বোলিংয়ের ব্র্যাডম্যান নয়, 'কুম্বলে' হতে পারলেই খুশি অশ্বিন

কুম্বলের পাশে বসতে পারলেই খুশি অশ্বিন। ফাইল ছবি
কুম্বলের পাশে বসতে পারলেই খুশি অশ্বিন। ফাইল ছবি

স্টিভ ওয়াহ অভাবনীয় কাণ্ডটা করেই ফেলেছেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নাম দিয়েছেন ‘বোলিংয়ের ডন ব্র্যাডম্যান’। এত দিন এ খেতাবটা শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরনকেই দিতেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। খেতাবটা অশ্বিনের ঘাড়ে দেওয়ার ইঙ্গিতটাও পরিষ্কার, মুরালিকে টপকে সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া বোলার হওয়ার সম্ভাবনা আছে ভারতীয় অফ স্পিনারের। কিন্তু অশ্বিন অত দূর ভাবতে চান না, ক্যারিয়ার শেষে অনিল কুম্বলের পাশে থাকতে পারলেই তৃপ্ত থাকবেন তিনি।
মুরালিধরনের ৮০০ উইকেটের রেকর্ডকে ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড়ের (৯৯.৯৪) মতোই ভাবা হয়। সে রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সেটা অবশ্য অশ্বিনের উত্থানের আগের কথা। মাত্রই ২৫৪ টেস্ট উইকেট পেয়েছেন, তবু মুরালির রেকর্ডটা ভাঙতে পারবেন কি না সে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সবচেয়ে দ্রুততম আড়াই শ উইকেট পাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, যে ফর্মে আছেন তিন শ উইকেটের রেকর্ডটাও তাঁর হওয়ার কথা।
কিন্তু তাই বলে মুরালির রেকর্ড ভেঙে ফেলা! অশ্বিন নিজেও ভাবেন না সেটা সম্ভব, ‘সত্যি হলো, এদিকে আমি দৃষ্টি রাখছি না। মুরালির ৮০০ উইকেটের আশপাশে যেতে পারাও অসাধারণ অর্জন। সেটা যদি অর্জন করি, এর মানে নিজের মানবিক ক্ষমতার সীমাও টপকে যাব আমি।’
অবশ্য সে লক্ষ্যও নেই তাঁর। বয়স ত্রিশ হয়ে গেছে, হাতেও তাই সময় পাচ্ছেন না বেশি। একজন বোলারের পক্ষে এ যুগে তো আর ক্যারিয়ারকে টেনে চল্লিশের কোটায় নেওয়া সম্ভব না! অশ্বিন বরং কুম্বলের রেকর্ডের দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছেন (৬১৯ উইকেট)। স্বদেশি কিংবদন্তিকে টপকানো নয়, তাঁর পাশে বসতে পারলেই ধন্য হবেন অশ্বিন, ‘আমি টেস্ট খেলা শুরু করেছি দেরিতে (২৫ বছর বয়সে অভিষেক)। সব সময়ই স্রোতের বিপক্ষে লড়েছি। আর আমার মনে হয় না কুম্বলের চেয়ে এক উইকেটও বেশি পেতে চাইব আমি। এটা বড় এক সম্মান।’ সূত্র: ডেকান ক্রনিকলস।