ভূমিকম্পের সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর জোর দিতে হবে

তিন বছর ধরে দেশে গড়ে তিনটি মাঝারি থেকে মৃদু ভূমিকম্প (রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ওপরে) অনুভূত হচ্ছে। এর আগের বছরগুলোর তুলনায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলোর মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারীর নেতৃত্বে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণবিষয়ক দীর্ঘমেয়াদি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

দেশে ভূমিকম্পের এসব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে আজ ১২ জুন সোমবার অনানুষ্ঠানিকভাবে ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস পালিত হবে।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন আসামে ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল। ১২ জুন অনানুষ্ঠানিকভাবে ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন হলেও এখন পর্যন্ত তা রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন পায়নি।

এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিবসটি স্মরণ করি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনসহ দিবসটি নিয়ে কিছু রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর আশা করছি সামনের বছর থেকে দিবসটি পালন করতে পারব।’

ভূমিকম্প বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু এক দিন ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস পালন না করে আমাদের প্রতিদিনের কাজ ও নীতিনির্ধারণে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’