প্রিয় দল আচমকা বাদ পড়লে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

নিজেকে অপয়া প্রমাণ করুন

আপনার সাপোর্ট করা দল বিদায় নেওয়ার পরপরই সেই দলের পতাকা তাড়াতাড়ি নামিয়ে ফেলুন। তার বদলে অন্য দলের পতাকা টাঙিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিন, আপনার ফেবারিট টিম আসলে এটাই। কিন্তু আপনি যে দল সাপোর্ট করেন তারা গোহারা হেরে বিদায় নেয় বিধায় শুরুতে লোকজনকে বুঝিয়েছেন আপনি একটি বিশেষ দলের সাপোর্টার। সেই দল বিদায় নেওয়ায় এখন স্বস্তিতে আপনি আপনার আসল দলকে সাপোর্ট করতে শুরু করেছেন। এই পদ্ধতিতে অন্য দলের সাপোর্টারদের পুরোপুরি ঠেকাতে না পারলেও উল্লেখযোগ্য অংশে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে পারবেন।

স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলুন

মানে স্মৃতিশক্তি হারানোর ভান করুন। বিপক্ষ দলের সাপোর্টারদের পাল্টা টিটকিরি বা ব্যঙ্গবিদ্রূপ ঠেকানোর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুব কাজে দেবে। যে রাতে আপনার সাপোর্ট করা দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে, তার ঠিক পরদিন ভোরবেলা থেকেই এমন ভান করুন যেন আপনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপা, আমি কোথায়? এটা কার বাসা?’ ব্যস, এইটুকুতেই আশা করি সারা পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়বে যে আপনি ‘আউলায়া’ গেছেন। প্রিয় দলের হার সহ্য করতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছেন—এই ভেবে আপনার আশপাশের অনেক মানুষ আপনাকে সহানুভূতি দেখাবে। বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ‘স্মৃতিশক্তি হারানোর’ ভান ধরে রাখুন, অনেক অপমানের হাত থেকে বেঁচে যাবেন।

ডিগবাজির তালিম নিন

ডিগবাজি দেওয়াটা একটা শিল্প। সঠিক সময়ে একটি সঠিক ডিগবাজি আপনাকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশ্বকাপে যেকোনো একটি দলের সাপোর্ট করা বেশ বিপজ্জনক। যখন-তখন সেই দলটি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে আপনাকে ফেলে দিতে পারে অসীম লজ্জা বা অপমানের অতল সমুদ্রে। এ ধরনের অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই বিশ্বকাপে একসঙ্গে কয়েকটি দল সাপোর্ট করেন। এক দল গেলেও ভরসা হিসেবে অন্য দল থাকবে। কিন্তু চক্ষুলজ্জার খাতিরে অনেকে আবার এভাবে ঘন ঘন সমর্থন বা দল পাল্টাতে পারেন না। আপনিও যদি তাঁদের মতো হন তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সঠিক মানুষের কাছ থেকে সঠিক ডিগবাজির তালিম নিলে এসব একসময় আপনার কাছে হয়ে যাবে ডালভাত। আর ডিগবাজি শেখার জন্য সঠিক মানুষ খুঁজতে আপনাকে বেশি দূর যেতে হবে না। এলাকার যেকোনো ঝানু রাজনীতিবিদের কাছে গেলেই আপনি শিখে যাবেন কীভাবে খুব সহজে ডিগবাজি দেওয়া যায়।