আপনি যখন আর্জেন্টিনার সমর্থক

মাঠে-ঘাটে-হাটে-বাটে তো বটেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও রীতিমতো ‘গোলযোগ’ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের খোঁচাখুঁচিতে। যারা কেবল ফুটবলীয় যুক্তিতর্ক দিয়ে খোঁচাখুঁচিতে সুবিধা করতে পারছেন না, তাঁদের কিছু কার্যকর (কু)যুক্তি বের করলেন শরীফ মজুমদার


১. ‘এ’ ফর আর্জেন্টিনা, ‘বি’ ফর ব্রাজিল। এই সিম্পল জিনিস থেকেই প্রমাণিত হয় কারা ‘এ’ গ্রেড আর কারা ‘বি’ গ্রেড।

২. কে, কেমন সেটা তার নাম দেখেই খানিকটা আন্দাজ করা যায়। আর্জেন্টিনা নামটাই তো বেশ ওজনদার। লিখতে গেলে গুনে গুনে ইংরেজি নয়টা লেটার লাগে। আর ব্রাজিল লিখতে লাগে কয়টা? মাত্র ছয়টা। সো, নামে কে ভারী?

৩. সমগ্র আমেরিকা অঞ্চলের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘আকনকাগুয়া’র অবস্থান কোথায়? আর্জেন্টিনায়। আর তা মাথা উঁচু করে পৃথিবীর তাবৎ চাপাবাজ ব্রাজিলিয়ান সাপোর্টারদের জানিয়ে দিচ্ছে, প্রকৃত অর্থে কারা শীর্ষে, কারা সেরা। ‘শীর্ষ’ জিনিসটাই আসলে আর্জেন্টিনার মজ্জাগত।

৪. আমাজন জঙ্গলের পাশে বলেই ব্রাজিলিয়ানদের স্বভাব-চরিত্র অনেকটা জংলি-টাইপের। আফসোস হয় সেসব অবুঝ মানুষের জন্য, যারা এই সভ্য জগতের বাসিন্দা হয়েও সাপোর্ট করে কিনা একটা জংলি টিমকে।

৫. পৃথিবীর দীর্ঘতম, মনোমুগ্ধকর, চমৎকার, দৃষ্টিনন্দন, আন্দেজ পর্বতমালা আর্জেন্টিনার বুকে অবস্থিত। আর ব্রাজিলে আছে একগাদা জঙ্গল। শুধু কাপ-পিরিচের সংখ্যা দিয়েই সেরা হওয়া যায় না, সেরা হতে গেলে যে চমৎকার পর্বতমালাও থাকতে হয়, সেটা কে বোঝাবে এদের!