তাঁরা যদি বাংলাদেশে খেলতেন

আঁকা: অসীম চন্দ্র রায়
আঁকা: অসীম চন্দ্র রায়

পেলে
সারা বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলে বেড়াতেন। গোল করতেন অসংখ্য। কিন্তু ক্লাবগুলো তাঁর বেতন পরিশোধ করত না নিয়মিত। বেতনের জন্য ধরনা দিতে হতো ক্লাব-ম্যানেজারের দ্বারে। গায়ের রং ততটা উজ্জ্বল নয় বলে বিজ্ঞাপনেও সুযোগ পেতেন না।
ডিয়েগো ম্যারাডোনা
হতেন একজন জনপ্রিয় ফুটবলার। তাঁর ঠাটবাটে সবাই থাকত তটস্থ। ঠাটবাটের কারণে পায়ের চেয়ে হাতই চলত তাঁর বেশি। শেষ বয়সে চাকরি পেতেন হ্যান্ডবল দলের ম্যানেজার হিসেবে।
লিওনেল মেসি
প্রতিভাবান হিসেবে সব জায়গায় তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতেন। কিন্তু নির্বাচকেরা তাঁকে দেখেও দেখতেন না। এক ম্যাচে গোল করতে না পারলেই তাঁকে আর একাদশে রাখা হতো না। জায়গা হতো সাইড বেঞ্চে। শেষ জীবনে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে একটা ফুটবলের জার্সির দোকান দিয়ে বসতেন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
জনপ্রিয়তার চাপ সামলাতে না পেরে মাথা বিগড়ে যেত। একসময় ফুটবল আর ভালো লাগত না তাঁর। বিজ্ঞাপন আর নাটকে অভিনয় করা শুরু করতেন। লোকে আফসোস করে বলত, ‘ইশ্! পোলাডা এককালে কত ভালা ফুটবল খেলত!’
লুইস সুয়ারেজ

খেলার চেয়ে মারামারির কারণে বেশি আলোচিত হতেন। ম্যাচপ্রতি গোলের সংখ্যার সমান হতো অন্য ফুটবলারকে কামড়ানোর সংখ্যা। একসময় রাজনীতিতে নাম লেখাতেন। ফুটবল মাঠের চেয়ে রাজপথেই বেশি সময় দিতেন।

নেইমার
সারা দিন ফুটবল খেলার জন্য বাসায় প্রচণ্ড বকুনি খেতেন। টাকাপয়সার টানাটানিতে ফুটবল ছেড়ে দিতেন শেষমেশ। জীবন-জীবিকার তাগিদে একসময় ফুটবল মাঠে বেচতেন বাদাম কিংবা চানাচুর!