অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উন্নয়নে চীনা কোম্পানিগুলো উচ্চ প্রযুক্তি যুক্ত করেছে

বেইজিং, মে ৯, ২০১৭ (সিনহুয়া) : ২৮ বছর বয়সী রুশ যুবক ড্রোজডোভ ইভগেনি চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা জিয়াওমি সংশোধিত অ্যান্ড্রয়েড ফার্মওয়্যার এমআইইউআইতে প্রথমে ঢুকে এর জন্য খুবই অপমানিত বোধ করেন।

 ইভগেনি এখন একটি রুশ সফটওয়্যার কোম্পানি জন্য কাজ করেন। ২০১১ সালে, জিয়াওমি’ র কাজে মুগ্ধ হয়ে তিনি সারা রাশিয়া জুড়ে তার অন্য ফ্যানদের নিয়ে এমআইইউআই রুমের সবশেষ ভার্সন শেয়ার করার লক্ষ্যে তার নিজস্ব অনলাইন ফোরাম চালু করেন। চীনা কোম্পানিটিকে এখন তার সাইবার কমিউনিটির জন্য মনোনীত করেছেন, দেশটিতে এর অফিসিয়াল ফ্যান ফোরাম হিসাবে বর্তমানে ১১,০০০ নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে।

বস্ত্তত, জিয়াওমি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্য অনেক চীনা উচ্চ প্রযুক্তির কোম্পানির পাশাপাশি, অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উদ্যোগে সহায়তা দিচ্ছে যাতে তারা বিদেশি বাজারে প্রবেশ করতে পারে এবং তারা বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছে।

একই সঙ্গে, তারা বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে অ্যাপল এবং স্যামসাং-এর মতো বিশ্বজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন স্মার্টফোন জায়েন্টসগুলির মতো একই মানের এবং আরো সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প পণ্য অফারই করছে না, তারা আজকালকার দিনের অন্যান্য অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যও বিক্রি করছে, যা স্থানীয় জনসাধারণের জীবন উন্নয়ন করতে পারে।

 শুধু স্মার্টফোনই নয়

রাশিয়া ছাড়াও, গত কয়েক বছরে জিয়াওমি উল্লেখযোগ্য বাজার সাফল্য অর্জন করেছে এবং অন্যান্য দেশে ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিয়াওমির চেয়ারম্যান ও সিইও লেই জুনের মতে, ইন্দোনেশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশেই স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে কোম্পানিটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

আরেকটি বাজার ভারতে, জিয়াওমি এখানে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে, গত মাসে কোম্পানিটি রিডমি নোট ৪এ নামের স্মার্টফোনটির একটি নতুন মডেল প্রকাশ করে। এ পর্যন্ত এটির মাসিক বিক্রি ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। সিনহুয়ার সাথে সামপ্রতিক একটি সাক্ষাতকারে, লেই বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নামকরা বড় প্রতিযোগীদের তুলনায় তার কোম্পানির পণ্যগুলোর খুবই সস্তা এটাই তার কোম্পানির পণ্যের বিপুল চাহিদার একটি বড় কারণ।

জিয়োমির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিয়াং বার্ত সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘অতীতে, শুধুমাত্র মধ্যম বা উচ্চ আয়ের মানুষই উচ্চ ড্রযুক্তির পণ্য ব্যবহারে সক্ষম ছিল, আমরা আশা করছি এই দৃশ্যপট বদলে যাবে এবং আমরা আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে সর্বশেষ প্রযুক্তিতে প্রবেশে সক্ষম করার জন্য কাজ করছি।’

 লেইয়ের মতে, জিয়াওমি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের গবেষণা ও উন্নয়নের উপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তিনি উল্লেখ করেন যে গতবছর বিশ্বব্যাপী কোম্পানির একক প্রচেষ্টায় তৈরি করা প্রযুক্তি পণ্যের ৭,০০০টি পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জিয়াওমি এখন দুটি ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করছে। প্রথমত, চিপস-এর মতো কোর প্রযুক্তির উপর সাফল্যের চেষ্টা, দ্বিতীয়ত এর সমপ্রসারিত বৈদেশিক বাণিজ্যের অভিযাত্রায় পেটেন্ট বিতর্ক এড়াতে মাইক্রোসফ্ট এবং কোয়ালকমের মতো বিশ্বের টেলিযোগাযোগ জায়ান্টদের সঙ্গে ক্রস-লাইসেন্সিং ডিল করা।

স্মার্টফোনের পাশাপাশি, জিয়াওমি স্মার্ট রিস্টব্যান্ডের মতো তার পরিধেয় ফিটনেস-ট্র্যাকিং ডিভাইসও বিক্রি করছে। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি)-র হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে জিয়াওমি পরপর দু’বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরিধানযোগ্য ডিভাইস বিক্রেতার স্থান দখল করে ছিল।

আইডিসি আরো জানায় যে, জিয়াওমির লেটেস্ট স্মার্ট ব্রেসলেট মি ব্যান্ড ২, ২০১৬ সালের চতুর্থ কোয়ার্টারে ভারতে ফিটনেস ট্র্যাকিং ডিভাইস হিসেবে সর্বোচ্চ বিক্রি করে।

ওয়াং বলেন, ‘অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উদ্যোগের আলোকে এটি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমষ্টিগত উন্নয়নের পথে অগ্রসর হয়েছে।’

এটি অর্থনীতি ও উদ্যোক্তাদের প্রবৃদ্ধির জন্য পরিবেশ উন্নত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াওমি এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে এবং সম্মিলিত ও স্থিতিশীল অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য উদ্যোগের আওতায় আগত সংস্থাগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করেছে।

 তথ্য নেটওয়ার্কের বিস্তার

এদিকে চীনের রাজধানীতে একটি উচ্চ-প্রযুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা বিশেষ করে জোংগুয়ানকুন সমর্থিত চীনা কোম্পানিগুলো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্য প্রযুক্তি দক্ষতা বিনিময়ের চেষ্টা করছে।

২০১৫ সালে, চীনের দাতাং টেলিকম ইকুয়েডোরের ইয়াচায় সিটি অব নলেজে সঙ্গে একটি ফোর জি টিডি-এলটিই ল্যাবরেটরি নির্মাণের জন্য সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।

 ফোর জি টিডি-এলটিই চীনের নিজস্ব তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি। সর্বশেষ জিএসএমএ ইনটেলিজেন্স ডাটায় দেখা যায় যে যে ল্যাটিন আমেরিকাতে ২০১৪ সালে ফোর জি সংযোগের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে, আগের বছরে যার সংখ্যা ছিল ৫১ মিলিয়ন, এটি বাজারের দ্রুত চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেয়।

চুক্তি অনুযায়ী ডেটং ইকোডোরিয়ানদের ফোর জি টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের জন্য প্রস্ত্তত করতে দেশটির পেশাদার দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে যাচ্ছে।

এছাড়াও, টেলিযোগাযোগ বাহক, বিক্রেতারা, পরিষেবা সরবরাহকারীদের এবং কম্পোনেন্ট নির্মাতাদের জন্য কাস্টমাইজড সমাধান দেয়ায় নিয়োজিত বেইজিং জিনবেই টেকনোলোজি গ্রুপ সামপ্রতিক বছরগুলিতে কম্বোডিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং তানজানিয়ায় পাবলিক নেটওয়ার্কে প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রদানকারী হিসেবে টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরদের সাথে সহযোগিতা করেছে।

এছাড়াও, বেইজিংভিত্তিক টিভি নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সিদা টাইমস-এখন আফ্রিকাতে দ্রুত ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল টিভি অপারেটর হয়ে উঠেছে। এটি এখন কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আফ্রিকার ২০টি দেশে ব্যবসা করছে এবং এর গ্রাহক সংখ্যা আট মিলিয়নেরও বেশি।

ই-কমার্স ও ফিন্যান্সের জন্য নতুন ভোর

মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে, ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্যে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে এবং কিছু চীনা সংস্থা এক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে।

চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, এ বছরের শুরুর দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি ই-কমার্স হাব প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রস্তাব করেছেন।

পরিকল্পনা অনুসারে আলিবাবা দেশীয় ক্ষদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ (এসএমই) এবং আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দেশে একটি ডিজিটাল মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল উন্নয়নে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে কাজ করতে চায়। এটি ইলেক্ট্রনিক ওয়ার্ল্ড ট্রেড পস্ন্যাটফর্ম (ইডবিস্নউটিপি) নির্মাণের ধারণা প্রচারের জন্য মা-এর প্রচেষ্টার অংশ।

তাং জু শেন হলেন মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মেলাকায় অবস্থিত একটি তাৎক্ষণিক কফি উৎপাদন ফার্মের বিক্রয় পরিচালক, যার নাম আক চেং কফি। এই ব্যবসাটির শুরু হয় ১৯৫৫ সালে, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানীয় কফি ব্র্যান্ডের একটি। আইক চেয়ং কফির চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পাশাপাশি অন্যান্য ইউরোপীয় এবং এশীয় ডজনখানেক দেশে এর পণ্য বিক্রি করে।

তাং অভিযোগ করেছেন যে সামপ্রতিক বছরগুলিতে বাণিজ্য প্রতিরক্ষাবাদ তার কোম্পানির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে, কিছু দেশে কফি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে ইলেক্ট্রনিক ওয়ার্ল্ড ট্রেড পস্ন্যাটফর্ম (ইডবিস্নউটিপি) ইন্টারনেটের এই যুগোপযোগী ট্রেডিং সিস্টেম বিশ্বব্যাপী চালু করতে পারে, যা উন্নয়নশীল অর্থনীতি এবং ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ (এসএমই) এর জন্য বিশ্ব বাজার সহজতর করে তুলতে সক্ষম হবে।

এছাড়াও বেইজিং-এর জোনগুয়ানকান, ইন্টারনেট আন্তঃসীমান্ত-সীমান্ত বাণিজ্য এবং বড় ডাটা সংস্থা আইজেডপি টেকনোলজিস, আধুনিক যুগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইউরোপ থেকে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদেরকে আরও চৌকষ সেবা দানের জন্য ব্যবহার করছে।

 কোম্পানি খুব কম ফি’র প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে প্রধানত চীনা ইউয়ান ও স্থানীয় মদ্রায় এবং ভিসা পেমেন্ট কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি পেমেন্ট প্রদানের উপর জোর দিয়ে থাকে। আইজেডপি ডাটা মাইনিংএ সক্ষম একটি বিগ ডাটা পস্নাটফর্মও স্থাপন করেছে।

অভিন্ন উন্নয়নের পথে

প্রাচীন সিল্ক রোড রুটে এশিয়া ও ইউরোপের সাথে সংযুক্ত একটি বাণিজ্য ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এর ২০১৩ সালে গৃহীত সিল্ক রোড অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২১ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোড নিয়ে গঠিত অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উদ্যোগ নেন। এ পর্যন্ত, চীন এই কর্মসূচিতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এটি ১০০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সমর্থন লাভ করেছে এবং ৪০টিরও বেশি সদস্য চীনের সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

উচ্চ প্রযুক্তির হাব উন্নয়ন ও পরিচালনার নিয়োজিত সরকারের প্রশাসনিক অঙ্গ জোনগুয়ানকুন প্রশাসনিক কমিটি বছরের পর বছর ধরে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উদ্যোগের আওতায় বিদেশি বাজারে প্রবেশ উৎসাহিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কমিটির আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালক জেং জিয়াডং, সিনহুয়াকে বলেন, সুষম বিজয় অর্জনের জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা তার প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অগ্রাধিকার।

জিয়োমি ইন্দোনেশিয়ার সেল ফোন বিক্রি করতো, কোম্পানিটি এখন সেখানে একটি কারখানা নির্মাণ করছে। এটি ২০১৭ সালের হিসাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির স্মার্টফোন পণ্যের ১০০ শতাংশ স্থানীয়করণের পরিকল্পনা করেছে। এর বিনিয়োগের পদক্ষেপ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ করে দেবে।

ইকুয়েডোরে, ডাটং কোম্পানির গৃহীত কর্মসূচি কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশটিকে সহায়তা করবে এবং এর শিল্পের উন্নয়নে সাহাঘ্য করবে। পরিশেষে, এই প্রকল্পটি দেশটির এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের টেলিযোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসের স্কিইং রিসর্টে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তার বক্তৃতায়, জি বলেন, এটি চীনের নেয়া উদ্যোগ হলেও এর সুফল সীমান্ত অতিক্রম করে বিস্তার লাভ করেছে।

বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি)-র চেয়ারম্যান হান্স-পল বুয়ের্কনার চলতি বছরের শুরুতে এই ফোরামে বলেন, আন্তঃ সংযোগের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে, অঞ্চল ও সড়কের সংযুক্তি উদ্যোগ অনেক দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি করেছে।

বুয়ের্কনার বলেন, বিশেষ করে, পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এটি আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসবে এবং আরো বেশি সংখ্যক চাকরির আরও সুযোগ করে দেবে।