রানের বদলে শেষে উইকেট বৃষ্টি!

সৌম্য এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত শুরু। ছবি: এএফপি
সৌম্য এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত শুরু। ছবি: এএফপি

রানবন্যা দিয়ে শুরু, বাংলাদেশ ইনিংস শেষ উইকেট বৃষ্টি দিয়ে! বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েস। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০১। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে আরও ১০০ তুলতে পারলেন না বাংলাদেশ। শেষ দিকে রান বৃষ্টির বদলে হলো উইকেট বৃষ্টি। ১৯তম ওভারে লাসিথ মালাঙ্গার হ্যাটট্রিক। কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৭৬। 

এই মাঠে আগে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। ২০১৫ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কার ১৭২ রান পাকিস্তান টপকেছিল ১ উইকেট হাতে রেখে। শ্রীলঙ্কায় সর্বোচ্চ ১৭৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটিও পাকিস্তানের। পাল্লেকেলেতে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান ছুঁয়েছিল ৮ উইকেট হাতে রেখে। অবশ্য দিবারাত্রির ম্যাচে এই মাঠে ১৭২-এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাড়া করে জেতার স্কোরটা ১৫৬, গত ম্যাচেই যেটি হয়েছে।
জিততে হলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার নতুন রেকর্ড গড়তে হবে। এই মাঠের যা আয়তন ও রেকর্ড, তাতে ১৭৭ রানের লক্ষ্য বেশ কঠিনই হওয়ার কথা। কিন্তু গত ম্যাচের বোলিং আবারও হলে আশা না করাই ভালো। অবশ্য মেহেদী মিরাজের অভিষেক চাপে ফেলতে পারে শ্রীলঙ্কানদের। গত ম্যাচে চার পেসার কাজে দেয়নি। আজ বাংলাদেশ খেলছে তিন পেসার নিয়ে।
অথচ লক্ষ্যটা আরও বড় হওয়ারই আভাস ছিল। প্রথম ওভারে ওঠে ৫ রান। বাংলাদেশের দুই ওপেনার শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হলেন নুয়ান কুলাসেকারার করা দ্বিতীয় ওভারে থেকে। ৫ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে রান ৫৬। সপ্তম ওভারে সৌম্য (৩৪) আসেলা গুনারত্নের ফিরতি ক্যাচ হওয়ায় ভাঙে ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি। টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতেই এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
পরের ওভারেই ফেরেন ইমরুল। উপুল থারাঙ্গার থ্রোয়ে রানআউটে কাটা পড়ার আগে বাঁহাতি ওপেনারের রান ৩৬, টি-টোয়েন্টিতে যেটি তাঁর সর্বোচ্চ। দুই ওপেনার ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে সাব্বির রহমান-সাকিব আল হাসানের ৩২ বলে ৪৬ রানের সৌজন্যে রানরেট প্রায় ১০-এর ওপরই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ১৩ থেকে ১৬—এই চার ওভারে রানরেট শ্লথ হতে শুরু করে, এ সময়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ২১ রান। হারিয়েছে সাব্বির (১৯) ও সাকিবকে (৩৮)। শেষ ৪ ওভারে ৩৭ রানের সৌজন্যে শ্রীলঙ্কার সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।