বহিরাগত ঠেকাতে আরও কিছু পরামর্শ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন নাজমুল হোসেন

১. ড্রেসকোড: স্কুল-কলেজের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো আঁকা, বিশেষ রঙের পোশাকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চাইলে পোশাকে নেমপ্লেটও ব্যবহার করা যাবে। ক্লাসের সময়ের পরও শিক্ষার্থীদের অনেক কাজ থাকে ক্যাম্পাসে, সে জন্য কর্তৃপক্ষ ক্লাসের সময় ও অন্যান্য সময়ের জন্য দুই ধরনের পোশাকের ব্যাপারে ভাবতে পারে।

২. ফিঙ্গারপ্রিন্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী হলে থাকেন না। আবার যাঁরা হলে থাকেন, তাঁরাও বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে যান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেন বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কটি প্রবেশমুখে নিরাপত্তাচৌকি বসানো যেতে পারে। চাইলে সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তকরণ যন্ত্রও বসানো যায়।

৩. ভিসা: বহিরাগতদের কখনো কখনো নানা কাজে ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আবার অভিভাবকেরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানে যান। সে ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকায় তাদের দূতাবাস খুলে ভিসার ব্যবস্থা করতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে হকারদেরও ব্যবসায়িক ভিসা প্রদান করে হকার নিয়ন্ত্রণ ও ঘুরতে চাওয়া কাউকে শর্তসাপেক্ষে ভ্রমণ ভিসা দিয়ে অবিতর্কিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পারে।

৪. ব্যাজ: দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকলেও একটা বিশেষ সংগঠন বিনা পারিশ্রমিকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। সেই বাহিনীতে কিছু বহিরাগতও থাকে নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা দেওয়ার জন্য। ক্যাম্পাসে অবাধ চলাচলের জন্য এই নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য উপাচার্যের স্বাক্ষরসংবলিত বিশেষ ব্যাজের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।


বি.দ্র.: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে এসব পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে। রস+আলো এ জন্য কোনো ধরনের মেধাস্বত্ব দাবি করবে না।