সেমিফাইনালে ড্র করে শেষ চারে চট্টগ্রাম আবাহনী

মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে উঠেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। ছবি: প্রথম আলো
মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে উঠেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। ছবি: প্রথম আলো


২২ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে দুই অর্ধের দুই গোলে নেপালের ক্লাব মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে ড্র করে শেষ চার নিশ্চিত করেছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের স্বাগতিকরা। তবে শাহিন এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়েও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের আরেক ক্লাব মোহামেডান।
তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। সমান ম্যাচে মানাং মার্সিয়াংদির পয়েন্ট ৪। মোহামেডানের পয়েন্টও সমান ৪। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে জয় থাকায় শেষ চারে উঠেছে মার্সিয়াংদি।
চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় মার্সিয়াংদি। বাঁ প্রান্ত থেকে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলে অধিনায়ক অনিল গুরুং মাথা ছুঁইয়ে বক্সে দাঁড়ানো স্ট্রাইকার ওলাদিপোকে দেন। ওলাদিপোর হেড জালে জড়াতেই আনন্দে ভাসে গ্যালারির নেপালি দর্শক। ২২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বিশাল রাইয়ের থ্রু বক্সের মাথায় নিজের আয়ত্বে নিয়ে একজনকে কাটিয়ে গোল করেন ওই ওলাদিপো।
আজ গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে আগের তুলনায় বেশি দর্শকের আনাগোনা ছিল মাঠে। চট্টগ্রামের দর্শকেরা উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছিল দুই গোলে পিছিয়ে পড়া নিজেদের দলকে। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণাত্মক খেললেও ভুল পাসের কারণে ভেস্তে যাচ্ছিল তাদের পরিকল্পনা। ৩১ মিনিটে অগাস্টিন ওয়ালসনের জোরালো একটি শট গোলরক্ষক বাঁচান কর্ণারের বিনিময়ে। কর্ণারের বল মানাং রক্ষণভাগ পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। জামাল ভূঁইয়া হয়ে বল চলে যায় ছোট ডিবক্সে দাঁড়িয়ে থাকা নাসির উদ্দিনের কাছে। ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া নাসিরের হেড সহজেই জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে স্বাগতিক দল। কিন্তু নেপালের রক্ষণবুহ্য ভাঙতে পারছিল না কিছুতেই। ৬১ মিনিটে বক্সের ভেতর ডিফেন্ডার দেবেন্দ্রর হাতে বল লাগলে মিয়ানমারের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন অগাস্টিন। এর সাত মিনিট পর মুফতা লয়ালের শট ক্রসবারে চুমু খেয়ে বাইরে না গেলে এগিয়ে যেতে পারত আবাহনী। তবে যোগ করা সময়ে অনিল গুরুংয়ের হেড ক্রসবারে লেগে না ফিরলে গোল পেতে পারত মার্সিয়াংদিও।