বিসিবি যেসব যুক্তি দেখাতে পারত

আঁকা: আসিফুর রহমান
আঁকা: আসিফুর রহমান

সাকিব বিয়ে করার পর থেকেই বউ নিয়ে নানা দেশে লিগ খেলার অসিলায় আসলে হানিমুন করে বেড়াচ্ছে। চিন্তা করে দেখলাম, দেড় বছর ঘোরাঘুরি বন্ধ থাকলে সংসারের প্রতি ছেলের মনোযোগ বাড়বে। তাই...
শাহরুখ খান একবার আমাদের দেশে এলেন। তখন আমাদের সাংসদেরা পর্যন্ত তাঁকে দেখতে আসন না পেয়ে মাটিতে বসে গেছেন! অথচ সেই দিনের ছেলে সাকিব কিনা শাহরুখের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেয়! সহ্য হয় এই সব?
সাকিব একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অথচ এত দিন খেলার চাপে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি, পরীক্ষাও দিতে পারেনি। আমরা চাই, সাকিব আগামী দেড় বছর মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে সেমিস্টারগুলো শেষ করুক। একটা ভালো সিজিপিএ না পেলে ভালো চাকরি জুটবে, বলেন?
আমরা বোর্ড কর্মকর্তারাও তো একসময় খেলোয়াড় ছিলাম। আমাদের বউ-বাচ্চারাও চায় দু-একটা বিজ্ঞাপনে আমাদেরও মুখ দেখা যাক। কিন্তু ওমা, ছেলেটা একাই সব দখল করে রেখেছে! তাই এখন থেকে নতুন বিজ্ঞাপনে সাকিবের সঙ্গে আমাদের যেকোনো একজনকে কমপক্ষে পার্শ্ব মডেল হিসেবে না নিলে খেলার অনুমতি দেব না।
প্রথম প্রথম আমরা সাকিবকে বিদেশে অবাধে লিগ খেলতে দিয়েছি, যাতে বিদেশ থেকে ভালো ইংরেজি শিখে আসতে পারে। এর মাঝে ও ভালোই ইংরেজি শিখেছে। আইইএলটিএস দিলে স্কোর ৮ পাবে। এখন আর বাইরে গিয়ে কষ্ট করে খেলার কী দরকার? বরং এখন ও ইংরেজি স্পোকেন ক্লাস নিতে পারবে।
ছেলেটা সেই কবে থেকে ড্রেসিংরুম আর হোটেলে হোটেলে দিন কাটাচ্ছে! আমরা ভাবলাম, সামনে বিশ্বকাপ, ও এই সময়টা একটু আরাম করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করুক। মিষ্টি, আম আর ইলিশ মাছ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাক।
ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় সবাই ক্রিকেট ভুলতে বসেছে! তাই সবার দৃষ্টি আবার ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনতেই এই ব্যবস্থা। যেকোনো মূল্যে জাতীয় আবেগের প্রতি জনতার আকর্ষণ ফিরিয়ে আনা বোর্ডের গুরুদায়িত্ব!