৩৫ বছর পর 'পাকিস্তানি' সেঞ্চুরি দেখল অস্ট্রেলিয়া

সেঞ্চুরির পথে বাবর। ছবি: এএফপি
সেঞ্চুরির পথে বাবর। ছবি: এএফপি

‘ইয়েস!’ ঘুষি পাঁকিয়েই উদযাপন করলেন বাবর আজম। উদযাপনটায় উল্লাসের মাত্রা আরও বাড়তেই পারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাকিস্তানের জন্য বিরল ঘটনা। এর আগে এই কীর্তি একজনই করেছিলেন। জহির আব্বাসের ৩৫ বছর পর এবার বাবরের ব্যাটে এমন সেঞ্চুরি।
অবশ্য এমন উদযাপনের কারণেই কি না, সেঞ্চুরির পরপরই আউট হয়ে গেছেন বাবর। তখনই হয়তো পাকিস্তানের পরাজয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার তোলা ৩৬৯ রানের জবাব পাকিস্তান ভালোই দিচ্ছিল ১ উইকেটে ১৪০ রান তুলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৯ উইকেটে ৩১২ করে হারল ৫৭ রানে।
এই ম্যাচ জিতলেও পাকিস্তানের তেমন কোনো প্রাপ্তি হতো না। সিরিজ ৩-১-এ নির্ধারিত হয়েই গেছে। তবে ব্যক্তিগত প্রাপ্তি হিসেবে বাবর অনেক দিন মনে রাখবেন নিশ্চয়ই। ১৯৮১ সালে সিডনিতে ১০৮ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন জহির আব্বাস। তাঁর আগে ও পরে আর কেউ সেঞ্চুরি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সেই অপেক্ষা অবশেষে বাবরে ঘুচল। তাদের আরও কত দিন অপেক্ষা করতে হয় কে জানে।
সব দল মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি অবশ্য ১১তম পাকিস্তানি সেঞ্চুরি। সংখ্যাটা কম তো বটেই, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো দলের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি পায়নি পাকিস্তান।
১০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও শারজিল খানকে নিয়ে দারুণ একটা জুটি গড়েছিলেন বাবর। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যটাই এত বেশি ছিল, পাকিস্তান ম্যাচ জিততে পারে এমন জোর সম্ভাবনা কখনো তৈরি হয়নি। শারজিল ৭৯ রান করে ফিরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের দুই অভিজ্ঞও হতাশ করেছেন। হাফিজ ​৩ রানে আউট হয়েছেন। আর শোয়েব মালিক ১০ রান করে আহত অবসর হয়ে ফিরেছেন।
বাবরকে ঘিরে তবু আশা ছিল। ৩৭তম ওভারের বাবর ফিরলে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ২২০। মালিকের চোট কার্যত যেটিকে ৫ উইকেট বানিয়ে দিয়েছিল। উমর আকমলের ৪০ বলে ৪৬-এর পর শেষ দিকে আর কারও তেমন রান নেই। ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই পরাজয়ের আরও কাছে গিয়েছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথমবার আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ৩০০ পেরোনো স্কোরের সান্ত্বনা নিয়ে ​শেষ। এর মধ্যে তাদের প্রাপ্তি বাবরের ওই বিরল সেঞ্চুরি​ই।