. সাব্বির নামের উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রকে পড়াই। কিছু লিখতে দিলে বেশ ভালোই পারে, কিন্তু জিজ্ঞেস করলেই বেচারা একেবারে অস্থির হয়ে ঘামতে থাকে। কলেজ পরিবর্তন করার সময় নতুন কলেজের প্রিন্সিপাল ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় ওকে বললেন, ‘ফিজিকস বইর দুইটা চ্যাপ্টারের নাম বলো তো।’

‘ফার্স্ট চ্যাপ্টার আর সেকেন্ড চ্যাপ্টার, স্যার।’ সাব্বিরের ঝটপট উত্তর।

৩. রসায়নে খারাপ করায় আঁখিকে বললাম, ‘শেম অন ইউ।’

সে বেশ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জবাব দিল, ‘(অ্যাজ মাই টিচার) সেম টু ইউ!’

৪. নতুন নতুন শব্দ বলায় আঁখি বেশ পটু। একদিন কী এক কথা প্রসঙ্গে বললাম, ‘তোমার কিন্তু এবার ফার্স্ট হতেই হবে।’

সে উত্তর দিল, ‘বাহ্, দারুণ “স্যার”কাজম!’

৫. ক্লাস টু-পড়ুয়া সাদিকা একদিন জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা, স্যার, সব আইনস্টাইনের কি চুল লম্বা থাকে?’ পরে কথাটথা বলে বুঝতে পারলাম, ও ধরে নিয়েছে, সব বিজ্ঞানীকেই বুঝি আইনস্টাইন বলে!

৬. পড়াশোনায় বেশ অমনোযোগী হওয়ায় বিরক্ত হয়ে এক ছাত্রকে বললাম, ‘কোন শনি যে ভর করছিল তোমারে পড়াইতে আসছিলাম!’

সে বিড়বিড় করে বলল, ‘টিউশনি!’