এই মেসি ২০১০-এর মেসি

.
.

২০০৯ সালে যেবার প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতলেন, নামের পাশে ৩৮ গোল। যে সময়ের কথা হচ্ছে, সে সময় এক মৌসুমে ৩৮ গোল করাই বড় খবর। আগের মৌসুমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ৪২ গোল নিয়ে কত হইচই। তখন থেকে এই দুজন নিজেদের এত এত উঁচুতে বেঁধেছেন, ৪০ গোল যেন ডালভাত। মেসি যেমন টানা অষ্টম বছরের মতো কাল ৪০ গোলের কীর্তি ছুঁলেন। অথচ এখনো এই মৌসুমের আসল সময়টা পড়েই আছে!
কাল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তাঁর জোড়া গোলে বার্সেলোনা জিতল ৪-২ ব্যবধানে। এ নিয়ে শততমবার ম্যাচে জোড়া গোলের কীর্তিও গড়লেন মেসি। প্রথম গোলটা পেনাল্টি থেকে বলে তার গুরুত্ব কমছে না। প্রথমত, এই গোল বার্সাকে কাল প্রথমে লিড এনে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন ডিয়েগো লোপেজের বিপক্ষে, পেনাল্টি ঠেকানোর জন্যই যাঁর সুখ্যাতি। মেসির পেনাল্টির রেকর্ড যে এত বাজে দেখায়, তাতে লোপেজের অবদান অনেক বেশি। পিএসজি ম্যাচের পর আবারও মেসির দুর্দান্ত পেনাল্টি শট।
মেসি যেন ফিরে পাচ্ছেন পুরোনো ধার। ২০১০ সালের সেই কাব্যময় মেসির দেখা মিলছে প্রায়ই। কালও কয়েকটি অবিশ্বাস্য ড্রিবল করলেন। দ্বিতীয় গোলটা তো নিজের অলস ডান পায়ের জোরালো শটে, দুরূহ কোণ থেকে। মেসি নিজেকে পুনরাবিষ্কার করা মানে ফুটবল–সমর্থকদেরই আনন্দ। মেসিকে মাঠে ফুল ফোটাতে দেখা পৃথিবীর সেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়ে কম কিসে!
লুইস এনরিকের তাই ম্যাচ শেষে বললেন, ‘মেসির ব্যাপারটা অবাক করে দেয়। সে এরই মধ্যে মোটামুটি সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও কিছু রেকর্ড ভাঙবে সে। মেসির খেলা দেখাটা চমৎকার একটা বিষয়। সে যা করেছে, সেটি কারও পক্ষেই করা সম্ভব নয়। অর্জন করা সংখ্যাগুলো তারই থাকবে। সে যখন থাকবে না, তখন কিন্তু তাকে অসম্ভব মিস করবে ফুটবল বিশ্ব।’
এক নজরে গত আট বছরে মেসির গোলসংখ্যা:

সাললা লিগা চ্যাম্পিয়নস লিগকোপা ডেল রে  অন্যান্য   মোট
২০০৯-১০ ৩৪ ৮ ১ ৪ ৪৭
২০১০-১১ ৩১ ১২ ৭ ৩ ৫৩
২০১১-১২ ৫০ ১৪  ৬ ৭৩
২০১২-১৩ ৪৬ ৮ ৪ ২ ৬০
২০১৩-১৪ ২৮ ৮ ৫ ০ ৪১
২০১৪-১৫ ৪৩ ১০ ৫ খেলেননি ৫৮
২০১৫-১৫ ২৬  ৫ ৪ ৪১
২০১৬-১৭ ২৫ ১১ ৪ ১ ৪১