দুর্দান্তভাবে ফিরেছেন সিদ্দিকুর

দিনটা কত ভালো গেছে তার বিজ্ঞাপনই যেন হয়ে রইল স্ত্রী সামাউন আনজুমের সঙ্গে সিদ্দিকুরের ছবিটা। প্রথম দিনের হতাশা ভুলে ২৯ থেকে পাঁচে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের গলফার। কাল বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে কুর্মিটোলায় l শামসুল হক
দিনটা কত ভালো গেছে তার বিজ্ঞাপনই যেন হয়ে রইল স্ত্রী সামাউন আনজুমের সঙ্গে সিদ্দিকুরের ছবিটা। প্রথম দিনের হতাশা ভুলে ২৯ থেকে পাঁচে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের গলফার। কাল বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে কুর্মিটোলায় l শামসুল হক

গত রাতে নিশ্চয়ই ভালো ঘুম হয়েছে সিদ্দিকুর রহমানের। প্রতিযোগিতার মঞ্চে একটা দিন ভালো গেলে শরীর-মনে প্রশান্তি আসে। কাল দুপুরে কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে ঠিক সেভাবেই আবিষ্কার করা গেল বাংলাদেশের এই গলফারকে।
দ্বিতীয় দিনটা তাঁর মনের মতোই কেটেছে। সেটা বললেন নিজেই, ‘আজকের (কাল) খেলাটা আমি উপভোগ করেছি।’ পরক্ষণেই অবশ্য আগের দিনের সঙ্গে গতকালের পার্থক্যটাও বুঝিয়ে দেন, ‘গতকালও (পরশু) খেলাটা উপভোগ করেছি কিন্তু শট গেম ভালো হয়নি, যেটি আজ হয়েছে।’
এই পার্থক্যটাই বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনে ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছে সিদ্দিকুরকে। প্রথম দিন শেষে যেখানে তাঁর অবস্থান ছিল পারের সমান খেলে ১৬ জনের সঙ্গে যৌথভাবে ২৯তম, দ্বিতীয় দিন শেষে বড় এক লাফই দিয়েছেন স্বাগতিকদের আশার প্রতীক। যুক্তরাষ্ট্রের ডজ কেমারের সঙ্গে যৌথভাবে আছেন পাঁচে।
দুই রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে ১১ শট কম খেলা থাইল্যান্ডের জাজ জানেওয়াত্তানান্দ শীর্ষে। তাঁর চেয়ে এক শট কম খেলে ভারতের শুভঙ্কর শর্মা রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে কাল আলোচনার কেন্দ্রে সিদ্দিকুরই। এদিন ছয়টি বার্ডি ও একটি বগি করেছেন, পারের চেয়ে খেলেছেন ৫ শট কম। দারুণ পারফরম্যান্স। একমাত্র বগিটা না হলে চারে থাকতেন। অবশ্য দিনের শুরুতে দারুণ কিছু হয়নি। তবে খারাপও বলা যাবে না। পারের সমান শট খেলেছেন প্রথম ৪ হোলেই। ১৪ নম্বর হোলে এসে প্রথম বার্ডি, পরের হোলে পারের সমান। ১৬ ও ১৭ নম্বর হোলে আবারও বার্ডি। পরের দুই হোলে আবার পারের সমান শট। এভাবেই এগোতে এগোতে নতুন আশা নিয়ে দিনটা শেষ করলেন সিদ্দিকুর।
এই খেলাটা আজ ও আগামীকাল শেষ দিনে চালিয়ে যেতে পারলে লিডার বোর্ডে শীর্ষে উঠে যাওয়া অসম্ভব মনে হচ্ছে না তাঁর কাছে। তবে সামনে কী হবে ‘সেটা তো আর আমি জানি না’ বলে যোগ করেছেন, ‘চেষ্টা করব সেরাটা দিতে। আমি আশাবাদী।’
ঘরের অন্য ছেলেরা অবশ্য শিরোপাস্বপ্নের কথা বলার মতো অবস্থানে নেই। যদিও সিদ্দিকুরের পাশাপাশি কাট বাঁচিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করেছেন দুলাল হোসেন, জামাল হোসেন, মোহাম্মদ জিয়া, সজীব আলী, মোহাম্মদ নাজিম, বাদল হোসেন, সম্রাট শিকদার, রবিন মিয়া ও আকবর হোসেন। কাট মিস করেছেন সাখাওয়াৎ হোসেন সোহেল। পারের চেয়ে সর্বনিম্ন তিন শট পর্যন্ত বেশি খেলা গলফাররাই কাট পেরিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন। বাংলাদেশ ওপেনে এবারই প্রথম দেশের ১০ গলফার তৃতীয় রাউন্ডে পা রাখলেন।
দুলাল দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনটি বার্ডি, একটি ইগল ও চারটি বগি করেছেন, দুই রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে এক শট কম তাঁর। যৌথভাবে আটজনের সঙ্গে ২২তম স্থানে দুলাল। প্রথম রাউন্ডে জামাল পারের চেয়ে এক শট কম খেলেছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনটি বার্ডি ও চারটি বগি তাঁর। চারজনের সঙ্গে যৌথভাবে ৩১তম অবস্থানে আছেন।