মুশফিক ফিরলেও ইমরুলকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

তাঁর আঙুলের ব্যথাটা পুরোপুরি সারেনি। তবে স্বস্তির খবর, কাল মিরপুরে ব্যাটিং শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম l প্রথম আলো
তাঁর আঙুলের ব্যথাটা পুরোপুরি সারেনি। তবে স্বস্তির খবর, কাল মিরপুরে ব্যাটিং শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম l প্রথম আলো

কাল বেলা ১১টার দিকেই মুশফিকুর রহিমকে দেখা গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের বাইরের নেটে। হালকা ব্যাটিং অনুশীলন করলেন আধা ঘণ্টা। একই নিয়মে অনুশীলন করবেন আজ-কালও। দলের সঙ্গে পূর্ণোদ্যমে অনুশীলন শুরু করবেন পরশু থেকে।
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুশফিক চোট পান বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে। এই চোট তাঁকে খেলতে দেয়নি ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে। একটু আগেভাগে দেশে ফিরেই শুরু করেছেন পুনর্বাসন। কাল শুরু করে দিলেন ব্যাটিংও। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর আশা, দলের সঙ্গে পুরোদমেই অনুশীলন করতে পারবেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক, ‘স্ক্যানে কোনো ফাটল বা চিড় না ধরা পড়ায় ধরে নিচ্ছি তার চোটটা মারাত্মক নয়। আজ (কাল) সে ব্যাট হাতে নিতে পেরেছে। এটা চালিয়ে যেতে পারলে ৩১ জানুয়ারির পর থেকে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
মুশফিক কাল ব্যাটিং করেছেন আঙুলে ব্যান্ডেজ বেঁধে। বিসিবির চিকিৎসক জানিয়েছেন, এটি মুশফিককে স্বচ্ছন্দে ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। তবে তিনি এখনই উইকেটকিপিং করতে পারবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নন দেবাশিস, ‘উইকেটকিপিংয়ে প্রতিটি বল ধরতে হয়। তাই আঙুলে ব্যথা থাকাটা স্বাভাবিক। এতে চিন্তার কিছু নেই। ম্যাচের আগের দিন বোঝা যাবে, সে কিপিং করতে পারবে কি না।’
ওয়েলিংটন টেস্টে বাঁ ঊরুতে চোট পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। বেশ সন্তোষজনকভাবেই চোট থেকে সেরে উঠছেন বাঁহাতি ওপেনার, তবে তাঁকে নিয়ে একটু অনিশ্চয়তাও কিন্তু আছে। দেবাশিস চৌধুরী বললেন, ‘এমআরআই রিপোর্টে তার গ্রেড-১ স্ট্রেইন ধরা পড়েছে। তবে অগ্রগতি খুবই ভালো। আশা করি, ১ তারিখের মধ্যে অনুশীলনে ফিরতে পারবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তার চোটটা পেশিতে। আবারও চোটে পড়ার আশঙ্কা এতে থাকেই।’
৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে খেলতে নামার আগে একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে আবারও চোটে পড়েন ইমরুল, মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরও তাঁর হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেবাশিস, ‘ইমরুলকে সময় দিতে হবে। টেস্টের আগে তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা আছে। তবে প্রক্রিয়াটা বাধাগ্রস্ত হলে ফিরতে আরও দেরি হয়ে যাবে। টিম ম্যানেজমেন্টকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে পুনর্বাসনের আওতায় থেকেই টেস্ট খেলবে নাকি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। পুরো সেরে ওঠার আগেই মাঠে ফিরলে আবারও চোটে পড়ার শঙ্কা আছে। একই জায়গায় বল লাগলে শ্রীলঙ্কা সফরও মিস হতে পারে।’