ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধির সভা

নির্বাহী কমিটির সভা মানেই অনেক আলোচনা। অনেক সিদ্ধান্ত। আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত বিসিবির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায়ও তা-ই হবে। মূল আলোচ্য বিষয় ১২টি। ২০১৭ সালে এটি হবে বিসিবির প্রথম সভা।
আলোচ্যসূচির উল্লেখযোগ্য বিষয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা ও ম্যাচ জয়ের বোনাস বৃদ্ধি। সভায় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রস্তাবিত বেতনকাঠামো নিয়ে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। ‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব আছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সুপারিশে। ‘এ’ শ্রেণির বেতন মাসে ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণির বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা, ‘সি’ শ্রেণির বেতন ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ‘ডি’ শ্রেণির বেতন ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
প্রস্তাব আছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং সিরিজের উইনিং বোনাস বাড়ানোরও। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন দলের কারও বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ জিতলে বর্তমানে বোনাস ৩ হাজার ডলার। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দলের বিপক্ষে জিতলে ২ হাজার ডলার ও শেষ তিন দলের বিপক্ষে জিতলে বোনাস দেড় হাজার ডলার। এই বোনাস বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪ হাজার, ৩ হাজার ও আড়াই হাজার ডলার করার প্রস্তাব করেছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
ওয়ানডেতে শীর্ষ তিন দলের কারও বিপক্ষে জিতলে বোনাস দেড় হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে আড়াই হাজার ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দলের বিপক্ষে জিতলে ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ডলার এবং শেষ তিন দলের বিপক্ষে জিতলে ৭০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ডলার করা হতে পারে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতলে এখন উইনিং বোনাস ১ হাজার ডলার। নতুন প্রস্তাবে সেটি ১ হাজার ৫০০ ডলার করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিন সংস্করণের ক্রিকেটে সিরিজ জয়ের জন্যও আছে আলাদা বোনাস এবং সেটি এক ম্যাচ জয়ের বোনাসের সমান। নতুন প্রস্তাবেও সে রকমই উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে সূত্র। এ ছাড়া দায়িত্বভাতা হিসেবে অধিনায়ক মাসে পাবেন ২০ হাজার টাকা ও সহ-অধিনায়ক ১০ হাজার টাকা।
অন্যান্য আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় দলের নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বান, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান সিরিজের সূচি ও বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন। গত বছরের ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ১৫তম বোর্ড সভায় এ বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে বার্ষিক সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও এখনো তা করতে পারেনি বিসিবি। একই সভায় আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কাঠামো বাস্তবায়নের ‘আশু উদ্যোগ’ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যথারীতি এ নিয়েও গত পাঁচ মাসে আর কোনো আলোচনা শোনা যায়নি।