সাম্যবাদী

অভিনেতা ফারুক আহমেদও সাম্যের গান গাইছেন
অভিনেতা ফারুক আহমেদও সাম্যের গান গাইছেন

গাহি সাম্যের গান
ফুটবলে এসে এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান।
যেখানে মিশেছে এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রো-আমেরিকান।
গাহি সাম্যের গান!
কে তুমি? ভক্ত মেসির? কিংবা নেইমার নামে কারও?
সিআর সেভেন? ইনিয়েস্তার? বলে যাও, বলো আরও!
সালাস? কিংবা ভারানির চ্যালা? টনি ক্রুজ নামে কেহ?
কাদের পতাকা তোমার হস্তে? জার্সিতে ঢাকা দেহ?
বন্ধু, যা-খুশি হও,
পেটে-পিঠে-কাঁধে-মগজে যা খুশি পোশাক-পতাকা বও,
ল্যাটিন শিল্প খুঁজছ? বা খোঁজো ইউরোপিয়ান গতি?
একটাই শুধু মিনতি আজিকে জানাই তোমার প্রতি—
বন্ধু, কেন এ রেষারেষি, কেন মগজে হানিছ শূল?
ফেসবুকে কেন কাদা ছোড়াছুড়ি? কেন নিন্দার ফুল?
ফুটবলে আছে নলেজ তোমার, সকল কাপের জ্ঞান,
সম্প্রীতি খুঁজে পাবে তুমি সখা, খুলে দেখ নিজ প্রাণ!
তোমাতে রয়েছে পেলে-ম্যারাডোনা-জিদানের স্মৃতিসুখ
ব্যাজিও-মুলার-ববি চার্লটন-গ্যারিঞ্চাদের মুখ—
মনে ভাসে আজও! সকল কালের সেরা সব খেলোয়াড়

তোমার হৃদয় বিশ্ব-দেউল ফুটবল দেবতার।
কেন খুঁজে ফেরো ‘সেভেন আপের’ দুঃসহ দুঃস্মৃতি?
‘হ্যান্ড অব গডে’ কেন মুছে যায় তোমাদের সব প্রীতি?
বন্ধু, বলিনি ঝুট,
ফুটবলে এসে লুটাইয়া পড়ে সকল রাজমুকুট।
এইখানে কাটে আনন্দ আর উত্তেজনার রাত
কখনো হতাশা, কখনো আশায় মুষ্ঠিবদ্ধ হাত!
এখানেই মেলে সমর্থকের প্রকৃত পরিচয়
খেলাতে যেমন জয় রহিয়াছে, রহিয়াছে পরাজয়!
কিশোর বয়সী পুত্র যখন নেইমারদের মিতা
মেসির পক্ষে গলা ফাটাবেন হয়তো তাহার পিতা!
কন্যা কাদের পক্ষে? হয়তো রোনালদোদের ফ্যান ও
সবাই মিলিয়া এক সাথে খেলা দেখিবে না বলো কেন?
এক অন্দরে বসিয়া শুনিবে মৈত্রীর আহ্বান,
এইখানে বসে গাহিবে তাহারা ফুটবল-জয়গান!
মিথ্যা শুনিনি ভাই,
বিশ্বকাপের চেয়ে বড় কোনো বিনোদন আর নাই!