কেপিকে রাখা ফালতু খরচ!

ক্যারিয়ারজুড়ে সমালোচনা তো কেভিন পিটারসেন কতই শুনেছেন! কিন্তু তাঁকে নিয়ে এ রকম চাঁছাছোলা মন্তব্য কি আগে কেউ করেছে? বিগ ব্যাশের সেমিফাইনাল থেকে কেপির দল মেলবোর্ন স্টারস বিদায় নেওয়ার পর তাঁকে একদম ধুয়ে দিয়েছেন ড্যারেন লেম্যান। পিটারসেনকে দলে রাখা মানেই ফালতু খরচ—মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কোচ!
একসময় টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে পিটারসেন ছিলেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। বছর তিনেক আগে আইপিএলের নিলামে দাম উঠেছিল ১৫ লাখ ডলার। সেই কেপি এখন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। পরশু বিগ ব্যাশে পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে ৫ রান করার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের সময়ও পেশিতে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান কেপি। ম্যাচটা তাঁর দল হেরে যায় ৭ উইকেটে। এরপরই ৩৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ওপর ক্ষোভটা ঝেড়েছেন লেম্যান। অস্ট্রেলিয়ার কোচ শুধু খেপে টুইটই করেননি, সেটি পিটারসেনের চোখে যাতে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে কেপির অ্যাকাউন্ট উল্লেখও করে দিয়েছেন। তারপর লিখেছেন, ‘স্টারসের সময় এসেছে কেপির চক্র থেকে বের হওয়ার। ওর ওপর একগাদা টাকা ঢেলেও ওরা (মেলবোর্ন স্টারস) জয় পায়নি। ওর অজুহাত আর শুনতে চাই না।’
পিটারসেন এর জবাব দেননি। তবে তাঁর হয়ে স্টারসের প্রেসিডেন্ট এডি ম্যাগুয়ের পাল্টা জবাব দিয়েছেন লেম্যানকে, ‘প্রথমত, কেপি স্টারসের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় নয়। তবু সে প্রতিবারই দলকে অনেক দিয়েছে। গত তিনটি বিগ ব্যাশে কেপির চেয়ে বেশি রান ছিল শুধু ক্রিস লিনের। ও মাঠে অনেক দর্শকও টেনে আনে। গত দুই বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি দর্শক পেয়েছি বিগ ব্যাশে। কেপির খেলা দর্শকদের টানে।’
কেপির দল যেখানে সন্তুষ্ট, লেম্যান কেন এত খেপলেন? এর একটা কারণ হতে পারে গত সপ্তাহে পিটারসেনের একটি মন্তব্য। গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসকে একাদশে চেয়েছিল স্টারস। স্টয়নিস অস্ট্রেলিয়া দলে থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না। কেপি মন্তব্য করেছিলেন, হোটেলে নিজের রুমে বসে না থেকে বিগ ব্যাশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা খেলতেই পারতেন স্টয়নিস। হয়তো এটা ভালো লাগেনি লেম্যানের! এএফপি।